January 11, 2025

ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডার প্রভাবে আলু চাষের দফারফা। মাথায় হাত চাষিদের।

1 min read

ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডার প্রভাবে আলু চাষের দফারফা। মাথায় হাত চাষিদের।

 মাথায় হাত চাষিদের।  ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডার প্রভাবে আলু চাষের দফারফা। মাথায় হাত চাষিদের। কারণ এমন বিরূপ আবহাওয়ার জেরে আলু চাষের জমিতে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটতে শুরু করেছে। ধসা রোগ নামে পরিচিত আলুর এই রোগ। ফলে হঠাৎ করেই পচতে শুরু করেছে আলু। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপোনায় আলুতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় নাবী ধসা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার কারনে লেড ব্লাইট বা নাবী ধসা নামক এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে পচে যাচ্ছে আলুর পাতা।

 

এই ছত্রাক থেকে বাঁচতে কী করতে হবে সেই বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি আধিকারিক ধনঞ্জয় মণ্ডল।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর আলু উৎপাদন হয়। ফলে এই ধসা রোগের জেরে সেখানকার চাষিরা ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছেন। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার জন্য আলুর বীজ রোপনের ৩৫ থেকে ৪০ দিন পার হতেই গাছে ছোট ছোট গোটা তৈরি হয়েছে।এর ফলে আলু চাষে ভাল ফলন মিলছে না।ভাল মূল্য পাওয়ার আশায় চরা দামে আলু বীজ কিনে রোপণ করেছেন অনেকে। কিন্তু ছত্রাক সহ বিভিন্ন রোগ এখন চিন্তার বিষয় হয়েছে আলু চাষিদের। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বহু দিনের পুরনো টক দই ৫০০ এমএল জলের সঙ্গে আলুর জমিতে স্প্রে করতে হবে। আর এই সময় জমিতে বিন্দুমাত্র জল দেওয়া চলবেনা। অন্যদিকে রাসায়নিকভাবে কেউ এই বিপদ থেকে রেয়াই পেতে চাইলে জলের সঙ্গে প্রোপিনেট বা প্রপার অক্সি ক্লোরাইড কিনে নিয়ে এসে জমিতে স্প্রে করতে হবে। এই সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললে আলোর নাবী ধসা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *