October 27, 2024

উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হাজারো পড়ুয়া

1 min read
আনওয়ারুল হক,১৩ই জুলাই,চাকুলিয়াঃ-উত্তর দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত চাকুলিয়া তথা গোয়ালপোখর ২ নং ব্লকের ছাত্রছাত্রী সহ অভিভাবকবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরে চাকুলিয়া এলাকায় একটি কলেজ স্থাপনের দাবী জানিয়ে আসছেন,কিন্তু হুঁশ ফেরেনি প্রশাষণের বলে অভিযোগ।প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তী হওয়ার তাড়না দেখা যায় পড়াশুনায় আগ্রহী পড়ুয়াদের মধ্যে।কিন্তু কলেজ না থাকায় দারূণভাবে ব্যাহত হচ্ছে তাদের উচ্চশিক্ষা।বিশেষ করে গরিব ও দুস্থ পরিবারের ছেলে মেয়েরা যারা দারিদ্র্যতার সাথে লড়াই করে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে, তারা ওইখানেই নিজেদের  উচ্চাশা ও স্বপ্ন শেষ করতে বাধ্য হয়।মাঝ পথে পড়াশুনার পথ রুদ্ধ হয়ে পড়লে পাড়ি জমায় ভিন রাজ্যে কাজ করতে। স্বাধীনতার ৭০ বছরে দাঁড়িয়ে আজও একটা বৃহৎ এলাকার মানূষ শিক্ষার অধীকারের দাবীতে লড়াই চালিয়ে আসছেন।আশেপাশে কলেজ নাই। ডালখোলা কলেজ ২৫ কিলোমিটার দূরে,তাছাড়া যানজট সমস্যা এত প্রকট যে, শিক্ষার্থীরা বাস এ করে গিয়ে যে কলেজ ধরতে পারবে তার নিশ্চয়তা নেই।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 ৫০ কিলোমিটার দূরে ইসলামপুর কলেজে গিয়ে ভর্তী ও পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য নেই অনেকের। সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোয় না। দূরবর্তী কলেজে গিয়ে কিভাবে তারা পড়াশুনা চালিয়ে যাবে?এ দুশ্চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে অনেক ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবককে।যাদের আর্তনাদ হয়তো প্রশাষণের কর্ণকুহরিত হয়না। তাছাড়া ‘কন্যাশ্রী’তথা মেয়ে শিক্ষার্থীদের তো আরো সমস্যা,যাতায়াত ও নিরাপত্তা জনিত সমস্যার কারণে ভোগান্তি চরমে।ফলে দেখা যায় বয়স পূর্ণতার আগেই বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে,তাদের ইচ্ছে অনিচ্ছার কথা না ভেবেই। এভাবেই মাঝ পথে পড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে অনেকেই।কেহ বা যেন তেন প্রকারে লড়াই চালিয়ে আসছেন উচ্ছশিক্ষা গ্রহনের অভিলাষে।  মানসুর আলাম(৭৪%),মোনাজির,সেরাজুল,সাফিক রা প্রথম বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলেও আজ কেউ দিন মজুর,কেউ দোকানে কাজ করে,কেউ বা ভিন রাজ্যে কাজ করে দিন গুজরান করে।প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্যে  শিক্ষা-দীক্ষায় সব থেকে পিছনের সারিতে অবস্থান চাকুলিয়া ব্লকের।স্বাক্ষরতার হার ৩৫ শতাংশেরও নীচে।পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও পড়াশোনার পরিবেশ না থাকলে কিভাবে এই কলঙ্ক ঘুঁচবে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকার বুদ্ধিজীবী মহলে।তবুও বলা যায়,এখানে প্রতিভার অভাব নাই,আছে সুযোগের অভাব। দিনমজুরের ছেলে নাসীর হুসেন(৯২%) রবী কুমার মন্ডল,তইবুর,ও সঙ্গীতাদের মতো অনেকে দুস্থ পরিবার থেকে উঠে এসে অভাবনীয় ফলাফল করেছে।কিন্তু আর্থিক সমস্যা তাদের ভাবিয়ে তুলেছে।দুশ্চিন্তায় ভুগছে এই কৃতীরা।আর এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে বহু উঠতি প্রতিভা। আর এটাই অপ্রিয় সত্য।    স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়ন ও সুস্বপ্নের ঝুড়ি নিয়ে ভোটের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেখা মিললেও, নির্বাচন পর্ব মিটতেই তাঁরা যেন কোথায় হারিয়ে যান,ফলে দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান হয়না।এদিকে কলেজ নিয়ে দলাদলি অব্যাহত।এক পক্ষ অপর পক্ষের প্রতি তীর ছুঁড়তে ব্যস্ত।শাষক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেস বামেদের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন,অভিযোগ ৩৪ বছরে কেন কলেজ তৈরি হয়নি? বিরোধীদের অভিযোগ উন্নয়নের কথা বলা হলেও আজও কেন কলেজ স্থাপন করলেন না তৃণমূল শাষিত রাজ্য সরকার?এ ব্যাপারে চাকুলিয়ার বিধায়ক, ফরোয়ার্ডব্লকের আলি ইমরান রামজ ওরফে ভিক্টর এর অভিমত,জমি জটের সমস্যা ছিলোই।চাকুলিয়ার দুই জায়গা তথা, নিজামপুর ও মহিশাখোর এলাকায় জমি চিহ্নিত করা হলেও রাজ্য সরকার কলেজের অনুমোদন দেননি।তবে বিধানসভায় বারবার প্রস্তাব রাখছেন,এবং কলেজ স্থাপনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *