October 27, 2024

স্কুল শিক্ষকেরা গৃহশিক্ষকতা করাতে পারবেন না ,সরকারি নির্দেশিকা কেউ না মানেন সেক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ

1 min read


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

স্কুল শিক্ষকদের
গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করতে করা পদক্ষপে নিল
উত্তর দিনাজপুর জেলা শিক্ষাদপ্তর ।জারি করা হয়েছে  এনিয়ে
শিক্ষাদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা । চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে
এনিয়ে জেলার শিক্ষা মহলে ।সম্প্রতি রাজ্য শিক্ষাদপ্তর
থেকে এসংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা এসেছে।
 জেলা বিদ্যালয়
পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন
, শিক্ষাদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী স্কুল শিক্ষকেরা
গৃহশিক্ষকতা করাতে পারবেন না। এই নিয়ম আগে থেকেই ছিল। কিন্তু তা অনেকেই মানছিলেন
না। 

 ওই নির্দেশিকা জেলার সমস্ত আপার
প্রাইমারি
, মাধ্যমিক
ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক কিংবা টিআইসি
র এটা
দেখবেন। যদি সরকারি নির্দেশিকা কেউ না মানেন সেক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।নিখিলবঙ্গ
শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক বিপুল মৈত্র বলেন
, স্কুল শিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না, এমন
নিষেধাজ্ঞা বাম আমল থেকেই ছিল। আমাদের সমিতির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা
করেন না।পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলার সাধারণ সম্পাদক
সঞ্জয়চন্দ্র দাস বলেন
, সর্বশিক্ষা
মিশন
, রাষ্ট্রীয়
মাধ্যমিক শিক্ষা মিশন ও শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী স্কুল শিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা
করতে পারেন না। এর পরেও যাঁরা এসব করেন তাঁদের আমাদের সংগঠন সমর্থন করে না।
 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 ওয়েস্ট
বেঙ্গল প্রাইভেট টিউটার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ইসলামপুর শাখার সম্পাদক
বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন
, স্কুল শিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা করতে পারবে না, এমন
নির্দেশ অনেকদিন ধরেই আছে। কিন্তু স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকারা তা মানেন না। কিছু
শিক্ষক
, শিক্ষিকা
স্কুল ফাঁকি দিয়ে চুটিয়ে গৃহশিক্ষকতা করছেন। আমরা এনিয়ে অনেকবার বিদ্যালয়
পরিদর্শককে স্মারকলিপি দিয়েছি। যাঁরা সরকারি নিয়ম অবজ্ঞা করে গৃহশিক্ষকতা করছেন
তাঁদের তালিকাও বিদ্যালয় পরিদর্শককে দিয়েছি। অবশেষে শিক্ষাদপ্তর উদ্যোগী হওয়ায়
আমরা খুশি।
 অভিভাবকদের
দাবি
, কিছু
স্কুল শিক্ষক প্রজেক্টের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছে ছেলেমেয়েকে
পড়াতে পাঠাতে একপ্রকারে বাধ্য করে।
 স্কুল শিক্ষকদের একাংশ চুটিয়ে গৃহশিক্ষকতা করছেন।
বেকার ছেলেমেয়েরা গৃহশিক্ষকতা করে কিছু রোজগার করলেও একাংশ অভিভাবক তাদের ভরসা না
করে স্কুল শিক্ষকদের কাছেই ছেলেমেয়েকে পড়াতে পাঠান। স্কুলে মাইনে পাওয়ার পাশাপাশি
গৃহশিক্ষকতা করে হাজার হাজার টাকা শিক্ষকদের রোজগার হয়। অন্যদিকে বেকার
যুবকেযুবতীরা টিউশনি পান না। এনিয়ে গৃহশিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এরপরেই
গৃহশিক্ষকরা একছাতার তলায় এসে সংগঠন তৈরি করেন। তাঁরা এবিষয়ে প্রশাসনকে বারে বারে
স্মারকলিপি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন। এনিয়ে শিক্ষাদপ্তর এর আগেও নির্দেশিকা জারি করে
পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালেও একাংশ স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকা ওসব তোয়াক্কা না করে
গৃহশিক্ষকতা করে যাচ্ছেন। গৃহশিক্ষকদের দাবি
, সরকারি এই নিয়োম কঠোরভাবে পালন করা হলে তাঁরা উপকৃত
হবেন।  


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *