October 24, 2024

লকডাউন এ মৎস্য চাষে ছাড় দেওয়ার আবারও আগের মতন করে কালিয়াগঞ্জের সি এডি সির হ্যাচারিতে শুরু হলো মৎস্য চাষ

1 min read

লকডাউন এ মৎস্য চাষে ছাড় দেওয়ার আবারও আগের মতন করে কালিয়াগঞ্জের সি এডি সির হ্যাচারিতে শুরু হলো মৎস্য চাষ

তনময় চক্রবর্তী। করোনা । তিন অক্ষরের এই ছোট্ট শব্দটি। আজ বিশ্বজুড়ে বিস্তার করেছে অদ্ভুত এক আঁধার। মানুষের সাধের পৃথিবী বদলে যাচ্ছে। ভেঙে চুরে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতি এবং তার অন্য সন্তানরা ? নাগরিক সভ্যতা সব ক্রোধ মুছে ফেলে সে আজ অন্য রূপে। এক অচেনা রূপে ।এই নিয়েই  আজ আমাদের প্রতিবেদন করোনা পজিটিভ। আজকের ছবি উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লক এর কেউতান  এর জেলার একমাত্র সরকারি মৎস্য হ্যাচারি সিএডি সিতে মৎস্য চাষ শুরু । 

লকডাউন এর জেরে সারা দেশ এখন বিপর্যস্ত। সকলেই গৃহবন্দী।রাস্তাঘাটে খুবই কমসংখ্যক মানুষকে দেখা যাচ্ছে ঘোরাঘুরি করতে। তারি মাঝে লকডাউন এ  মৎস্য চাষে এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস। কারণ একটাই কেন্দ্রীয় সরকার মৎস্য চাষে ছার দিয়েছে এই লকডাউন এর মাঝে। ফলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মৎস্য চাষ।

উত্তর দিনাজপুর জেলার একমাত্র সরকারি মৎস্য হ্যাচারি রয়েছে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কেউ তানে পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিক উন্নয়ন পর্ষদ এর।

যেখানকার  ডিম পোনা উৎপাদন ও চারা পোনা উৎপাদন ভরসা যোগায় প্রতিবছরই উত্তর দিনাজপুর জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পার্শ্ববর্তী বিহার রাজ্য ও নেপালের মৎস্যজীবীদের।

কারণ এখানকার গুণগতমান এতটাই ভাল যে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।তাই সকলে দূর থেকে হলেও কষ্ট করে এসে এখান থেকে নিয়ে যায় ডিম পোনা, মাছের চারা পোনা।যা মৎস্যজীবীরা নিজেদের গ্রামে গিয়ে নিজেদের পুকুরে মৎস্য চাষ করে থাকে। ফলে কেউ তানের এই মৎস্য হ্যাচারি সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে আজ ।

যে হ্যাচারি সঙ্গে  যুক্ত রয়েছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বহু শ্রমিক।কিন্তু সারাদেশের লকডাউন থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে সেই সমস্ত শ্রমিকদের থাকতে হয়েছিল গৃহবন্দি অবস্থায়। ফলে তাদের আর্থিক দিক দিয়ে বহু সমস্যা হয়ে উঠছিল।কিন্তু আজ কেন্দ্রীয় সরকার এই লকডাউন এর মাঝেও সেই সমস্ত শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে ছাড় দিয়েছে মৎস্য চাষে। ফলে খুশি মৎস্য চাষীরা। আজ সেই ছবি ধরা পরল কেউ তানে র সরকারি মৎস্য হ্যাচারি তে।

দেখা গেল প্রত্যেকটি শ্রমিককেই উৎসাহের সাথে কাজ করতে।কোনো শ্রমিককে দেখা গেল মাছের ডিম পোনা তৈরি করতে কাউকে আবার দেখা গেল মাছের ডিম পোনা তৈরি আগে মাছগুলোকে ইঞ্জেকশন করতে। আবার কাউকে দেখা গেল সেই হ্যাচারীর মধ্যেই জালের মধ্যে মাছ গুলিকে নেটিং করতে।

প্রত্যেকটি শ্রমিককেরই খুব ব্যস্ততা চোখে পড়ছিল। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিএডি সি প্রকল্পের কালিয়াগঞ্জ শাখার জুনিয়ার টেকনিক্যাল অফিসার ফিশারির আশীষ চক্রবর্তী জানান লকডাউন এর ফলে তাদের হ্যাচারিতে ডিম পোনা উৎপাদন ও চারা পোনা উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন মৎস্য চাষে ছাড় দেওয়ায় তাদের হ্যাচারি তো পুনরায় ডিম পোনা উৎপাদন ও চারা পোনা উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন লকডাউন এর সময় যে সমস্ত শ্রমিকরা এখানে কাজ করতো তাদের খুবই অসুবিধা হয়েছিল। কারণ তাদের কাজ ছিল না। আজ আবার সেই সমস্ত শ্রমিকরা পুনরায় কাজে ফিরে আসায় খুশি হয়েছে শ্রমিকরাও।তিনি বলেন তবুও সর্তকতা মেনে তারা এখানে কাজ করছেন একদিকে যেমন মাক্স পরে তেমনি সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বজায় রেখে ।পাশাপাশি বারেবারে হাত ধুয়ে নিতে বলছেন সে সমস্ত শ্রমিকদের তারা  ।

এদিকে যে সমস্ত শ্রমিকরা এই হ্যাচারিতে আসছেন কাজ করতে তাদের মধ্যে বীরেন রায় , সন্তোষ দেব শর্মা ,মহেন্দ্র চন্দ্র দেব শর্মা, জানালেন, লকডাউন এ সময় গৃহবন্দী ছিলেন। এই সময় তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন।

ফলে তাদের আর্থিক দিক দিয়ে খুবই অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এই লক ডাউনের  মাঝেও  তাদের মৎস্য চাষে ছাড় দেওয়ায় তারা খুবই আনন্দিত। এখন তারা আগের মতো করেই মৎস্য চাষ করতে পারবেন।

এদিকে কালিয়াগঞ্জ সি এ ডিসি র ডেপুটি প্রজেক্ট অফিসার তাপস বক্সী বলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত এবং গ্রাম উন্নয়ন বিভাগের একটি শাখা কালিয়াগঞ্জ এর সিএ ডিসি প্রকল্প। যেখানে তাদের হেচারিতে মৎস্য চাষ ইতিমধ্যে শুধু জেলায় নয় জেলা ছাড়িও বাইরে ও সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস এর জেরে তাদের হেচারিতে  লকডাউন।  এর ফলে মৎস্য উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। পরবর্তীতে সরকার থেকে মৎস্য চাষের ছাড় দেওয়ায় তারা আবার তাদের হ্যাচারিতে মাছের ডিম পোনা যেমন উৎপাদন করছেন তেমনি মাছের চারা পোনা উৎপাদন শুরু করে দিয়েছেন।

 

বহু জায়গা থেকে চাষিরা আসছে তাদের  এই হ্যাচারি থেকে ডিম পোনা ও চারাপোনা নিতে। তিনি বলেন তাদের লক্ষ্য গতবারের থেকেও বেশি ডিম পোনা এবং চারাপোনা তাদের হ্যাচারি থেকে উৎপাদন করে মৎস্য চাষিদের কাছে বিক্রি করা।তিনি বলেন এই লকডাউন এর পরে তাদের মৎস্য চাষে যে ছাড় দিয়েছে সরকার সেখানেও তারা খুব সর্তকতা অবলম্বন করেই এই কাজটা করছেন। একদিকে যেমন সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখছেন তেমনই চাষিরা মাক্স পড়ে কাজ করছেন পাশাপাশি বারেবারে হাত ধুয়ে নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে কালিয়াগঞ্জ এর সিএ ডিসি প্রকল্পের হ্যাচারিতে মৎস্য চাষ পুনরায় শুরু হয় মৎস্য চাষীরা খুব খুশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *