October 23, 2024

ঘর ফাঁকা করে শাসক শিবিরে চলে গিয়েছিলেন কংগ্রেস দলের জয়ী কাউন্সিলররা, তাই আসন্ন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ভোটে কংগ্রেস ও সিপিআইএম প্রার্থী হিসেবে নতুন মুখ খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে ।

1 min read

ঘর ফাঁকা করে শাসক শিবিরে চলে গিয়েছিলেন কংগ্রেস দলের  জয়ী কাউন্সিলররা, তাই  আসন্ন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ভোটে কংগ্রেস ও সিপিআইএম প্রার্থী হিসেবে নতুন মুখ খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে

তন্ময় চক্রবর্তী  ঘর ফাঁকা করে শাসক শিবিরে চলে গিয়েছিলেন বিরোধী দলের জয়ী কাউন্সিলররা। তাই আসন্ন কালিয়াগাঞ্জ  পুরসভা ভোটে প্রার্থী হিসাবে নতুন মুখ খুঁজতে হিমশিম অবস্থা সিপিএম ও কংগ্রেসের। দুই  দলকেই পুরসভা ভোটে নতুন মুখ খুঁজতে হোঁচট খেতে হচ্ছে। যার নিট ফল এই দুই  দলই এখনও প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজই করে উঠতে পারেনি। গত কয়েকটি ভোট থেকেই বাম ও কংগ্রেস দুই শিবিরের মধ্যে রক্তক্ষরণ চলছে। এই অবস্থায় পুরভোটে প্রার্থী হিসাবে নতুন মুখ পেতে যে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে একথা ফ্রন্ট শরিক সিপিআইএম কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছে। যদিও কংগ্রেসের দাবি করেছে, পুরভোটের প্রার্থীর জন্য নতুন মুখ খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। নতুন মুখ পেতে অসুবিধা হবে না।

 

 

২০১৫ সালে কালিয়াগঞ্জ  পুরসভার ভোটে ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিপিএম ১৭টি,  কংগ্রেস ১৭ টি বিজেপি ১৭ টি ওয়ার্ডে প্রাথি দেয় ।   তারমধ্যে সিপিএম ১ টি  বিজেপি ১ টি  ও কংগ্রেস ১৫ টি ওয়ার্ডে জেতে। তৃণমূল কংগ্রেস সেই সময় একটি ও আসন পায়নি।পরবর্তীতে বিজেপির এক জন এবং কংগ্রেসের ১২ ’জন কাউন্সিলারই দল ছেড়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যান।  এরপর কংগ্রেসের দলছুট কাউন্সিলারদের নিয়ে পুরবোর্ডের দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় কংগ্রেস ও বিজেপি দলের দলছুট সমস্ত কাউন্সিলররা ছিলেন   প্রত্যেককেই হেভিওয়েট কাউন্সিলার।ফলে তাঁদের দলত্যাগের ফলে  কংগ্রেসে এর ঘড়   ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, এই অবস্থায় কংগ্রেসকে আসন্ন পুরভোটে নতুন মুখ খুঁজতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে।

কারণ ওই কাউন্সিলারদের সঙ্গে তাঁদের নিজের নিজের ওয়ার্ডের ভোটাররাও শাসক দল তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। ফলে সেসব ওয়ার্ডে  কংগ্রেস সিপিআইএম  দলের মধ্যেই চরম শূন্যতা তৈরি হয়েছে।জেলা কংগ্রেস এক নেতা  বলেন, আমাদের দলের জয়ী কাউন্সিলররা দল ছেড়ে চলে গেলেও দলে কোনও শূন্যতা তৈরি হয়নি। এসব অপপ্রচার। পুরভোটের প্রার্থী হিসাবে আমরা নতুন মুখ খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছি। নতুন মুখ পেতে অসুবিধা হবে না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালিয়াগাঞ্জ এর এক সিপিএইএম নেতা  বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরভোটের প্রার্থী হিসাবে বামেদের বা কংগ্রেসের নতুন মুখ পেতে অসুবিধা হবেই। এই অবস্থায় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বাম ও কংগ্রেসের সর্বসম্মত প্রার্থী হলে ভালো হয়।প্রসঙ্গত, ধারাবাহিক রক্তক্ষরণের কারণে তৃণমূল ও বিজেপিকে ঠেকাতে এবং নিজেদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি রুখতে কংগ্রেস ও বামেরা এবার পুরভোটে জোট করে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও বাম বা কংগ্রেস দুই শিবির সেকথা স্বীকার করছে না। বাম বা কংগ্রেস দুই শিবির স্বীকার করুক আর না করুক দলের জয়ী কাউন্সিলাররা ঘর ফাঁকা করে তৃণমূলে চলে যাওয়ায় বাম ও কংগ্রেস দুই শিবিরকেই প্রার্থী হিসাবে নতুন মুখ পেতে বেগ পেতে হবেই। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।তবে যাই হোক না কেন এবারের ভোটে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি তার একটি মাত্র কারণ গত 30 বছরে যা উন্নয়ন হয়নি কালিয়াগঞ্জে। তা তৃণমূল কংগ্রেস পৌরসভা দখল করার পর এখন উন্নয়ন এর জোয়ার বইছে সারা শহর জুড়ে। আর এতেই সাধারণ মানুষের রাজ্যের শাসক দলের প্রতি আস্থা বেড়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *