লকডাউনে ঘড়ে বসে সংকল্পের তুলির টানে মমতা কার্তিক।
1 min readলকডাউনে ঘড়ে বসে সংকল্পের তুলির টানে মমতা কার্তিক।
জয়ন্ত বোস, তনময় চক্রবর্তী কালিয়াগঞ্জ।করোনা ভাইরাস সকল বয়সের মানুষ কে গৃহবন্দী করে দিয়েছে। না, করোনা করেনি তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ছোঁয়া একে অপরের সংস্পর্শে আসতে না পারে সেজন্য ভারত সরকার ও প্রতিটি রাজ্য সরকার ঘোষনা করেছে লকডাউন। অর্থাৎ কেউ বাড়ির বাহিরে বের হতে পারবেন না।
বিভিন্ন বয়সের মানুষ শিশু থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধ বৃদ্ধা কেউ না। আর এই লকডাউন এর কবলে পরে যখন সকলের নাভিশ্বাস উঠেছে তখন কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সংকল্প চক্রবর্তী এগিয়ে এসেছে ঘড়ে বসে কিভাবে সময় কাটানো যায়। কালিয়াগঞ্জ শহরের আখানগরের বাসিন্দা ছোট্ট পড়ুয়া সময় কাটানোর দিশা দেখিয়ে আমাদের বর্তমানের কথা নিউজ চ্যানেল কে জানিয়েছে।
পড়াশোনা করার ফাঁকে কখনো ছবি এঁকে, কখনো বাবার সাথে দাবা খেলে সময় কাটানোর পাশাপাশি সকলের জন্য এক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বার্তা দিয়েছে। এ এক সংকল্পের মাঝে পাওয়া গেল সংকল্প কে। তুলির টানে এঁকে ফেলেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে, তুলির টানে এঁকে ফেলেছে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক পাল কে। কেন এই দুজনের ছবি ?
তার কথায় রাজ্যে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী এই ভাইরাসের ছোবল থেকে সকলকে সুস্থ রাখতে আন্তরিক ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তেমনি কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল। পৌরসভার বিশেষকরে ময়লা পরিষ্কার করার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের দিয়ে সমগ্র পৌর এলাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, জীবানুমুক্ত করতে ফিনাইল ও জল দিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, অন্য কর্মীদের দিয়ে গরীব মানুষদের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করার জন্য। এমনকি সকলের কাছে এই ছোট্ট পড়ুয়া অনুরোধ করেছে বাড়ির বাহিরে কেউ বের হবেন না, সাবান দিয়ে মাঝে মাঝে হাত পরিষ্কার করার বার্তাও। এহেন এক বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কের বাতাবরন এর মাঝে সরকারি নির্দেশ নামা লকডাউন রুল্স মেনে চলার সংকল্পের মাঝে খুঁজে পাওয়া গেল কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার আরো এক সংকল্প কে।