মানুষের দুঃসময়ে মানুষের পাশে দেখা যাচ্ছে না কালিয়াগঞ্জে বিজেপি নেতৃত্বের। ক্ষোভ কালিয়াগঞ্জে বিজেপির মধ্যে।
1 min readমানুষের দুঃসময়ে মানুষের পাশে দেখা যাচ্ছে না কালিয়াগঞ্জে বিজেপি নেতৃত্বের। ক্ষোভ কালিয়াগঞ্জে বিজেপির মধ্যে।
তন্ময় চক্রবর্তী। নেতারা কই ক্ষোভ গেরুয়া শিবিরে।লকডাউন এর জেরে আয় বন্ধ হয়ে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। তাদের হাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ তুলে দিতে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিভিন্ন প্রান্ত সহ কালিয়াগঞ্জে র নানা জায়গা চোষে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা।অভিযোগ খেটে খাওয়া মানুষের পাশে সে ভাবে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছেনা গেরুয়া শিবিরের নেতাদের।
আর সেই কারণেই ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপি নিচু তলার নেতাকর্মীদের একাংশের। যদিও বিজেপি জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, লকডাউন এ গরিব মানুষদের সাহায্যে তারা রাস্তাতেই আছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রামন মোকাবেলায় গত 22 মার্চ দেশজুড়ে জনতার ফুট ডাক দেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। তা ঠিক একদিন পরে রাজ্যে শুরু হয় লকডাউন।লকডাউন এর আওতা থেকে জরুরী পরিষেবা কিংবা জরুরী পণ্যের বিক্রি ছাড় দেওয়া হলেও বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের জন্য রেশনে বিনামূল্যে চাল ও আটার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি লকডাউন শুরু হতেই তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রথম সারির নেতাদের অনেকেই প্রতিদিন ত্রাণ বিলি করতে দেখা যাচ্ছে । অথচ বিজেপির কোন নেতা কি এই কাজে খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না বলে বিজেপির নিচুতলার নেতাকর্মীদের একাংশের অভিযোগ। কালিয়াগঞ্জ এর বিজেপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, এই সময় আয় বন্ধ হয়ে যাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু কিছু কালিয়াগঞ্জ এর বিজেপি নেতা রয়েছে তারা সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে এই সময় বাড়িতেই বসে রয়েছে। তলে তলে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে তাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকেই নিয়ে নিচ্ছে। অথচ এটা হওয়ার কথা নয়। এতে অনেক বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ কালিয়াগঞ্জ এ বিজেপি নেতৃত্বে উপর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন কালিয়াগঞ্জ বর্তমানে যে সমস্ত নেতারা দল চালাচ্ছেন বিজেপির তারা গোপনে গোপনে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে চলছেন। এটা ঠিক নয়। তিনি বলেন কয়েকদিন আগেও কয়েকজন বিজেপি নেতা পৌরসভায় গিয়ে তারা তাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে এসেছে। আবার অনেকে বিজেপি কালিয়াগঞ্জ এর নেতা বারে বারে ফোন করে যাচ্ছেন পৌরপতি কে তাদের কিছু এই সময় সাহায্য করার জন্য।অথচ বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক রয়েছে যারা হতদরিদ্র তাদের দিকে সেই সমস্ত বিজেপি নেতাদের এইসময় তাকানোর সময় নেই। মানুষের দুঃসময়ে যদি পাশে না থাকা যায়। তাহলে আর কোন সময় মানুষের পাশে থাকা যাবে। কালিয়াগঞ্জ এ এখন যেভাবে বিজেপি নেতৃত্ব চলছে তা সুবিধাবাদী বিজেপি বলে বিজেপির এক নেতা মন্তব্য করেছেন। গ্রামের বহু মানুষ রয়েছে যারা হতদরিদ্র এই সময় তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন মনে হয়নি বর্তমানে কালিয়াগঞ্জ এ বিজেপি নেতৃত্বের।তিনি বলেন বিগত দিনে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার যিনি প্রার্থী হয়েছিলেন কমল সরকার তাকে সময় দেখা যাচ্ছে না মানুষের পাশে থেকে কিছু সাহায্য করতে। অথচ তিনি যখন বিধানসভায় দাঁড়িয়েছিলেন তখন তার মেয়ের বিয়েতে হাজার হাজার মানুষকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ায় ছিলেন নিজের ভোটের বৈতরণী পার হওয়ার জন্য। আজ তিনি কোথায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালিয়াগঞ্জ এর বিজেপি নেতা বলেন এইভাবে যদি কালিয়াগঞ্জে শহর ও গ্রামের বিজেপি নেতৃত্ব চলতে থাকে তার ফলাফল আমাদের আগামী দিনে হারে হারে ভুগতে হবে। যদিও বিজেপির জেলার শীর্ষ নেতারা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা বলেন এমন একটা সময় তৃণমূল সরকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ। সরকারের সেই ব্যর্থতা ঢাকতে তৃণমূলের কিছু নেতা কে ছবি তুলে ঢাকঢোল পিটিয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। কিন্তু মানুষকে সাহায্য করা নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। সেই জন্য আমাদের সব স্তরের নেতাকর্মীরা প্রচার ছাড়াই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাছাড়া ভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের দেখভাল করছে আমাদের সেখানকার নেতাকর্মীরা।