লকডাউন চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকার 100 দিনের কাজের ছাড় দেওয়ায় খুশি গ্রামের শ্রমিকরা। পুকুর খনন করতে দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ ব্লক এর ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের টুঙ্গি লবিল্ পাড়ায় শ্রমিকদের।
1 min read১০০ দিনের কাজের ছাড় দেওয়ায় খুশি গ্রামের শ্রমিকরা। পুকুর খনন করতে দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ ব্লক এর ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের টুঙ্গি লবিল্ পাড়ায় শ্রমিকদের
তনময় চক্রবর্তী উত্তর দিনাজপুর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১০০ দিনের কাজের ছাড়পত্র মিলতেই উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ। দীর্ঘ একমাস কাজ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছিল শ্রমজীবি মানুষ।
১০০ দিনের কাজ শুরু হতেই কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন তারা।আজ কালিয়াগঞ্জ ব্লক এর ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের টুঙ্গি লবিল্ পাড়ায় দেখা গেলো একটি পুকুর খনন করতে ১০০ দিনের কাজের মধ্য দিয়ে গ্রামের শ্রমিকদের। যে সমস্ত শ্রমিকরা এতদিন লকডাউন এর ফলে বাড়িতে ছিল ।
আজ কেন্দ্রীয় সরকার গত কুড়ি এপ্রিল থেকে ১০০ দিনের কাজে ছাড় দেওয়ায় আজ তারা সেই কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে উৎসাহের সঙ্গে।শ্রমিকদের দেখা যায়
যখন তারা মাটি কাটছে পুকুরের জন্য তখন তারা সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বজায় রেখে এই কাজ করছে যেমন তেমনই বারেবারে হাত ধুয়ে নিচ্ছেন সাবান দিয়ে ।
পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রমিককে দেখা যায় নিজেদের মাক্স কেউ আবার গামছা মাক্স এর মতন বেঁধে নিয়েছে। এদিন যে সমস্ত শ্রমিক ১০০ দিনের কাজে পুকুর খনন করছে তাদের মধ্যে মফিজ উদ্দিন আহমেদ , বিপুল বর্মন, জ্যোতির্ময় বর্মন বলেন,লকডাউন যবে থেকে শুরু হয়েছে তবে থেকে তাদের কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
কারণ তারা প্রচন্ড গরিব শ্রেণীর মানুষ। দিন আনে দিন খায়। একদিন রোজগার বন্ধ হয়ে গেলে বাড়িতে সংসার কীভাবে চলবে তা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল।
এরপর আবার একমাস ব্যাপী লকডাউন। সত্যিই তারা যে কি হবে চলছিল সেটা না বলে বোঝানো যাবে না।তাই কেন্দ্রীয় সরকার এই লকডাউন এর মধ্যেও তাদের জন্য যে ছাড় দিয়েছে তাতে তারা ভীষণ খুশি এবং খুব উৎসাহের সঙ্গে তারা ১০০ দিনের কাজে যোগ দিয়েছেন। এদিন প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তারা বলেন তারা এই ১০০ দিনের কাজে পুকুর খনন করছেন। যে কাজ তারা আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত করতে পারবে।জবকার্ডধারী রা জানান, সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে উঠেছিল।
আজ থেকে কিছুটা নিশ্চিত হওয়া গেল।তারা বলেন বাড়িতে আয়ের কোনও পথ নেই। তাই ১০০ দিনের কাজ শুরু হওয়ায় রক্ষা পাওয়া গেল।কালিয়াগঞ্জ ব্লক এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসূন ধারা জানান , ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ১০০ দিনের কাজ যাতে শ্রমিকরা ঠিকঠাক পায় তার জন্য তারা দেখভাল করছেন। গতকাল থেকে এই কাজ আবার শুরু হয়েছে জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় কোথাও পুকুর খনন কোথাও আবার ক্যানেল তৈরীর কাজ।