October 26, 2024

গ্রামে গঞ্জে পঞ্চাযেতি রাজের হাতিয়ার একমাত্র উন্নয়ন,হিংসার রাজনীতি নয়

1 min read
                                       তপন চক্রবর্তী-সম্পাদক–বর্তমানের কথা
রাজ্যের গ্রামে গঞ্জে গ্রাম সরকারের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রাম সরকার গড়তে হবে।গ্রামোন্নয়নই হবে গ্রাম সরকার গরবার একমাত্র হাতিয়ার।হিংসার রাজনীতি অথবা সন্ত্রাসের পথ এর একটিও মজবুত গ্রাম সরকারের লক্ষণ নয়।

অথচ রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাক বাজতে না বাজতেই এপ্রিল মাসের প্রথম থেকেই রাজ্যের রাজনীতি দিনের পর দিন ক্রমশ লাগাম ছাড়া জায়গায় যেতে বসলেও রাজ্য সরকারের সে ব্যাপারে কোনরকম ভ্রূক্ষেপ তো নেয়ই বরং সন্ত্রাসের লাগাম কষে ধর বার নেই কোন রকম তৎপরতা।রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার এ রাজ্য থেকে বিগত ২০১১ সালে চলে যাবার পর ২০১৩ সালে মা মাটি মানুষের সরকারের আমলে প্রথম ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।২০১৩ সালেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজ্য সরকারের সাথে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চরম তিক্ততা শুরু হয়েছিল।অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শেষমেষ পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।মা মাটি মানুষের সরকারের আমলে গ্রাম বাংলার পঞ্চয়েতে অনেক ব্যর্থতা থাকলেও সাফল্যের ফিরিস্তি নেহাত কম কিছু নেই।
                         
 বিগত পাঁচটি বছরে রাজ্য সরকার গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামের মানুষদের যথেষ্টই উন্নয়নের পরিষেবা পাইয়ে দেবার চেষ্টা করেছে এ ব্যাপারে কারো কোন সংশয় নেই।গ্রামেগঞ্জে যেখানে এই সরকারের আমলে হত দরিদ্র মানুষেরা যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা পেয়েছে।সবারই একটাই সর্বত্র আলোচনা তাহলে শাসক তৃণমূলের স্বচ্ছ তার মধ্য দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে কোথায় অসুবিধা। কেনইবা রাজ্যের বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে  বাধাপ্রাপ্ত হতে হবে।কেনইবা শাসক তৃণমূল দল শান্তিপূর্ণ উপায়ের পরিবর্তে সমগ্র রাজ্যে অরাজকতা সৃষ্টিকেই অগ্রাধিকার দিতে চাইছে।গ্রামে গঞ্জের মানুষের মধ্যে একটাই প্রশ্ন বার বার উকি মারছে রাজ্য সরকার এত উন্নয়ন করবার পরেও শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সন্ত্রাসের তকমা লাগাতে দ্বিধা করছেনা ।
কেনই বা রাজ্যের মন্ত্রীকে ঘোষণা করে বলে দিতে হবে বিরোধী শুন্য জেলা করলেই  পাঁচ কোটি ইনাম। আসলে সাধারণ মানুষের মধ্যে কেন যেন অকারনে শাসক দলের অধিকাংশ সমর্থকেরা তৃণমূল নেত্রীর প্রকৃত উন্নয়নের কাজকর্মকে কালিমালিপ্ত করে শাসক দলকে একটা প্রশ্ন চিহ্নের সামনে নিজেরাই দাঁড় করিয়েছে।যার কোন যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়না।যেখানে তৃণমূলের নেতৃত্ব বারবার একই কথা বলছে এ রাজ্যে বিরোধী দল বলে কিছুই নেই। নেই সিপিআইএম এর পূর্বের সেই  ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন,কংগ্রেসকে দূর বীন দিয়ে খুঁজতে হয় এবং গেরুয়া শিবির আজও এ রাজ্যে দানা বেঁধে ওঠার মত জায়গায় পৌছেতে পারেনি তাহলে সেই বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকা রাজনৈতিক দলকে নিয়ে শাসক দলের এত চিন্তার কারন কি বা মাথা ব্যাথার কারন থাকতে পারে।শাসক দলের এহেন কাজকর্মে গ্রামে গঞ্জে এই দল নিজেরাই কি তাদের উন্নয়নের ফসলকে কালিমালিপ্ত করছেনা।
তাই সাধু সাবধান।মনোনয়ন পর্ব যে ভাবেই হোক শেষ হয়ে গেছে।ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট হয়তো বা বুধবার কোন এক সময় ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। মনোনয়ন পত্র যে সমস্ত বিরোধী দলের সমর্থকেরা জমা দিয়েছেন তাদেরকে অকারনে জোর করে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা  থেকে বিমুখ করবার চেষ্টা না করাই শ্রেয় শাসক দলের স্বার্থের কথা ভেবেই ।এমনিতেই বাংলার সুনাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে গোটা রাজ্যে যথেষ্টই অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে।রাজ্যের শাসক দলের সুনাম যে ভাবে ক্ষতি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সন্ত্রাসের বলি হয়েছে দিলদার। মায়ের কোল খালি করে ইতিমধ্যেই তরতাজা দিলদার অকারনে বলির স্বীকার হতে হয়েছে।সে ব্যক্তি যে দলেরই হোক না কেন।মূলত সেই যুবক তো আমার আপনার ঘরেরই।আসলে প্রকৃত উন্নয়নের স্বাদ গ্রামে গঞ্জের মানুষ পেলে সেই স্বাদ সহজে ভোলার নয় আমরা তা সবাই জানি।তাই গ্রামের মানুসেরা আজও  অসচেতন আছে তা মনে করার কোন কারনও নেই।তারা  বোঝে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ।তাই ভোটের দিন ঘোষণা হলেই তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করুন, পেশিশক্তি দিয়ে আর নয়।শাসকদল যদি 2013 সালে সারা রাজ্যে ভোটের জমিতে ভালো বীজ বপন করে থাকে তাহলে অবশ্যই ভালো ফসল পাওয়া যাবে তা হলফ করেই বলা যায়।আর  শোধন করা বীজ  না লাগিয়ে যদি শোধন বিহীন বীজ বপন করা হয় তাহলে সঠিক ফসল যে পাওয়া যাবে তা জোর দিয়ে কোন জমির মালিক বলতে পারেনা।প্ৰশ্ন উঠছে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এত অশান্তির মূল কারণ কি তাহলে শোধনহীন বীজের কারণেই।এবার পরখ করে দেখে নেওয়া যাক না যে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলোর জনমানসে কেমন প্রভাব।রাজ্যের মানুসের আস্থা প্রকৃত পক্ষে কার প্ৰতি অটুট রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *