November 21, 2024

দশমীতে বালাইচন্ডী রূপী দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠলো খাদিমপুর গ্রামের মানুষজন_

1 min read

দশমীতে বালাইচন্ডী রূপী দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠলো খাদিমপুর গ্রামের মানুষজন

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৫ অক্টোবর:দশমীতে মায়ের বিসর্জনের দিনেই নুতন করে শারদীয়ার আনন্দে বালাই চন্ডী রুপী দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের ১৩ নম্বর কমলাবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রামের অধিবাসীরা।তবে খাদিমপুর গ্রামের গ্রামবাসীরা দেবী দুর্গাকে ” বালাই চন্ডী” রূপে পূজা করে থাকে। এখানে দেবী দূর্গা দশভূজার পরিবর্তে চতুর্ভুজার রূপে পুজিত হন বলে জানা যায়।দুদিন আগেই দশমী সেরেছেন বাঙালিরা।মা দুর্গাকে এবছরের মত চোখের জলে। বিদায় দিয়ে মাকে আবার মর্ত্যে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বিষাদের সুরে মাকে বরণ করে কৈলাশে পাঠিয়েছেন বাঙালিরা।তবে এর ঠিক উল্টো ছবি উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের খাদিমপুর গ্রামে দশমী থেকেই আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করে দিয়েছে।এই সময় মেতে উঠেছে গ্রামের আট থেকে আশি বয়সের সবাই। দশমীর পূজার দিন খাদিম পুরের গ্রামবাসীরা ষষ্ঠীর পূজা দিয়ে বালাই চন্ডীর পূজার সূচনা করে থাকে ।

 

জানা যায় ষষ্ঠীর দিন থেকে দশমীর দিন পর্যন্ত সবাই নিরামিষ আহার করে থাকে। জানা যায় খাদিমপুর গ্রামের বালাইচন্ডী চতুর্ভুজা মায়ের পূজায় দেবীর পদতলে থাকেনা মহিষাসুর।মায়ের চার হাতেই থাকে অস্ত্রের বিভিন্ন সম্ভার। যদিও অন্যান্য দুর্গাপূজার মতই বালাই চন্ডী দেবী কার্তিক গণেশ, লক্ষ্মী সরস্বতী নিয়ে রয়েছেন সপরিবারে। জেলার হেমতাবাদ ব্লকের খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা পূজা কমিটির কর্ণধার হোদল বর্মন এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন কত বছর থেকে এই মায়ের পূজা এই গ্রামে হয়ে আসছে সেটা কেও বলতে পারেনা।তবে এটা অনেকেই বলে থাকে কম করেও পাঁচশো বছর ধরে এই গ্রামে দেবী বালাই চন্ডীর পূজা যে হয়ে আসছে সেটা বলা যেতেই পারে বলে তিনি মনে করেন। জানা যায় পুরানো প্রথা মেনে খাদিমপুরের বালাই চন্ডীর মায়ের পূজায় আজও বলি হয়ে আসছে। খাদিমপুরের বালাইচন্ডী দেবী অত্যন্ত জাগ্রত।সেই কারনেই শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকেই নয় রাজ্যের অন্য জেলা থেকেও মায়ের কাছে মানত করার পর সেই মানত পুরন হবার ফলে প্রচুর মানুষের ঢল নামে মায়ের।মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতি বছর বছর।তাই রাজ্যে দুর্গা পূজা শেষ হলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের খাদিমপুর গ্রামে আজ চলছে নতুন করে দুর্গোৎসব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *