October 27, 2024

বিশ্ব উষ্ণায়নের বাতা কে সামনে রেখে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়ে চলছেন যোগীপুকুর গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ সরকার

1 min read

তন্ময় চক্রবর্তী বিশ্ব উষ্ণায়ন কী? তা তিনি বোঝেন না। দূষণের জেরে তেজস্ক্রিয়তা
ছড়ানোর বিষয়টিও তাঁর অজানা। শুধু বোঝেন
, আগামীকে বাঁচাতে সবুজায়ন চাই। তাই তিনি গাছ লাগান। পথ প্রান্তরে
গাছ লাগানোই তাঁর নেশা। প্রতিদানে প্রশাসন বা সমাজের কাছে চান না কিছুই। চান
, গাছ গুলো যেন বেঁচে থাকে। কেউ যেন কুঠার হাতে
হত্যালিলা না চালায়।এই বার্তাকে সামনে রেখে  উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ
ব্লকের যোগীপুকুর গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ
 সরকারের গাছ লাগিয়ে চলেছেন দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত।
জীবনের অনেকটা বছর নীরবে নিভৃতে
বিভিন্ন এলাকায় গাছ লাগিয়ে চলেছেন নারায়ণ সরকার
, যিনি ঐ এলাকায় গাছ পাগলাবলেই পরিচিত । তাঁর কাজের ধরণ শুনলে অনেকেই চমকে যাবেন । লোকটার নেশা রাস্তার
ধারে ধারে গাছ লাগানো । ষাটোর্ধ নারায়ণ বাবু বিনা পারিশ্রমিকে ২৫ বছর বয়স থেকে ৪০ বছর   ধরে গাছ
লাগিয়ে চলেছেন । এপর্যন্ত তাঁর হাতে দের লক্ষের বেশী চারা গাছ রোপণ হয়েছে । এর
মধ্যে আম জাম
, কাঁঠাল লিচু চারাও বট অশ্বত্থ, কদম সহ নানা
প্রকারের গাছ রয়েছে । কথায় বলে
, দু এক জন ভালো মানুষের জন্য আমরা শ্বাস নিতে পারি । আর তাই
এই এলাকা আজ সবুজে ভরে গেছে।

তাঁর কথায়, “দেশের প্রতিটি মানুষ দিনে ৩০ মিনিট করে সামাজিক কাজে হাত লাগালে দেশের
চেহারাটাই বদলে যেতে পারে ।
তাঁর কথা শুনে অনেকেই মনে করতে পারেন , নারায়ণ বাবু কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী । কিন্তু, ভোটে দাঁড়ানো তো
দুরের কথা নিজের ভোট টুকু দেওয়া ছাড়া রাজনীতির ধারে কাছে ঘেঁষেন না তিনি । ক্লাস
থ্রি পর্যন্ত তিনি পড়াশুনা করেছেন । পেশাগত দিক থেকে তিনি একজন কৃষিজীবী ।
 তিনি  বলেন
, ২৫ বছর বয়স থেকে রাস্তার ধারে গাছ লাগানোর কাজ করি । আমার
হাতে লাগানো অনেক গাছ এখনও রাস্তার ধারে রয়েছে । বিশেষ করে মনোহরপুর থেকে যোগী
পুকুর যাওয়ার ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে যত গাছ রয়েছে সবই আমার হাতে লাগানো ।
এছারাও আশেপাশের মনোহর পুর
, রামকৃষ্ণ পুর সহ বালাস সংসদ এলাকায় অন্তত ৫০ হাজারেরও বেশী গাছ লাগিয়েছি ।
 এগুলির মধ্যে অনেক গাছ এখনও বেচে রয়েছে অনেকগুলি আবার দুষ্কৃতীরা কেটে নিয়ে গিয়ে
বিক্রি করে দিচ্ছে । কিন্তু আমার কাজ আমি করে যাচ্ছি । চোখের সামনে গাছ টাকা দেখলে
আমি আর স্থির হয়ে থাকতে পারিনা। কোন কোন সময় তাঁদের সঙ্গে আমার ঝগড়াও হয়ে যায়।
কখনো কখনো ভাবী কেন
? কার জন্য আমি গাছ লাগাচ্ছি ? আবার সব ভূলে নিজের তাগিদে রাস্তার ধারে গাছ লাগাতে থাকি।
আমি চাই আগামী প্রজন্ম যেন সুস্থ সবল ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। 


  শুধু নিজেই
গাছ লাগানোর কাজ করে থেমে থাকেন না নারায়ণ বাবু। আশেপাশের বাসিন্দাদের গাছ লাগানোর
জন্য রীতিমতো বুঝিয়ে বলেন
, “ একটি গাছ অনেক প্রান। তাঁর ব্যাখ্যা, একটি গাছ থেকে কলম করে হাজারের উপর চারা বানানো যায়। ফলে একটি গাছ থেকে সৃষ্টি
হয় অনেক প্রাণ। গ্রামের বিভিন্ন গাছ থেকে কলম করার পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ শহরের
অলিগলি ঘুরে
, ফেলে দেওয়া আম, জাম, কাঠাল সহ বিভিন্ন বীজ সংগ্রহের সাথে সাথে তিনি ছোট ছোট গাছের চারা সংগ্রহ করে
নিয়ে আসেন।
জীবনের অনেকটা বছর
নীরবে নিভৃতে বিভিন্ন এলাকায় গাছ লাগিয়ে চলেছেন নারায়ণ
 সরকার, যিনি ঐ এলাকায় গাছ পাগলাবলেই পরিচিত ।
তাঁর কাজের ধরণ শুনলে অনেকেই চমকে যাবেন । লোকটার নেশা রাস্তার ধারে ধারে গাছ
লাগানো । ষাটোর্ধ নারায়ণ বাবু বিনা পারিশ্রমিকে ২০ বছর বয়স থেকে গাছ লাগিয়ে চলেছেন
। এপর্যন্ত তাঁর হাতে দের লক্ষের বেশী চারা গাছ রোপণ হয়েছে । এর মধ্যে আম জাম
, কাঁঠাল লিচু চারাও বট অশ্বত্থ, কদম সহ নানা প্রকারের গাছ রয়েছে । 

ক্লাস থ্রি
পর্যন্ত তিনি পড়াশুনা করেছেন ।  কথায় বলে
, দু এক জন ভালো মানুষের জন্য আমরা শ্বাস নিতে পারি । আর তাই এই
এলাকা আজ সবুজে ভরে গেছে।
 
পেশাগত দিক
থেকে তিনি একজন কৃষিজীবী । তিনি  বলেন
, ২০ বছর বয়স থেকে রাস্তার ধারে গাছ লাগানোর কাজ করি । আমার হাতে
লাগানো অনেক গাছ এখনও রাস্তার ধারে রয়েছে । বিশেষ করে মনোহরপুর থেকে যোগী পুকুর
যাওয়ার ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে যত গাছ রয়েছে সবই আমার হাতে লাগানো । এছারাও
আশেপাশের মনোহর পুর
, রামকৃষ্ণ পুর সহ
বালাস সংসদ এলাকায় অন্তত ৫০ হাজারেরও বেশী গাছ লাগিয়েছি । এগুলির মধ্যে অনেক গাছ
এখনও বেচে রয়েছে অনেকগুলি আবার দুষ্কৃতীরা কেটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে ।
কিন্তু আমার কাজ আমি করে যাচ্ছি । চোখের সামনে গাছ টাকা দেখলে আমি আর স্থির হয়ে
থাকতে পারিনা। কোন কোন সময় তাঁদের সঙ্গে আমার ঝগড়াও হয়ে যায়। 

কখনো কখনো ভাবী কেন? কার জন্য আমি গাছ লাগাচ্ছি ? আবার সব ভূলে নিজের তাগিদে রাস্তার ধারে গাছ
লাগাতে থাকি। আমি চাই আগামী প্রজন্ম যেন সুস্থ সবল ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। শুধু
নিজেই গাছ লাগানোর কাজ করে থেমে থাকেন না নারায়ণ বাবু। আশেপাশের বাসিন্দাদের গাছ
লাগানোর জন্য রীতিমতো বুঝিয়ে বলেন
, “ একটি গাছ অনেক প্রান। তাঁর ব্যাখ্যা, একটি গাছ থেকে কলম করে হাজারের উপর চারা বানানো যায়। ফলে একটি
গাছ থেকে সৃষ্টি হয় অনেক প্রাণ।
নারায়ণ বাবুর
স্ত্রী অরুনা দেবী বলেন
, বিয়ের পর থেকেই দেখছি ও কৃষিকাজ সেরে চলে যায় রাস্তার ধারে গাছ লাগানোর কাজে ।
ওঁর এটা নেশা ভালো কাজ করছে তাই কোনোদিন বাধা দিইনি । গাছ লাগানোর নেশায় বাড়ির
কাছেই ছোট একটা নার্সারি করে ফেলেছে ।
কথায় বলে, দু এক জন ভালো মানুষের জন্য আমরা শ্বাস নিতে পারি
। আর তাই এই এলাকা আজ সবুজে ভরে গেছে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *