October 24, 2024

সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে ব্রিট্রিশ আমলের পুরীর কারিগরদের হাতে তৈরি বাঘনের শিব মন্দির

1 min read

সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে ব্রিট্রিশ আমলের পুরীর কারিগরদের হাতে তৈরি বাঘনের শিব মন্দির

প্রায় বহু বছর ধরে মন্দিরটি সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত। বর্তমানে মন্দিরের বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। একসময় পুরীর কারিগরদের তৈরি এই মন্দির আজ সংস্কার ও রক্ষণবেক্ষণের অভাবে পড়ে রয়েছে।সংস্কারের অভাবে আজও পরে রয়েছে ব্রিট্রিশ আমলে তৈরি বাঘনের শিব মন্দির।একসময় পুরির কারিগরদের তৈরি এই মন্দির আজ সংস্কার ও রক্ষণবেক্ষণের অভাবে পরে রয়েছে। জানা যায়, বাঘনের জমিদার শ্রী বসন্ত চৌধুরী উড়িষ্যার কারিগর নিয়ে এসে তিন একর জমির উপর গ্রামের দৃষ্টিনন্দন এই শিব মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন।ইট এবং সুরকি দিয়ে নানা কারুকার্য করে এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

কিন্তু অযত্ন, অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে কালের সাক্ষী এ মন্দিরটি এখন ধ্বংসের পথে। যেকোনও মুহূর্তেই তার অন্তিম সমাপ্তির আশঙ্কা রয়েছে।তাই মন্দিটি- অচিরেই পুনঃসংস্কারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।মন্দিরের সেবায়েত মিনু চৌধুরী সাহা জানান, নয়টি গ্রামের জমিদার বড়োবাবু অর্থাৎ বসন্ত চৌধুরী ব্রিটিশ শাসনেরও আগে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। এক সময় এই মন্দিরে নিত্য পুজো হত ও দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষকে পুজোর ভোগ হিসেবে অন্ন ভোগ খাওয়ানো হত। মিনু চৌধুরী জানান, এক সময় এই মন্দিরে সোনার তৈরি রাধাকৃষ্ণের ও পুজো হত। কিন্তু কালক্রমে ডাকাতেরা জমিদার বসন্ত চৌধুরীকে হত্যা করে মন্দিরের সমস্ত মূল্যবান সম্পদ চুরি করে ফেলে।

পরবর্তীতে জমিদারের বংশধরেরা যে যার মতো বাড়ি করে বাইরে চলে যায়৷ তারপর থেকেই সংস্কারের অভাবে এইভাবেই পরে রয়েছে এই মন্দিরটি।প্রায় বহু বছর ধরে মন্দিরটি সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত। বর্তমানে মন্দিরের বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশীষ সাহা জানান, প্রায় চারশো থেকে পাঁচশো বছরের ও পুরনো এই মন্দিরটি। বর্তমানে মন্দিরে একটি বহু পুরনো শিব লিঙ্গ রয়েছে। তবে সংস্কারের অভাবে মন্দিরের ভেতর থেকে প্রায় সময়ই পলেস্তরা খসে পড়ে। তাই মন্দিরটি পুনঃসংস্কারের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছেন দেবাশীষ বাবু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *