কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা র পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল কংগ্রেসের কমিশনার মঞ্জুরি দত্ত দাম কে বললেন, মিথ্যা কথা না বলে মানুষের পাশে যান।
1 min readকালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল কংগ্রেসের কমিশনার মঞ্জুরি দত্ত দাম কে বললেন, মিথ্যা কথা না বলে মানুষের পাশে যান।
তন্ময় চক্রবর্তী লক ডাউন এর সময় ও রাজনীতি করছেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার মঞ্জুরী দত্ত দাম। এই সময়ে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তার কাজ করা উচিত ,অসহায় মানুষদের পাশে থেকে। সেটা তিনি না করে অযথা তাঁর বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলছেন কংগ্রেসের কমিশনার। আজ কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় একথা বলেন পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল।
তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ এর সবচেয়ে বড় বড় কাজ হয়েছে এই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। অথচ কমিশনার বলছেন বিভিন্ন জায়গায় তাকে নাকি বঞ্চিত করা হয়েছে। এটা সর্বৈব মিথ্যা কথা এবং রাজনীতি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই কমিশনার এই ধরনের মন্তব্য করছেন বিভিন্ন জায়গায়। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষই বলবেন এখানে কি কি কাজ হয়েছে। কার্তিক বাবু বলেন, তিনি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারেন তাদের এই চার বছরের পৌরবোর্ড এর সময় সবচেয়ে বড় বড় যে কাজগুলো হয়েছে তার বেশির ভাগটাই ১৩ নং ওয়ার্ডে হয়েছে।
এবং শুধু তাই নয় এই ওয়ার্ডে উন্নয়নের কাজে আর্থিক বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে। পৌরপতি বলেন, একবারে তো সব কাজ করা সম্ভব নয় ।ছোট্ট একটা পৌরসভার পক্ষে। তাই ধাপে ধাপে কাজগুলো করা হচ্ছে।তিনি বলেন বেশ কিছুদিন ধরে তিনি লক্ষ্য করছেন যখন এই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে তখন এই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার তার বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করছেন বারে বারে। কিছুদিন আগে অবধিও তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিল না যে কমিশনার এর কাছে আজ তার কাছে বঞ্চনার অভিযোগ রয়েছে। এটা সম্পূর্ণ তিনি রাজনীতির স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই করছেন। এই অভিযোগ এর কোন সত্যতা নেই। এই ওয়ার্ডে যে কাজগুলো হচ্ছে তা মানুষই দেখতে পাচ্ছে। অথচ তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। পৌরপতি বলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে যে কয়েকটি হাইম্যাক্স আলো পেয়েছিল পৌরসভা তার মধ্যে চারটে হাইম্যাক্স ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এই দেওয়া হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ এর সেন্টিমেন্ট যাকে বলে সেই নাট মন্দিরধাম সেখানে আলোকসজ্জা ধরে প্রায় এক কোটি টাকার কাজ চলছে। নেতাজি পার্ক এর কাজ চলছে। এ ছাড়া একটা ড্রেন যেটা ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ড দিয়ে যেটা ১৩ নং ওয়ার্ডের পড়েনি ঠিক কিন্তু এই ওয়ার্ড এর বিপরীত দিকে রয়েছে ড্রেন টি। ফলে সেই ড্রেন টি দিয়েই এদিককার সব জল শ্রীমতি নদীতে গিয়ে পড়বে। সুতরাং এই সময় এই সমস্ত অভিযোগ না করে যেমন উনি একটা ইমেইল করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন পৌরসভার সাফাই কর্মীরা না খেয়ে সকালে আসেন কাজ করতে। তাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হোক। পৌরপতি দায়িত্বের সঙ্গে বলেন, পৌরসভায় যে সমস্ত সাফাই কর্মীরা রয়েছেন তাদের যোগ্য সম্মান আমরা দিয়েছি। ওরা পর্দার আড়ালের কাজ করতো। কিন্তু মানুষ জানতে পারত না ।তারা যেমন পৌর উৎসবের মঞ্চে এই সমস্ত সাফাই কর্মী দের সম্বর্ধনা দিয়েছেন এবং প্রতিটা ব্যাপারে তিনি সাফাই কর্মী দের সাথে বন্ধুদের মতন মিশেন। আমি যে চেয়ারম্যান ওরা যে সাফাই কর্মী এই মনোভাব নিয়ে কখনো ওদের সাথে আমি মিশি না। সবার আগে এই লকডাউন এর সময় ও এই সমস্ত সাফাই কর্মী দের ড্রেস , রেইনকোট, গ্লাভস,মাক্স ও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি শহরের আর পাঁচটা নাগরিকরা যেভাবে পৌরসভার থেকে ত্রাণ পাচ্ছে ঠিক একইভাবে পৌরসভার এই সমস্ত সাফাই কর্মীরাও যাতে ত্রাণ পায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে পৌরসভার তরফ থেকে।পৌরপতি বলেন পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার যেভাবে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করছে তার জবাব দিবে মানুষই আগামী দিনে। এখন আমাদের সকলের বিপদ। তাই সকলে মিলে এখন এই বিপদে ঝপাই। সকলে মিলে আগে করোনা মুক্ত হই। এই মুহূর্তে কারো রাজনীতি করা উচিত না।