পূজার বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন, তবু বৈশ্য পাড়ার ঢাকিরা আজও পূজায় ঢাকের বায়না থেকে বঞ্চিত
1 min readপূজার বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন, তবু বৈশ্য পাড়ার ঢাকিরা আজও পূজায় ঢাকের বায়না থেকে বঞ্চিত
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৭ অক্টোবর:পুজো মানেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বাদ্যি । কিন্তু, এই ঢাকের বোলেই থাকে ঢাক শিল্পীদের খিদের সুর । সারাবছর তাঁরা দুর্গাপুজোর অপেক্ষাতেই থাকেন । পুজোয় ঢাক বাজিয়ে যে টাকা রোজগার হয়, তা দিয়ে বছরের বেশিরভাগ সময়টা চলে তাঁদের ।তবে নিজের জেলায় ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় পুজোর আগেই পরিবার ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হয় এই জেলার ঢাকীদের। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ এর বৈশ্য পাড়ার ৩০ টি পরিবার বংশ পরম্পরায় ঢাক বাজানোই তাদের পেশা ।
তালিমও চলে পূজোর মুখে। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখনও তাঁরা নিজের জেলায় কাজের বরাত পাননি। পুজোর কয়েকটা দিন তাই পরিবার পরিজন ছেড়ে অন্যত্র ছুটে যেতে হয় এই জেলার ঢাকিদের। অন্য জেলায় মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাক বাজাতে ছুটে যান এখানকার ঢাক বাদকরা। আর পাঁচজন যখন পুজোর সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে পুজোর দিনগুলো কাটায়। সেই সময় পরিবার সন্তানদের ছেড়ে দূরে থাকতে হয় এই ঢাক বাদকদের। ঢাক বাদক রানা বৈশ্য বলেন, আমরা বৈশ্য পাড়ার গ্রাম ৩০টি পরিবার ঢাক বাজানোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। গ্রামের পুরুষদের পুজোর দিন পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে হয় বিভিন্ন জেলার পুজো মণ্ডপের উদ্দেশে।
ঢাক বাদকরা জানান পুজোর দিন গুলোতে নিজের জেলা ছেড়ে কলকাতা,শিলিগুড়ি মালদা কাউকে আবার হায়দরাবাদ কিংবা চেন্নাইতে চলে যেতে হয় । ঢাক বাদক রানা বৈশ্য বলেন নিজের জেলায় কাজ পাইনা। সারা বছর আমরা দুর্গাপুজার দিকে তাকিয়ে থাকি।একটু ভালো উপার্জনের আশায় পরিবার ছেড়ে বাইরে গিয়ে পুজোর পাঁচ দিন কাটাই। নিজের জেলাতে আমাদের ঢাকিদের তেমন কদর না থাকলেও বাইরে আমাদের কিন্তূ কদর আছে। এখানকার পূজায় সরকার থেকে আর্থিক সাহায্য দিলেও ঢাকিদের পয়সা দেবার সময় পুজোর কমিটিগুলির পয়সার ভা খুব অভাব পরে যায়।তাই সরকার যতই অর্থ দিয়ে সাহায্য করুক আমরা ঢাকি রা আগে যেখানে ছিলাম এখনো সেই জায়গাতেই আছি।আমাদের ঢাকিদের দিকে কেও তাকিয়ে দেখেনা।