অধিকাংশ বাচ্চাই মায়ের দুধ পাচ্ছে না জানাল ইউনিসেফ
1 min read
অধিকাংশ বাচ্চাই মায়ের দুধ পাচ্ছে না ।এই
তথ্য
উঠে
এল
ইউনিসেফ
এবং
বিশ্ব
স্বাস্থ্য
সংস্থার
এক
রিপোর্ট
থেকে । রিপোর্টটি পৃথিবীর ৭৬টি দেশের পরিসংখ্যান নিয়ে তৈরি করা হয়েছে । সেই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর প্রতি পাঁচজন সদ্যোজাতের মধ্যে তিনজনই পাচ্ছে না মাতৃদুদ্ধ। তাও
আবার
যে
সময়টাই
মাতৃদুগ্ধকে
অনেকে
বলেন
কালজয়ী
ওষুধের
সমান—
জন্মের
প্রথম
এক
ঘন্টার
মধ্যে। হু এবং ইউনিসেফ–এর ওই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বছরে প্রায় পৌনে আট কোটি বাচ্চা (সাত কোটি ৮০ লক্ষ) জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টাতেই মাতৃদুগ্ধ পাচ্ছে না। পাচ্ছে
না
কোলোসট্রাম,
যাকে
বলা
হয়
পুষ্টি
ও রোগ
প্রতিরোধ
ক্ষমতায়
ভরপুর
থাকার
জন্য
বিশেষ
প্রয়োজনীয়,
বাচ্চার
জীবনের
‘প্রথম
টিকা’!
তথ্য
উঠে
এল
ইউনিসেফ
এবং
বিশ্ব
স্বাস্থ্য
সংস্থার
এক
রিপোর্ট
থেকে । রিপোর্টটি পৃথিবীর ৭৬টি দেশের পরিসংখ্যান নিয়ে তৈরি করা হয়েছে । সেই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর প্রতি পাঁচজন সদ্যোজাতের মধ্যে তিনজনই পাচ্ছে না মাতৃদুদ্ধ। তাও
আবার
যে
সময়টাই
মাতৃদুগ্ধকে
অনেকে
বলেন
কালজয়ী
ওষুধের
সমান—
জন্মের
প্রথম
এক
ঘন্টার
মধ্যে। হু এবং ইউনিসেফ–এর ওই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বছরে প্রায় পৌনে আট কোটি বাচ্চা (সাত কোটি ৮০ লক্ষ) জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টাতেই মাতৃদুগ্ধ পাচ্ছে না। পাচ্ছে
না
কোলোসট্রাম,
যাকে
বলা
হয়
পুষ্টি
ও রোগ
প্রতিরোধ
ক্ষমতায়
ভরপুর
থাকার
জন্য
বিশেষ
প্রয়োজনীয়,
বাচ্চার
জীবনের
‘প্রথম
টিকা’!
বিশ্বখ্যাত
এই
দুই
এজেন্সি
জানিয়েছে,
জন্মের
এক
ঘণ্টার
মধ্যে
অধিকাংশ
বাচ্চা
মাতৃদুগ্ধ
না
পাওয়ায়
মারাত্মক
সব
অসুখবিসুখে
আক্রান্ত
হওয়ার
হার
বাড়ছে। এমনকী বাড়ছে মৃত্যুর আশঙ্কাও। পরে
তাদের
মাতৃদুগ্ধ
খাওয়ানোর
চেষ্টা
করা
হলেও,
সে
ব্যাপারেও
অনীহা
দেখা
যাচ্ছে। সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে যাদের মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়, তাদের তুলনায় যেসব বাচ্চাকে দু’ঘণ্টা থেকে ২৩ ঘণ্টা পরে মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়, তাদের মৃত্যুঝুঁকি ৩৩ শতাংশ বেশি! আর জন্মের এক দিন বা তারপর থেকে যারা মায়ের দুধ পায়, স্বাভাবিক শিশুমৃত্যুর হারের তুলনায় তাদের মৃত্যুর আশঙ্কাও দ্বিগুণ হয়।
এই
দুই
এজেন্সি
জানিয়েছে,
জন্মের
এক
ঘণ্টার
মধ্যে
অধিকাংশ
বাচ্চা
মাতৃদুগ্ধ
না
পাওয়ায়
মারাত্মক
সব
অসুখবিসুখে
আক্রান্ত
হওয়ার
হার
বাড়ছে। এমনকী বাড়ছে মৃত্যুর আশঙ্কাও। পরে
তাদের
মাতৃদুগ্ধ
খাওয়ানোর
চেষ্টা
করা
হলেও,
সে
ব্যাপারেও
অনীহা
দেখা
যাচ্ছে। সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে যাদের মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়, তাদের তুলনায় যেসব বাচ্চাকে দু’ঘণ্টা থেকে ২৩ ঘণ্টা পরে মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়, তাদের মৃত্যুঝুঁকি ৩৩ শতাংশ বেশি! আর জন্মের এক দিন বা তারপর থেকে যারা মায়ের দুধ পায়, স্বাভাবিক শিশুমৃত্যুর হারের তুলনায় তাদের মৃত্যুর আশঙ্কাও দ্বিগুণ হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রবীণ শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভাস্করমণি চট্টোপাধ্যায় বলেন, মায়ের দুধ হল মা ও শিশুর মধ্যে ‘বন্ডিং’ বা নিবিড় যোগের কারণ। গরু, ছাগল কারও দুধই তার বিকল্প হতে পারে না। পারে না কোনও বহুজাতিক সংস্থার কোনও পুষ্টি বিকল্পও। তাই বছরের পর বছর ধরে মায়েদের বলি আসছি, বাচ্চার জন্মের পর থেকে টানা ছ’মাস বুকের দুধ খাওয়াতেই হবে। দু’বছর পর্যন্ত খাওয়াতে পারলে তো কথাই নেই। উল্লেখযোগ্য বিষয়
হল,
সবচেয়ে
বেশি
মাতৃদুদ্ধ
পায়
পূর্ব
ও দক্ষিণ
আফ্রিকার
সদ্যোজাতরা। প্রতি ১০০টি বাচ্চার মধ্যে ৬৫টিই জন্মের প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ পায়। আর
মাতৃদুগ্ধ
সবচেয়ে
কম
পায়
পূর্ব
এশিয়া
এবং
বিস্তীর্ণ
প্রশান্ত
মহাসাগরীয়
এলাকার
শিশুরা। এইসব এলাকার মাত্র ৩২ শতাংশ সদ্যোজাতই মাতৃদুগ্ধ পেয়ে থাকে। শ্রীলঙ্কা
এবং
বুরুন্ডির
প্রতি
১০টি
সদ্যোজাতের
মধ্যে
ন’টিই
এক
ঘন্টার
মধ্যে
মায়ের
দুধ
পায়। অন্যদিকে মুদ্রার অন্যপিঠ হল, আজেরবাইজান, চাঁদ প্রভৃতি দেশে প্রতি ১০টি সদ্যোজাতের মধ্যে দু’জনের কপালের জোটে মাতৃদুগ্ধ! ইউনিসেফের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা এইচ ফোর বলেন, আবার এটাও ঘটনা, মায়েরা অনেক সময়ই বুকের দুধ খাওয়ানোর মতো পরিবেশ–পরিস্থিতি বা সাহায্য কোনওটাই পান না। বি
সি
রায়
শিশু
হাসপাতালের
অধ্যক্ষা
ডাঃ
মালা
ভট্টাচার্য
বলেন,
যদি
ফিগার
এবং
অন্যান্য
কারণে
মায়েরা
বাচ্চাদের
দুধ
খাওয়াতে
পিছিয়ে
আসেন,
বলব
তার
চেয়ে
দুর্ভাগ্যজনক
কিছু
হয়
না। এক ঘন্টা কেন, এখন নিয়ম হয়েছে জন্মের আধ ঘন্টার মধ্যে মায়ের দুধ খাওয়াতেই হবে। আর
এ নিয়ে
সবচেয়ে
বেশি
সচেতন
হতে
হবে
মাকে। হু
এবং
ইউনিসেফ
সূত্রে
জানা
গিয়েছে
আরও
চাঞ্চল্যকর
খবর। এই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, যত দিন যাচ্ছে সি–সেকশন বা সিজারিয়ান পদ্ধতিতে প্রসব বাড়ছে পৃথিবী জুড়েই। পাল্লা
দিয়ে
কমছে
সদ্যোজাতদের
মাতৃদুগ্ধ
খাওয়ানো। সিজারিয়ান শিশুরা তো আরও কমই মাতৃদুগ্ধ পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ,
মিশরে
২০০৫
থেকে
২০১৪
সালের
মধ্যে
সিজারিয়ান
ডেলিভারি
বেড়েছে
দ্বিগুণের
বেশি। আগে ছিল ২০ শতাংশ। এখন
৫২
শতাংশ। অন্যদিকে সিজারিয়ান বাচ্চাদের মধ্যে মাত্র ১৯ শতাংশ জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ পাচ্ছে!
হল,
সবচেয়ে
বেশি
মাতৃদুদ্ধ
পায়
পূর্ব
ও দক্ষিণ
আফ্রিকার
সদ্যোজাতরা। প্রতি ১০০টি বাচ্চার মধ্যে ৬৫টিই জন্মের প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ পায়। আর
মাতৃদুগ্ধ
সবচেয়ে
কম
পায়
পূর্ব
এশিয়া
এবং
বিস্তীর্ণ
প্রশান্ত
মহাসাগরীয়
এলাকার
শিশুরা। এইসব এলাকার মাত্র ৩২ শতাংশ সদ্যোজাতই মাতৃদুগ্ধ পেয়ে থাকে। শ্রীলঙ্কা
এবং
বুরুন্ডির
প্রতি
১০টি
সদ্যোজাতের
মধ্যে
ন’টিই
এক
ঘন্টার
মধ্যে
মায়ের
দুধ
পায়। অন্যদিকে মুদ্রার অন্যপিঠ হল, আজেরবাইজান, চাঁদ প্রভৃতি দেশে প্রতি ১০টি সদ্যোজাতের মধ্যে দু’জনের কপালের জোটে মাতৃদুগ্ধ! ইউনিসেফের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা এইচ ফোর বলেন, আবার এটাও ঘটনা, মায়েরা অনেক সময়ই বুকের দুধ খাওয়ানোর মতো পরিবেশ–পরিস্থিতি বা সাহায্য কোনওটাই পান না। বি
সি
রায়
শিশু
হাসপাতালের
অধ্যক্ষা
ডাঃ
মালা
ভট্টাচার্য
বলেন,
যদি
ফিগার
এবং
অন্যান্য
কারণে
মায়েরা
বাচ্চাদের
দুধ
খাওয়াতে
পিছিয়ে
আসেন,
বলব
তার
চেয়ে
দুর্ভাগ্যজনক
কিছু
হয়
না। এক ঘন্টা কেন, এখন নিয়ম হয়েছে জন্মের আধ ঘন্টার মধ্যে মায়ের দুধ খাওয়াতেই হবে। আর
এ নিয়ে
সবচেয়ে
বেশি
সচেতন
হতে
হবে
মাকে। হু
এবং
ইউনিসেফ
সূত্রে
জানা
গিয়েছে
আরও
চাঞ্চল্যকর
খবর। এই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, যত দিন যাচ্ছে সি–সেকশন বা সিজারিয়ান পদ্ধতিতে প্রসব বাড়ছে পৃথিবী জুড়েই। পাল্লা
দিয়ে
কমছে
সদ্যোজাতদের
মাতৃদুগ্ধ
খাওয়ানো। সিজারিয়ান শিশুরা তো আরও কমই মাতৃদুগ্ধ পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ,
মিশরে
২০০৫
থেকে
২০১৪
সালের
মধ্যে
সিজারিয়ান
ডেলিভারি
বেড়েছে
দ্বিগুণের
বেশি। আগে ছিল ২০ শতাংশ। এখন
৫২
শতাংশ। অন্যদিকে সিজারিয়ান বাচ্চাদের মধ্যে মাত্র ১৯ শতাংশ জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ পাচ্ছে!
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});