লকডাউন এ রায়গঞ্জে ব্যবসায়ীদের হালহকিকত।
1 min readলকডাউন এ রায়গঞ্জে ব্যবসায়ীদের হালহকিকত।
কৃতিমান বিশ্বাস, রায়গঞ্জ।মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এ গোটা বিশ্ব যখন আক্রান্ত সেই সময় দেশবাসীকে ও রাজ্যবাসীকে এই করণা নামক মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করতে গত 22-03-2020 থেকে গোটা দেশজুড়ে ও রাজ্য জুড়ে চালু হয় লকডাউন। এই লকডাউন কে সফল করতে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করছে রাজ্য পুলিশ ও অন্যান্য প্রশাসন। গত 21-03-2020 তে দেশ জুড়ে জনতা কারফিউ ঘোষিত হয় এবং সেদিন থেকেই
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহর এর সমস্ত দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, লাইন হোটেল, জুতোর দোকান কসমেটিকসের দোকান, স্টেশনারি দোকান ইলেকট্রনিক্স গুডস এর দোকান ও সমগ্র ছোট থেকে বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ হয়ে যায়।
বহু খেটে খাওয়া মানুষেরা রোজ কার চলার পথে দিশাহীন হয়ে পড়েছে । শহরের বিভিন্ন চায়ের দোকানগুলো আজ বন্ধ।রায়গঞ্জ শহরের ফুটপাতে অবস্থিত সমস্ত দিন আনা দিন খাওয়া দোকানদারদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে এই নিষ্ঠুর করোনা ভাইরাস। রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ফুটপাথের ফুচকা, মোমো, চপ এগরোল এর দোকান আজ বন্ধ।
বিভিন্ন ছোট বড় ব্যবসায়ীদের জীবনে নেমে এসেছে এক ঘন কালো আঁধার। রায়গঞ্জ শহরের অতি পরিচিত রেস্টুরেন্টগুলি আজ বন্ধ। ফলে সেই রেস্টুরেন্টের মালিক সহ বিভিন্ন কর্মচারীরা আজ দিশাহীন। শহরের সুনামধন্য শপিং
কমপ্লেক্স গুলি গত 21-03-2020 থেকে বন্ধ যার ফলে আজ এক চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন শপিং কমপ্লেক্সের মালিক সহ কর্মচারীরা। এছাড়াও লকডাউন এর ফলে বন্ধ রয়েছে শহরের ছোট -বড় সমস্ত সেলুন গুলি।
পেট চালানোর তারণায় বহু সবজি ,মাছ, ফল বিক্রেতা রায়গঞ্জ শহরের সমস্ত পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সবজি, মাছ ও ফল বিক্রয় করছে। বহু সেলুন বন্ধ এবং
সেলুন কর্মীরা নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য মানুষের বাড়িতে গিয়েও তাদের চুল দাড়ি কাটতে পারছেন না এই কঠিন দুর্যোগের সময়। নিজের ও পরিবারের জন্য অন্নসংস্থান কিভাবে হবে সেই চিন্তায় দিশেহারা।চৈত্র মাসের চৈত্র সেল বহু ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফোটায়।
প্রত্যেক বছর বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করে থাকে এই চৈত্র সেল এর জন্য। কিন্তু আজ এই নির্মম করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাদের চৈত্র সেল এর বাজার। কেড়ে নিয়েছে তাদের মুখের হাসি শুভ নববর্ষের দিনেও।
এই মহামারী করোনা ভাইরাসের ফলে রায়গঞ্জের ছোট বড় সমস্ত ব্যবসায়ীদের জীবনে নেমে এসেছে এক চরম অন্ধকার। রোজকার খেটে খাওয়া মানুষদের মুখের গ্রাস কেরে নিয়েছে এই নিষ্ঠুর করোনা ভাইরাস। তবে সমস্ত নিয়ম নির্দেশ মেনে চললে
একদিন নিশ্চয়ই এই নিষ্ঠুর করোনাভাইরাস কে সকলে হারাতে পারবে, সমস্ত খেটে খাওয়া মানুষদের গৃহবন্দী হয়ে থাকার সংগ্রাম সেইদিন সার্থক হবে ।এই ঝড়ের অবসান ঘটবে। তাই নচিকেতার জীবনমুখী গানের লাইন আজ সমগ্র দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে” একদিন ঝড় থেমে যাবে পৃথিবী আবার শান্ত হবে।”