October 26, 2024

' চলো যাই ' পর্ব- 1

1 min read


 দেবাঞ্জলী চক্রবর্তী ” ধারতি কা স্বোয়ার্গ ” —- ঠিক ধরেছেন,  এই গরমে প্রখর দাবদাহে যখন জীবন ত্রাহি ত্রাহি তখন একটু দৈনন্দিন জীবনে শীতলতার স্পর্শ  পেতে আমরা “চলো যাই” টিম পৌছে গেছি মানালি তে। হিন্দিতে মানালিকে ” ধারতি কা স্বোয়ার্গ বলে। হিমাচল প্রদেশের বিয়াস নদীর উপত্যকায় সমুদ্রপৃস্ঠ থেকে প্রায় 2050 মিটার উচ্চতায় অবস্থিত একটি ছোট্ট পাহাড়ি শহর মানালি। পূরাণ মতে হিন্দু মনু দেবতার নামানুসারেই এই শহরের নামকরন। প্রায় 40,000 হাজার লোকের বাস মানালিতে । এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে এতটাই মোহিত হতে হয় যে নিজের অজান্তেই কখন যেন আপনি স্বর্গীয় অনুভূতিতে হারিয়ে যাবেন। মানালিতে দর্শনীয় স্থান অনেক যেখানে গেলে মনে হয়  ‘ আবার আসিব ফিরে’ । সোলাং ভ্যালি:  অ্যাডভ্যানচার প্রেমীদের জন্য  এটি খুব প্রসিদ্ধ জায়গা। রোটাং পাস যাওযার পথে এই স্থান পড়ে । মানালি থেকে 14 কি.মি দূরে সোলাং ভ্যালি ।

এখানে হর্ষ রাইডিং , রোপওযে ,প্যারাগ্লাইডিং এইসব হয় ।রোটাং পাস: মানালি থেকে 32 মাইল দূরত্বে  প্রায় 13,050 ফিট উচ্চতায় এই জায়গা । আঁকাবাঁকা পাহাড়ী দুর্গম রাস্তায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আপনি পৌছে যাবেন বিশাল বিশাল প্রস্তর ঘেরা এই রোটাং পাসে যা কিনা কুলু , স্পিটি ও লাহোল উপত্যকাকে এক সূতোঁয় বেঁধে রেখেছে ।ভাগ্য দেবতা যদি সুপ্রসন্ন থাকে তাহলে আপনি শ্বেতশুভ্র বরফের চাদরে আবৃত রোটাং পাসের সাক্ষী থাকবেন। তবে হ্যাঁ , এখানে অতিরিক্ত বরফ পড়ে বলে বিশেষ জুতো, ওভারকোট এইসব ভাড়াঁ পাওয়া যায় । মনিকরন : মানালি যাওযার পথে পার্বত্য অঞ্চলের উষ্ণ প্রসবনের জন্য বিখ্যাত ।

 এইখানে বহু লোকের সমাগম হয় স্নান করার জন্য । এছাড়াও এখানে একটি গুরুদুযার আছে। মানালিতে যাওযার সঠিক সময় এপ্রিল থেকে জুন । এই সময় এখানকার আবহাওয়া মনোরম থাকে ।

এছাড়াও এখানে অনেক লজ্ এমনকি বাঙালী হোটেলও আছে । এই রে, বাঙালী হোটেল বলতে মনে পড়ল বলে এসেছিলাম সন্ধ্যায় ফিরে মাছ ভাজা আর কফি খাব।আজ তবে আসি বন্ধুরা, কাল আমি আবার জানাবো বাকী স্থানগুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *