কারো জ্বর সর্দি-কাশি আছে কিনা সার্ভে করতে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি।
1 min readকারো জ্বর সর্দি-কাশি আছে কিনা সার্ভে করতে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি।
তন্ময় চক্রবর্তী করোনা আক্রান্তের হদিশ না মিললেও উত্তর দিনাজপুর জেলায় জ্বর কবলিত এলাকা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। করোনার টেস্ট যখন শুরু হবে, তখন যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্যই আগেভাগে এই কৌশল নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর।জানা যায় জেলার কোনও এলাকায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কত তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য প্রতিদিন জেলা হাসপাতালের ফ্লু ক্লিনিক, আশাকর্মী, কোয়াক ডাক্তার, প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার এবং ওষুধের দোকান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য পুরসভার মতো কালিয়াগঞ্জ এও এ কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বর, সর্দি, কাশি কারও আছে কি না তা খোঁজ নিচ্ছেন। তাছাড়া বাইরে থেকে কেউ এলে সেটাও নথিভুক্ত করছেন।কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ক্ষেত্রেও অনারারি হেলথ ওয়ার্কাররা (এইচএইচডব্লু) প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পৌরসভার স্বাস্থ্য কর্মী দানি গুপ্তা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন খোঁজ নিতে
কোনও বাড়িতে সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত কেউ থাকলে তা খাতায় নোট করছেন। তাঁর নাম, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর সংগ্রহ করছেন। পাশাপাশি বাইরে থেকে কিংবা প্রতিবেশী জেলা থেকেও কেউ এলে তাঁর নাম, ঠিকানা, বয়স, কোথা থেকে এসেছেন, ফোন নম্বরও সংগ্রহ করছেন। ওই তালিকা পরে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের অধীনে থাকা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এএনএম’কে জানাচ্ছেন। এএনএম পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যারে নথিভুক্ত করে পাঠাছেন।এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, প্রথমে তাদের বিভাগীয় দপ্তর থেকে প্রথমে নির্দেশ ছিল যারা হোম কোয়ারান্টাইনে আছে তাদের সমস্ত খোঁজখবর তারা নিচ্ছিলেন এখন আবার পুনরায় নির্দেশ এসেছে পৌরসভার প্রতিটা ওয়ার্ডের মানুষ বাড়িতে কে কি অবস্থায় রয়েছে, পরিবারের মধ্যে কেউ অসুস্থ আছে কিনা,
সেই অসুস্থ কি ধরনের সেগুলো বাড়ি বাড়ি তদন্ত করে বিভাগীয় দপ্তরে রিপোর্ট পাঠাতে হচ্ছে। কালিয়াগঞ্জ এর ১৭ টি ওয়ার্ডে যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছে পৌরসভার তারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে এই কাজগুলো করছে। পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন,এখনো অব্দি স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের কাছে যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে কালিয়াগঞ্জে খারাপ কিছু রিপোর্ট নেই।পৌরপতি বলেন এর একমাত্র কারণ হল মানুষ এখন যথেষ্ট সচেতন হয়ে গিয়েছে নিজের স্বাস্থ্য এবং পরিবারের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ব্যাপারে।
পৌরপতি এদিন আবারো কালিয়াগঞ্জ বাসীর কাছে আবেদন করেন এই লকডাউন টিকে যাতে ১০০% সফল করা যায় তার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন কোন অবস্থায় যাতে কোন মানুষ বাইরে না বের হয়। মাঝে মাঝেই দেখা যাচ্ছে বহু মানুষ অযথা বাইরে বের হচ্ছে এটা ঠিক নয়।এতে আমার আপনার সকলের ক্ষতি। পৌরপতি বলেন আমরা চাইছি খুব তাড়াতাড়ি করোনা মুক্ত হতে। আর এই করোনা মুক্ত হতে গেলে আমাদের একটাই কাজ আমাদের নিজেদেরকে গৃহবন্দী থাকতে হবে।