October 24, 2024

আদিবাসী যুবতীকে গণ ধর্ষণের ঘটনায় মোট দু’জনকে গ্রেফতার

1 min read

গণ ধর্ষণের ঘটনায় মোট দু’জনকে গ্রেফতার করল কুশমন্ডি থানার পুলিশ

শঙ্কর গুপ্তা।বর্তমানের কথা আদিবাসী যুবতীকে গণ ধর্ষণের ঘটনায় মোট দু’জনকে গ্রেফতার করল কুশমন্ডি থানার পুলিশ। ধৃত দু’জনের নাম  রাম প্রবেশ শর্মা( ৪৫) ও আন্ধারু বর্মণ(৫০)। দু’জনের বাড়ি কুশমন্ডি থানার দেহাবন্দের ঘাটপাড়া এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃতদের গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১১ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে কুশমন্ডি থানার পুলিশ। অন্য দিকে নির্যাতিতা যুবতীর অবস্থা আগের থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।প্রসঙ্গত, নির্যাতিতা যুবতির বাবা মা বছর ১৪-১৫ আগে মারা গেছে। বছর সাত আট আগে বিহারে তার বিয়ে হয়। এদিকে বিয়ের পর হঠাৎ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরে। মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরার পর থেকে বাড়ি দেহাবন্দের ঘাটপাড়া এলাকায় থাকত সে। পাড়া প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা খাওয়ার দিত তাকে। শিব পুজো উপলক্ষ্যে কয়েক দিন বাউল গান অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের পতিরাজপুরে শ্রীমতি নদীরপারে। বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে ওই এলাকায় যায় ওই যুবতীও।সেখানে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয়রা। এরপর রাতে মেলা চত্বর থেকে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। পাশের ব্রীজের নীচে সরিষা খেতে গণ ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে হাত ও লোহার রড ঢুকিয়ে বের করে দেওয়া হয় জরায়ু। এমন অবস্থায় রবিবার বিকেল অবধি ধান খেতের পাশে পরে থাকে ওই যুবতী । বিকেলে বিষয়টি নজরে এলে স্থানীয়রা ওই যুবতী কে উদ্ধার করে কুশমন্ডি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় রায়গঞ্জ হাসপাতালে।সেখানে তিন ঘন্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলে তার। তার পরেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  রামপ্রবেশ শর্মা (৪৫) ও আন্ধারু বর্মণ(৫০)নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন কুশমন্ডি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। ঘটনাস্থলে যায় আর এসপির মহিলা নেতৃত্ব সহ আদিবাসী কয়েকটি সংগঠন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *