সবলা মেলায় এসেছেনএই গৃহবধূ! পিঠেপুলি বিক্রি করেই ‘মালামাল’ তাঁর গল্প শুনুন এবার
1 min readসবলা মেলায় এসেছেনএই গৃহবধূ! পিঠেপুলি বিক্রি করেই ‘মালামাল‘ তাঁর গল্প শুনুন এবার
তন্ময় চক্রবর্তী উত্তর দিনাজপুর উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের মহারাজপুরের বাসিন্দা মুক্তি দেব। পিঠে পুলির ব্যবসা করেই জমি বাড়ি সমস্ত কিছু করেছেন বছর পঞ্চাশের গৃহবধূ মুক্তি দেব। শীতকালে মানেই নলেন গুড় ও আতপ চাল দিয়ে তৈরি পিঠাপুলি। কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাড়িতে, বাড়িতে পিঠে-পুলি বানানোর চল অনেকটাই কমে গিয়েছে। আর এর সুযোগে রমরমা চলছে পিঠে পুলির ব্যবসা। আরে পিঠে পুলির ব্যবসা করেই জমি বাড়ি সমস্ত কিছু করেছেন বছর পঞ্চাশের গৃহবধূ মুক্তি দেব। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের মহারাজপুরের বাসিন্দা মুক্তি দেব।চাকরি নয় বরং ব্যবসা করেই প্রতিষ্ঠিত হবার শখ বরাবরই ছিল মুক্তি দেবীর।
২০০২ সাল থেকে এই পিঠাপুলির ব্যবসা শুরু করেন। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ও সরকারি সহযোগিতায় বিভিন্ন মেলায় মেলায় শীতকালে এ পিঠাপুলি বিক্রি করে থাকেন মুক্তি দেব।আর অন্যান্য সময়গুলোতে বাড়িতেই পিঠাপুলি বানিয়ে অনলাইনে পিঠাপুলি বিক্রি করেন মুক্তি দেব।পিঠে পুলি বিক্রি করে তিনি প্রথম নিজের উপার্জনে বাড়ি করেছেন এরপর নিজের জায়গাও কিনেছেন।
শীতকালে বিভিন্ন মেলায় মেলায় পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেন মুক্তি দেব। মুক্তি দেবের হাতের তৈরি পিঠা শুধু উত্তর দিনাজপুর নয়, কলকাতা ,বীরভূম, হাওড়া, শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন মেলায় মেলায় বিক্রি হয়। ১০ থেকে ১২ রকম পিঠা তৈরি করেন মুক্তি দেব। মুক্তি দেবীর হাতের তৈরি পিঠা গুলোর মধ্যে পাটিসাপটা, মালপোয়া, মুগের পুলি ,দুধের পিঠা, ক্ষীরের পিঠা, পাটিসাপটা সবথেকে বেশি বিক্রি হয় ।
মুক্তি জানান, প্রথমে তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে এই পিঠে পুলির ব্যবসাটি শুরু করেন। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তিনি তিন গুণ লাভ পান।মুক্তি দেব জানান, একদিনই তিনি ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। একেক দিন তিনি ৩০ টাকা মূল্যে ৩০০ থেকে ৭০০ পিস পাটিসাপটাও বিক্রি করেছেন। মুক্তি জানান, মেলায় মেলায় পাটিসাপটা বানিয়ে তিনি যেমন বাড়ি করেছেন তেমনি জমিও করেছেন নিজের নামে।মুক্তি জানান, তিনি প্রথমে তুলাইপাঞ্জিচাল, ঘি, ডালের বড়ি এই সবই বিক্রি করতেন। তারপর ২০০২ সাল থেকে তিনি যখন দেখলেন যে এই পিঠে পুলির কদর বর্তমানে সব থেকে বেশি । তখন থেকে তিনি এই পিঠে পুলির ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে পিঠে পুলির ব্যবসা করে ভাল টাকা উপার্জন করেন রায়গঞ্জের মহারাজপুরের মুক্তি দেব।