October 26, 2024

" তুমি রবে নীরবে , প্রিয় দা"

1 min read

তন্ময় চক্রবত্তী ঃ-  আজ 
থেকে কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন  নির্বাচনে
 এই বাড়ি থাকত জমজমাট কংগ্রেসের নেতা কর্মী থেকে আপনজনদের উপস্থিতিতে, পুজোর সময় এই ঠাকুর দালাল থাকত জমজমাটপুজোর সময় ঢাকের তালে মেতে উঠতেন তিনি
প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীর অসুস্থতা  কেড়ে নিয়েছিল সব আনন্দ
২০০৮ এর ২৫ অক্টেবর সব কিছুই যেন শেষ প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীর অসুস্থতা  কেড়ে নিয়েছিল সব আনন্দতবুও অপেক্ষা ছিল ফুলের বাগান,উঠানপ্রাঙ্গন থেকে সব আপন জন ই চেয়েছিল তাদের প্রিয়দা আসবে ফিরে উত্তর দিনাজপুরেকালিয়াগঞ্জের শ্রীকলনীর বাড়িতেআবার সকলকে বলবে তোরা কেমন আছিস?

সব আপন জন  চেয়েছিল তাদের প্রিয়দা আসবে ফিরে কালিয়াগঞ্জের শ্রীকলনীর বাড়িতে
কিন্তু না এসে পৌছায় দুঃসাংবাদপ্রয়াত হয়েছেন প্রিয়রঞ্জন দাশমন্সীঅসুস্থ্য থাকায় 
 আসতেন না ঠিকই কিন্তু তার প্রিয়জনদের আশা ছিলই তিনি আসবেন ই
ফিরে

আজ সব কিছুই অতীত হয়ে গেছে
আর তাই জীবনে অনেক হেরে যাওয়ার লড়াই মিরাক্কাল ঘটিয়ে হেরে যাওয়ার লড়াইয়ে জিতে যাওয়ার অভ্যাস ছিল প্রিয়রঞ্জনের কিন্তু নিজের জীবনের লড়াই কোন মিরাক্কাল ঘটল না কখনো পাশের বাড়ির ছেলে বৈদ্য  কখনো বন্ধু ,কখনো দাদা, কাছের মানুষের চোখে হারালো অশ্রু

বাড়ির ছেলে বৈদ্য


 কোলকাতা পুরসভার ৮৮ নাম্বার ওয়ার্ডে সাদা ফলকের উপর লেখা  বাড়ির ঠিকানা পাশাপাশি কালিয়াঞ্জের নিজের বাড়িতে ঢোকার মুখে এখনো জ্বলাজ্বল করছে বাড়ির ঠিকানা  

তোরা কেমন আছিস?
বাড়িতে এখনো রয়েছে রান্নার সব কিছুই সরাঞ্জম বাড়িতে যিনি রান্না করতেন তিনি মনে মনে ভাবছেন প্রিয়দার মনের মতো রান্না কি আর  হবে এই বাড়িতে ?

রাজ্যের গন্ডী ছড়িয়ে জাতীয় রাজনিতিতে এক উজ্জল জ্যেতিস্কের মতোই থেকে গিয়েছেন
প্রিয়দার কালিয়াগঞ্জের বাড়ির যিনি রান্নার দায়িত্বে ছিলেন তিনি বলেন দাদার প্রিয় ছিল মুসুড়ির ডাল,লাল শাখ, রুইমাছের ঝোল 
আলুর সাথে ডাটা দিয়ে পাতলা 
ঝোল 
 দাদার প্রিয় ছিল মুসুড়ির ডাল,লাল শাখরুইমাছের ঝোল   আলুর সাথে ডাটা দিয়ে পাতলা  ঝোল
আজ সব কিছুই অতীত হয়ে গেছে প্রতিবেশীরাও ছিলেন আপন জন চায়ের দোকানে আড্ডা থেকে আত্মীয়তা প্রিয়রঞ্জন সবার কাছে বড্ড ভালো মানুষ

মুখের জরায় আর ঝপসা চশমায় বাধক্য ভোলে নি  প্রিয় কেরাজ্যের গন্ডী ছড়িয়ে জাতীয় রাজনিতিতে এক উজ্জল জ্যেতিস্কের মতোই থেকে গিয়েছেন

শুন্যতা চিরদিনের জন্য
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী তার আলোতেই উজ্জল ছিলকালিয়াগঞ্জের শ্রীকলনীর পৈত্রিক ভিটে আজ প্রিয় নেই সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন বাড়ির সব আলোসম্বল বলতে এখন শুধু শুন্যতা চিরদিনের জন্য। 

উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ,  ছোট এই জনপথই এক ব্যাক্তির ক্যারিশমায় বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল

এক সময় তাবর তাবড়  রাজনিতির নেতার আনা গোনায় দাশমুন্সীর ভিটাতে ছিল
এক সময় তাবর তাবড়  রাজনিতির নেতার আনা গোনায় দাশমুন্সীর ভিটাতে ছিল কিন্তু নয় বছর আগেই এক আকস্মিক ঘটনা যেন সব কিছুই উলোট পালট করে দিল 

কেন্দ্রের গুরু ভার সামলিয়ে পুজো তে আনন্দ করতে আসটাই শেষ আসা ছিল এক গাল হাসি নিয়ে চলাফেরা করা মানুষটার বছর পর ফের এলেন তিনি তবে সশরীর  নয়
এলেন
 কাধে চড়ে কফিন বন্দি হয়ে

শেষবার প্রিয়জনকে দাখতে অগনিত মানুষের ভীড় সকলকে কাদিয়ে বিদায় নেওয়ার পর যেন প্রিয় মানুষটা পিছু ছাড়ছে না কালিয়াগঞ্জ শ্রীকলনীর বাড়ি যেন সব ইতিহাসের সাক্ষী  হয়ে আছে 

শ্রীকলনীর বাড়ি যেন সব ইতিহাসের সাক্ষী  হয়ে আছে
কারন এই বাড়িতে 
বসেই তিনি বিভিন্ন সময় নেতা কমিদের সাথে যেমন আলোচনা করতেন তেমন বিভিন্ন নিবাচনের রনকৌশলও তিনি তৈরী করতেন কিভাবে জেলাতে কংগ্রেস দলের শ্রীবদ্ধি হবে

এখানে বসেই প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী বুঝিয়ে দিতেন  দায়িত্ব 
নিবাচন এলেই সমস্ত ব্যানার ফেস্টন যেত জেলার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে এই বাড়ি থেকে
 তেমন এখানে থেকে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী বুঝিয়ে দিতেন  দায়িত্ব নিবাচনের সময় জেলার ব্লক স্তরের নেতা কমীদের





সকলের উপস্থিতিতে যেন শ্রী কলনীর 
এই দাশমুন্সী বাড়ি চাদের হাট হয়ে যেত নিবাচনের সময়  


কিন্তু আজ বাড়িও রয়ে গেছেআছে তার গাড়িও।থেকে গেছে তার বসার  চেয়ার সহ বিভিন্ন স্মৃতি কিন্তু নেই শুধু প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী




তবে জেলা কংগ্রেস কিন্তু আজ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সীর নিদেশিত পথ কে অনুসরন করে এগিয়ে চলছেআজ আবশ্য অনেক নেতাই আছেন 
যারা এক সময় সবক্ষনের ছায়া সঙ্গী হিসাবে 
ছিলেন প্রিয়রঞ্জণের  পাশে কন্তু আজ তারা অনেকেই চলে গেছেন বিভিন্ন দলে


তবুও তাদের কথা দল তারা পরিবতন করলেও  প্রিয় দাকে তারা ভোলেন  নি তাদের কথা প্রিয়দা প্রিয়দাই দাদার কোন বিকল্প নেই 


অপরদিকে প্রতিবারের মতো কংগ্রেস দল প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী নিতি আদর্শ  কে অনুসরন করে এগিয়ে চলছে গ্রামে গ্রামে এবার পঞ্জায়েত নিবাচণের  প্রচারে 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *