October 27, 2024

এক ঐতিহাসিক সংস্কারের পথে সৌদি আরব

1 min read
নিউজ ডেক্স ঃ  আরও এক ঐতিহাসিক সংস্কারের পথে সৌদি আরব। এবারর ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মিলবে দ্রুত। সেই লক্ষ্যেই কাজ শুরু হয়েছে।দুবাই থেকে প্রকাশিত গালফ নিউজ জানাচ্ছে এই খবর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শতাধিক মহিলা বিমান চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী হয়েছেন। তারা আবেদনপত্র পূরণ করেছেন।আরব সরকারের এই ভূমিকায় তীব্র সাড়া পড়েছে মধ্যপ্রাচ্য।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 গালফ নিউজ জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হবে।অক্সফোর্ড এভিয়েশন অ্যাকাডেমি নামে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আরব মহিলাদের প্লেন চালানোর শিক্ষা দেওয়া হবে৷ সংস্থার পরিচালক জানিয়েছেন, তিন বছরের কোর্স শেষ করার পর সৌদি মহিলারা বিমান চালানো ছাড়পত্র পাবেন। এক মাস আগেই আরব মহিলাদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। তারপরেই এল বিমান চালানোর জন্য সুযোগ।সৌদি আরবের সংস্কারমূলক কাজ কর্মে গতি এসেছে দেশটির ভবিষ্যৎ বাদশা তথা বর্তমান যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের কয়েকটি সিদ্ধান্ত। কড়া ইসলামিক আইনে এই দেশের মহিলারা বহু ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছেন। সেই নিয়মের পরিবর্তন ঘটানোর কাজ শুরু হয়েছে। সৌদি আরবের এই ভূমিকায় পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলিতে পড়েছে সাড়া।সৌদি আরবে দীর্ঘ দিন ধরে বলবত থাকা গাড়ি চালানোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে রোববার থেকে। সে হিসাবে রাত পোহালেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে পারবেন সৌদি আরবের নারীরা। এটাকে সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাথমিকভাবে ৯০ লাখ সৌদি নারীকে তাদের গ্রাহক বানানোর পরিকল্পনা করেছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সৌদি আরব বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ির বাজারে পরিণত হবে।বেশ কিছুদিন ধরেই সৌদি নারীদের গাড়ির প্রতি আকৃষ্ট করতে নানা ধরণের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

এই ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, নারীদের অনুভূতি এবং আবেগকে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, নারীদের গাড়ী কেনায় আকৃষ্ট করতে গিয়ে অতিমাত্রায় নারীবাদী রীতিনীতি প্রচার করা হচ্ছে, যা সৌদি আরবে রীতি-নীতির পরিপন্থী।বিশ্বে সৌদি আরবই একমাত্র দেশ, যেখানে কয়েক দশক ধরে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবত আছে। এখন এই নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। তরুণ মোহাম্মদ বিন সালমান যুবরাজ হয়ে তার দেশকে আধুনিক করতে নানামুখী সংস্কার-কার্যক্রম হাতে নেন। এই সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য।সৌদিতে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়ার পদক্ষেপটি দেশটিতে সামাজিক গতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করতে পারে বলে অনেক পর্যবেক্ষক মন্তব্য করেছেন।আরব লেখক ও বিশ্লেষক হানা আর-খামরি বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নারীর মুক্ত গতিময়তার জন্য এটা অপরিহার্য।’সৌদিপন্থী চিন্তনপ্রতিষ্ঠান অ্যারাবিয়া ফাউন্ডেশনের নাজাহ আল-ওতাইবি বলেন, এটা একটা স্বস্তি। সৌদি নারীরা সুবিচার পাওয়ার বিষয়টি অনুভব করছেন।’


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *