প্রধানমন্ত্রী সামাজিক সহায়তা প্রকল্পে কালিয়াগঞ্জ এর লোহাতারা গ্রামের সহায় সম্বলহীন বিধবা মহিলা অমলা রায় পেলেন ৪০ হাজার টাকা।
1 min readপ্রধানমন্ত্রী সামাজিক সহায়তা প্রকল্পে কালিয়াগঞ্জ এর লোহাতারা গ্রামের সহায় সম্বলহীন বিধবা মহিলা আমিলা রায় পেলেন ৪০ হাজার টাকা।
তন্ময় চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের কালিয়াগঞ্জ এর ডালিমগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাতারা গ্রামের আমিলা রায় পেলেন ৪০হাজার টাকা। ফলে খুশি সহায়-সম্বলহীন আমিলা রায়।আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে তার বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী তার ছেলের মৃত্যু হওয়ার পর
তিনি ভেবে উঠতে পারেননি যে কিভাবে আগামী দিনে তিনি দিন গুজরান করবেন। কারণ তার এখন অনেক বয়স হয়েছে। এখন আর তেমন ভাবে খাটাখাটনি করে উপার্জন করার মত তার শক্তি নেই। এমত অবস্থায় তার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত সরকার।ডালিমগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে তিনি পেলেন প্রধানমন্ত্রী সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের 40 হাজার টাকা।
এক চিলতে কুঁড়েঘরে যার থাই সেই অমিলা দেবী বলেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপর প্রচুর কৃতজ্ঞ। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী তার মত সহায়-সম্বলহীন দারিদ্রদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তার জন্য তিনি অত্যন্ত খুশি। তিনি জানান আগামী দিনে তার চলার পথে এই টাকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারণ তার এখন বয়স হয়েছে।
অসুখ-বিসুখ হলেই মাঝেমাঝেই তাকে ডাক্তার দেখাতে যেতে হবে সেই সময় তিনি টাকা কোথা থেকে পাবেন। তাই এই টাকা তার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন তার সম্পূর্ণ টাকায় ব্যাংকের রেখে দেওয়া আছে। তিনি আরো বলেন তার স্বামী আজ থেকে কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার পর তার বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী ছিল তার ছেলে তুলেন রায়। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সেই খেলেও গতবছর অসুখে মারা যায়।
ফলে খুবই অসহায় এর মধ্যে তাকে পড়ে যেতে হয়েছিল। আগামী দিনে তিনি কিভাবে চলবেন সেই নিয়ে দেখা দিয়েছিল সংশয়। এরই মধ্যে আশার আলো দেখতে পেল এই বিধবা মহিলা অমীলা রায়। ডালিমগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে উদ্যোগ নিয়ে অমীলা দেবীকে ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক সহায়তা প্রকল্পে সহায়তা পাওয়ার জন্য এই প্রকল্পের ফরম ফিলাপ করে পাঠানো হয়।
এরপর কিছুদিনের মধ্যেই ভারত সরকার এই বিধবা মহিলাকে সামাজিক সহায়তা প্রকল্পে ৪০হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য ব্যাংক মারফত তাকে দেয়। ফরে খুশি এই বিধবা মহিলা অমীলা রায়। তিনি বলেন আগামীদিনে চলার পথে তার এই টাকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।এদিকে এই সহায়সম্বলহীন মহিলা ভারত সরকারের সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য পাওয়ায় খুশি লোহা তারা গ্রামের মানুষরা।
এমনই এক সাধারণ মানুষ তুলেন রায় জানান, গ্রামের এই ধরনের সহায় সম্বলহীন গরিব মানুষদের পাশে যে ভাবে প্রধানমন্ত্রী দাঁড়াচ্ছেন তাতে তিনি খুবই খুশি।তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের এই সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে যে বাড়ির কর্তা মারা যাওয়ার পরে যে বাড়িতে সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা ভেঙে পড়ে তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় সরকার তাকে বাহবা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই বলার ভাষা নেই। এদিকে দুই নম্বর ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ধীরেন রায় জানান, অমীলা রায় একজন প্রবীণ বিধবা মহিলা। তার বাড়িতে তার উপার্জনের একমাত্র ব্যাক্তি ছিলেন তার ছেলে। কিন্তু হঠাৎ তার ছেলে মারা যাওয়ার পর তার ভীষণ অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলেন।গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তার অসুবিধার কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী সহায়তা প্রকল্পের ফরম ফিলাপ করে পাঠানো হয়। এবং ভারত সরকার থেকে সে বিধবা মহিলা এই প্রকল্পে 40000 টাকা পেয়ে যান। তারা খুবই খুশি এই বিধবা মহিলা ভারত সরকারের সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য পাওয়াতে।