মানিকোরের মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হতদরিদ্র ভলিবল খেলোয়াড় লক্ষীর স্বপ্ন সে ভলিবলে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে দেখাবে
1 min read
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ--না এই স্বপ্ন ছেড়া ক্যাথায় শুয়ে লাখ টাকার দেখা স্বপ্ন নয়।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের মানিকোর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী তথা জেলার প্রতিষ্ঠিত ভলিবল খেলোয়ার লক্ষী ভবিষ্যতে ভলিবল খেলোয়াড় হিসেবে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেই করবে এটাই তার স্বপ্ন।রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের মানিকোর গ্রামে গেলে দেখা যায় মানিকোর স্কুল মাঠে লক্ষী তার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবার লক্ষে অবিচল।
বিদ্যালয়ের অন্য পড়ুয়ারা যখন পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে তখন অন্য মেয়েদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা চিন্তা ভাবনা জগতের লক্ষীর একমাত্র চিন্তা কখন সে কতক্ষন ধরে ভলিবল প্র্যাকটিস করতে পারবে সেই চিন্তায় চমৎকার। ভলিবল খেলোয়াড় লক্ষীর বাবা দিন মজুর সত্যেন্দ্র রায় এবং মা পালিকা রায় কথায় কথায় জানালেন আমরা গরীব মানুষ। পেটের চিন্তায় চমৎকার।খেলা ধুলা আমরা কিছুই বুঝিনা।কিন্তু আমার লক্ষী খেলা ছাড়া কিছুই বোঝেনা।গরিবের ঘোড়া বাই? দুইবেলা পেট পুরে খাওয়া জোটেনা,ভাঙা ঘরে কোনরকমে থাকতে হয়।মেয়েরখেলা নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা নাই।ইস্কুলের মাস্টার বাবুরাই লক্ষীকে খেলা ধুলা শেখায়।আমার লক্ষীকে নিয়ে মাষ্টার বাবুদের অনেক চিন্তা। মানিকোর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহ জাফর আলী বিদ্যালয়ের ছাত্রী লক্ষী সম্পর্কে বলেন লক্ষী আমাদের বিদ্যালযের শুধু গর্ব নয় ও আমাদের জেলার গর্ব।লক্ষীর ভলিবল খেলার ব্যাপারে আমরা বিদ্যালয় থেকে সব রকম সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর।বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক শ্যামলেস সরকার(চন্দন)বিদ্যালয়ের ছাত্রী লক্ষী রায় সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন ও ভলিবল খেলোয়াড় হিসাবে ইতিমধ্যেই শুধু দক্ষিণ দিনাজপুর নয় উত্তরবঙ্গের সাথে সাথে সারা পশ্চিমবঙ্গে ভলিবলের একজন মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে সুনামের সাথে খেলছে।লক্ষী ২০১৬ সালে অনুর্ধ ১৭মহিলা ভলিবলে রাজ্য স্তরে ২০১৭সালে জুনিয়র ভলিবলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রতিনিধি হয়ে রাজ্য স্তরে খেলার সুযোগ পায়।২০১৭ সালেই আবার স্কুল ভলিবল প্রতিযোগিতায় রাজ্য স্তরে অংশগ্রহণ করে। ২০১৭ সালে পুনরায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এথেলেটিক্স দলে জাভেলিংথ্রোয়িং এ কলকাতায় খেলতে যায়।রাজ্যে চতুর্থ স্থান পায়।শ্যামলেস বাবু জানান লক্ষী সম্প্রতি ডি এস এ পরিচালিত জেলা দলের হয়ে হাওড়ার সালকিয়াতে রাজ্য স্তরের ভলিবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।আমাদের বিদ্যালয়ের সোনার মেয়ে লক্ষী পড়া সোনাতেও সে কোন অংশে কারো চেয়ে কম নয়।প্রচণ্ড আর্থিক অবস্থা খারাপ স্বত্বেও লক্ষী একদিকে ভলিবল খেলাকে অত্যন্ত ভালো ভাবে ধরে রেখে মানিকোর বিদ্যালয়ের সুনাম সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছে সাথে সাথে একরকম যুদ্ধ করে পড়াশোনাও একই সাথে চালিয়ে যাচ্ছে।আমাদের বিশ্বাস লক্ষীকে যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি কোনভাবে আর্থিক সহায়তা করতে পারতেন তাহলে লক্ষী অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারত।