October 27, 2024

গরমে এবার রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনের পাশাপাশি চাহিদা বাড়ছে কলসির

1 min read
তন্ময়  চক্রবত্তী ঃ- গরমে এবার  রেফ্রিজারেটরএয়ার কন্ডিশনের পাশাপাশি চাহিদা বাড়ছে কলসিকুঁজোজালার। কলসি মূলত গ্রামাঞ্চলেই বিকোয় বেশি। তবে শহরতলিতেও এর
বিক্রি বাড়ছে উত্তরোত্তর। চল্লিশ ছুঁই ছুঁই গরমে কুঁজো বা কলসির ঠান্ডা জলের
স্বাদই আলাদা অনেকের মতে ফ্রিজের জলকেও হার মানাবে কুঁজো বা কলসি। তাই গ্রামীণ
সংস্কৃতির ছায়া এখন শহরাঞ্চলেও।উত্তর দিনাজপুর
  জেলাড় কালিয়াগঞ্জের কূণোরের পাল পাড়ায়  নিত্য দেখা মিলছে মাটির পাত্রের
বিক্রেতাদের। রাস্তার পাশেই সার দিয়ে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় জালা
কলসিকুঁজো। লোকেও দেদার কিনছে। তাই কূণোরের  পালপাড়াতে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। এখানকার
তৈরি কলসিই ছড়িয়ে পড়ছে শহরতলির বিভিন্ন মহল্লায়।কূণোরের পাল পাড়ার
   বাজারে ‘কলসি কল’ বিক্রি করছিলেন শ্যামলী পাল।

 কলসির নীচে কল লাগিয়ে আরও ইউজার ফ্রেন্ডলিকরে ফেলা হয়েছে। ফলে চাহিদাও বাড়ছে কলসির। শ্যামলী  জানালেন, গরমে কলসির
চাহিদা বেশ ভালো। দশ লিটারের কলসি বিক্রি হচ্ছে দেড়শো টাকায়। একই সাইজের পাতলা
কলসির দাম একশো টাকা। তবে চাহিদা বেশি বেলে মাটির তৈরি বিশ লিটারের কলসির। দাম
আড়াইশো টাকা। মৃৎশিল্পী রাধা  পাল বলেন
, ‘এখন তো আর মা-বৌয়েরা কলসি থেকে জল গড়িয়ে দেন না। যার জল
তাকেই গড়িয়ে খেতে হয়। 


তাই প্রাচীন কলসিতে আধুনিক মানের প্লাস্টিক ট্যাপ কল লাগিয়ে
দিয়েছি। এতে খদ্দেরও খুশি। আমাদেরও পকেট ভরছে।
কূণোরের পাল পাড়ার
  বাজার
থেকে কলসি কিনে বাড়ি ফিরছিলেন কালিয়াগঞ্জ এর  স্নেহলতা বিশ্বাস। একগাল হেসে স্নেহলতা বললেন
, ‘একদিন ঝড়জল হলে তিনদিন লোডশেডিং।

 ফ্রিজ তখন চলে না। তার
থেকে কলসিই ভালো।
শুধু লোডশেডিংয়ে ঠান্ডা জল পেতেই নয়, কলসির জলের উপকারিতাও অনেক। এক চিকিৎসক মতে, ‘মাটির পাত্রে রাখা জলের মধ্যে খনিজ পদার্থ ও
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এনার্জি থাকে। যা গরমকালে খুবই প্রয়োজনীয়। তা ছাড়া মাটির
পাত্রের জল খেলে দেহে গ্লুকোজের সঠিক পরিমান বজায় থাকে। যা আমাদের সানস্ট্রোকের
হাত থেকে বাঁচায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *