October 26, 2024

উন্নয়নের প্রেক্ষাগৃহে দাদাদের অভিনীত " দাদার কীর্তি " ছবি ভালো মার্কেট পাচ্ছে না

1 min read

জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা ––১৯৮০ সাল, বাংলা সিনেমায় একের পর এক ছবি হিট হচ্ছে আর প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের উপচে পরা ভিড়। ঠিক সেই সময়ের হিট ছবির মধ্যে তরুন মজুমদার পরিচালিত তাপস পাল, মহুয়া রায়চৌধুরী ও দেবশ্রী রায় অভিনীত ছবির কথা পাঠকদের সকলের মনে আছে নিশ্চয়ই। ছবির নাম ” দাদার কীর্তি “। অভিনয়ে কেদার (তাপস পাল) একজন সাদাসিধা সরল মনের ছেলে । তিন বার বিএ পরীক্ষায় পাস করতে না পারলে তার বাবা অত্যন্ত রেগে যান এবং তাকে বিহারের একটি শহরে তার কাকার কাছে পাঠিয়ে দেন । সরল মনের ছেলে কেদার কাকার বাড়িতে এসে খুড়তুতো ভাই সন্তুর (অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়) বন্ধুবান্ধবদের হাসিঠাট্টার শিকার হয় । এদের নেতা ছিল ভোম্বল (অনুপ কুমার) । কেদার, সরস্বতী (মহুয়া রায়চৌধুরী) নামের একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে ।

 সে ছিল খুব কড়া গোছের সিরিয়াস মেয়ে । সরস্বতীর বোন বিনির (দেবশ্রী রায়) সাথে আবার সন্তুর বিয়ের ঠিক হয়ে ছিল। সরস্বতীর বাবা মাও কেদারের সরলতায় খুশি হয় এবং সরস্বতীও তার প্রতি নরম মনোভাব দেখায় । ভোম্বলদার কেরামতিতেই দুজনের মধ্যে ভালবাসার পূর্বভাগ আরম্ভ হয়। কিন্তু ভোম্বল এবং তার দলের কলকাঠিতে তাদের দুজনের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হয় । সরস্বতী কেদারের উপর ভীষন বিরক্ত এবং রেগে ওঠে এবং সে ভাগলপুরের অন্য একটি ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়। তারপরে যা হবার তাই হয়েছিল যেটা সকলের জানা। ” দাদার কীর্তি ” ছবির এই স্লট অবধি ভোম্বল ও তার দলের কলকাঠিতে কেদার ও সরস্বতীর ( তাপস পাল ও মহুয়া রায়চৌধুরী) মধ্যে একটা বিশ্বাস ও ভালোবাসা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল , ঠিক তেমনি ” বদলা নয় বদল চাই ” পরিচালিত দিদির উন্নয়নের প্রেক্ষাগৃহে দাদাদের অভিনীত ” দাদার কীর্তি ” ছবি কেন জানি ভালো বাজার পাচ্ছে না অর্থাৎ দর্শকদের মনে লাগছে না। আর লাগছে না বলেই এত সুন্দর উন্নয়ন প্রেক্ষাগৃহগুলি দর্শক টানতে ব্যার্থ হচ্ছে।
 ভোম্বল ও তার দলের সাগরেদদের কলকাঠিতে যেমন নায়ক নায়িকার মধ্যে একটা বিশ্বাস ও ভালোবাসা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ঠিক তেমনি বাংলার রাজনৈতিক ” বদলা নয় বদল চাই” পরিচালিত উন্নয়নের প্রেক্ষাগৃহে ” দাদার কীর্তি ” ছবিতে দাদাদের কী এমন অভিনয় যেখানে দর্শকদের মধ্যে বিশ্বাস, ভালোবাসা ও ভালোলাগার অভাববোধ তৈরী হতে শুরু করেছে। এর কারন বিভিন্ন মানুষের মুখে শোনা যাচ্ছে  দাদাদের অভিনয় নাকি মানুষদের প্রেক্ষাগৃহ মুখী করে তুলতে পারছে না। ১৯৮০ সালের সেই বিখ্যাত বাংলা ছবি ” দাদার কীর্তি” দেখা এক দর্শক বললেন বর্তমানে উন্নয়নের প্রেক্ষাগৃহে যে ” দাদার কীর্তি ” চলছে তার নমুনা স্বয়ং সেই দাদা  যিনি নিজেই বলেছেন তিনি “চন্দননগরের মাল”৷ তাঁর সাংসদ এলাকায় যাঁরা বিরোধী রাজনীতি করেন তাঁদের “ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে রেপ করে দেওয়ার” হুমকি দিয়েছিলেন ৷ মাননীয় দাদা তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে কৃষ্ণনগর থেকে জিতে আসা লোকসভার সাংসদ তাপস পাল ,
” দাদার কীর্তি ” ছবির নায়ক। এই দাদাকেইতো পরবর্তী কালে অনুসরন , অনুকরণ করে বাংলার অঞ্চলে, ওয়ার্ডে, শহরে, গ্রামে, ব্লকে,জেলায় ও রাজ্যে সংখ্যাধিক্য দাদাদের উতপত্তিতে বিশ্ববাংলায় আজ উন্নয়নের প্রেক্ষাগৃহে ” দাদার কীর্তি ” ছবি কিন্তু ভালো মার্কেট পাচ্ছে না । তবে জনসাধারনদের উন্নয়নের প্রেক্ষাগৃহমুখী করে তুলতে ডাইরেক্টরের মুখ্য ভূমিকা কি হয় সেদিকে সকলের চোখ, সেদিক বলতে ২০১৯ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *