করোনার এই ভয়াবহ দুর্যোগের দিনে কর্মসূত্রে বাইরে থাকা মানুষদের ও তাদের পারিবারিক অবস্থা।
1 min readকরোনার এই ভয়াবহ দুর্যোগের দিনে কর্মসূত্রে বাইরে থাকা মানুষদের ও তাদের পারিবারিক অবস্থা।
কৃতিমান বিশ্বাস, রায়গঞ্জ জীবনের অপর নাম হলো সংগ্রাম। মানুষ প্রায় নিত্য দৈনন্দিন জীবনে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলেছে। মানবজীবনে জন্মগ্রহণ করার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই। প্রতিনিয়ত এই মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য নানা ঝড়-ঝাপটা বাধা-বিপত্তি কে হার মানিয়ে জয়লাভ করতে হয়। প্রত্যেকটি মানুষই চায় যেন তার পরিবারের মানুষগুলি থাকে হাসি খুশিতে।
বহু গরীব মানুষেরা নিত্য দৈনন্দিন জীবনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের শখ-আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে সাধ্যমত চেষ্টা করে চলে নিজের পরিবারের মানুষ গুলিকে হাসিখুশি রাখতে ও তাদের শখ-আহ্লাদ মেটাতে। বহু গরিব মানুষ রোজগার করার তাগিদে নিজের কাছের মানুষগুলোকে সুখী রাখতে নিজেদের পরিবারের মানুষগুলিকে ছেড়ে নিজের কর্মসূত্রে বাইরে যান। এবং মাসের শেষে যখন তারা তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক পান- হাসিমুখে তার সঁপে দেন তার পরিবারের হাতে। এমনকি উৎসবের দিনেও মালিকের দেওয়া বোনাস টা ও তুলে রাখে সে তার কাছের মানুষ গুলির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ।
কিন্তু কি নিষ্ঠুর এই মরণ ভাইরাসের দৃষ্টি, এই মরন ভাইরাস সেই হাজার দুঃখের মধ্যেও হাসিখুশি থাকা সুখী পরিবার গুলির কাছ থেকে কেড়ে নিল তাদের সুখ। বহু খেটে খাওয়া মানুষ যারা কর্মসূত্রে বাইরে কাজ করতেন তারা এই ভয়াবহ দুর্যোগের দিনে আজ তারা তাদের কাছের মানুষ গুলির কাছে পর্যন্ত নেই। সেই অসহায় পরিবারগুলি আজ দিশাহীন ও অভিভাবকহীন- এই নিষ্ঠুর মরন ভাইরাস তাদের রঙিন দিনগুলি কে করে তুলল দুর্বিষহ – অর্থের অভাবে নেমে এলো তাদের হাসিখুশি সুখী পরিবারে অভাবের কালো ছায়া। অভাবের তাড়নায় তারা ঠিকমতো খেতে পড়তে পারছে না। এই করোনার ভয়াবহ প্রকোপে চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ফলে তাদের চাকরির নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের মনে বাসা বেধেছে নানারকম চিন্তা- আগামী দিনে কিভাবে নিজের পরিবারের মুখে অন্নের গ্রাস তুলে দেবে সেই চিন্তায় আজ তারা দিশেহারা। তবে একথা নিশ্চিত এই মরন ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের যে সংগ্রাম চলছে তাতে মানুষ একদিন এই নিষ্ঠুর ভাইরাসকে হারিয়ে অবশ্যই জয়লাভ করবে। তাই আজ এই চরম বিপর্যয়ের দিনে সমগ্র মানব সভ্যতাকে উৎসাহিত করে স্বামী বিবেকানন্দের এই মূল্যবান উক্তিটি:-“Arise, Awake, and stop not till the goal is reached.”