October 23, 2024

পথের সাথী প্রকল্পে স্বনির্ভর এক ঝাক মহিলা, উত্তর দিনাজপুরে

1 min read

তন্ময়  দাস,উত্তর  দিনাজপুর ঃ যিনি রাঁধেন , তিনি চুলও বাঁধেন৷ নিজেদের জীবন  দিয়ে প্রমাণ করেছেন ওরা আর কেউ নয়,ওরা স্বনির্ভর  গৃহবধূ নিজেদের বাড়ির  কাজ সামলান তার পাশাপাশি  সামলান পথের সাথী৷ কয়েক দিন আগে পর্যন্ত তাঁদের জীবন ছিল গতানুগতিক ছন্দে বাঁধা৷ নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের আর পাঁচ জন বধূর মতো তাঁরাও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সংসারের নানা কাজে ব্যস্ত থাকতেন৷ আর আজ তাঁরাই জাতীয় সড়কের ধারে একটি ঝাঁ চকচকে হোটেলের  সর্বময় কর্তা৷ এই মহিলারাই সামলাচ্ছেন মাননীয়  মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘পথের সাথী ’ পান্থনিবাসের যাবতীয় কাজকর্ম৷  রাজ্যের উত্তর  দিনাজপুর  জেলাতেও গড়ে উঠেছে  এই  পান্থ আলয়, ইটাহার ও ডালখোলাতে ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

  স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলার পরিচালনা করছেন, জেলার ইটাহার ব্লকে মোট ৭২ জন মহিলা এইখানে  দ্বায়িত্ব এ রয়েছেন থেকে ৭২ জন মহিলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ তবে কেউ হয়তো আস্তে পারেন না সংসারের চাপে প্রতিদিন,  এই মহিলাদের  উপরেই রয়েছে ‘পথের সাথী ’  পরিচালনা দায়িত্ব৷ 
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে উত্তর  দিনাজপুর  জেলা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে গড়ে উঠেছে দুইটি হোটেল৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তার নাম দিয়েছেন ‘পথের সাথী ’৷ দক্ষিণবঙ্গ থেকে উওরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি যাওয়ার য়াওয়ার সময়  য়েমন  পথে অনেকেই দাঁড়ান একটু বিশ্রাম এর জন্য তার সু ব্যবস্থা  ছিল না মূলত তাঁদের কথা ভেবেই তৈরি হয়েছে এই হোটেল৷ ক্লান্ত পথচারীদের বিশ্রামের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের পাশাপাশি রয়েছে খাওয়া দাওয়ার এলাহি বন্দোবস্তও৷ এই সরকারি পান্থশালার গোটা দায়িত্বটাই এখন সামলাচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৭২ জন মহিলা৷ রান্না থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়ন-সবই এক হাতে সামলাচ্ছেন তাঁরা৷
এই কাজটা কিন্ত্ত তাঁদের পক্ষে খুব একটা সহজ ছিল না পাশের বাড়ি, পাড়া থেকে এমন কি পরিবার  থেকেও বাধা এসেছিল প্রতি ধাপে৷ মুখোমুখি হতে হয়েছে বহু তির্যক মন্তব্যের৷ ঘরের বধূরা রাস্তার ধারের হোটেল  চালাবেন-অনেকেই বিষয়টা সহজ ভাবে মেনে নেননি৷ তবে হাল ছাড়েননি ইটার  ব্লকের বিডিও এই মহিলারা ৷ 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সকালে কচুরি -আলুর দম আর চা দিয়ে শুরু হয় ব্রেকফাস্ট৷ দুপুরে থাকে ভাত , ডাল , সব্জি , মাছ , মাংস-সবই৷ রাতে ভাত , রুটি সবই মেলে তাছাড়া  রাতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, রয়েছে এসি ৷ রান্নাবান্নার পাশাপাশি বাজার -হাট সবই করেন দায়িত্বে থাকা মহিলারা৷


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *