নবান্ন মৌচাক, সেখানেই রানী মৌমাছি বসে রয়েছে, তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের
1 min readনবান্ন মৌচাক, সেখানেই রানী মৌমাছি বসে রয়েছে, তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের
তন্ময় চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যটাকে বিক্রি করে দিয়েছে। এই রাজ্যের ভবিষ্যৎ এদের হাতে থাকলে অন্ধকার হয়ে যাবে গোটা রাজ্যের হাজার হাজার মানুষদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই এখনই এদের উৎখাত করার সময় এসেছে। আজ, শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে বিজেপির একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন কথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, মৌচাক দেখেছেন। তাতে এক ধরণের শ্রমিক মৌমাছি থাকে। যারা ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ করে। আর থাকে রানী মৌমাছি। মধুসংগ্রহ করে না। সে শুধু বসে থাকে। এই মৌচাক হল নবান্ন। আর রানী মৌমাছি মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন থেকে সেই মুখ্যমন্ত্রীকেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরিয়ে দিতে হবে।’’সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, ‘‘এই তৃণমূল দলটাই চোরে পরিণত হয়েছে। এরা সবকিছুতেই চুরি করে।
পঞ্চায়েত থেকে শিক্ষা সব ক্ষেত্রেই এরা চুরি করে শেষ করে দিয়েছে। এদের হাতে রাজ্য থাকা মানেই হাজার হাজার মানুষদের ভবিষ্যৎঅন্ধকার। তাই আগামী দিনে এদের উৎখাত করে নতুন সূর্যোদয় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে এই পশ্চিমবঙ্গে।’’ যে আন্দোলনের প্রথম ধাপ শুরু হবে আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের মধ্য দিয়ে। সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, সবে তো পার্থ ও অনুব্রতর উইকেট পড়েছে এখন পরপর উইকেট পড়তে থাকবে। কেউ এর থেকে বাদ যাবে না। সব তথ্যই আছে সিবিআই এর হাতে। সুকান্ত বাবু বলেন অনুব্রত বাবুকে বীরের সম্মান দেবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কারনেই ঘোষনা করেছে। কারন অনুব্রত মণ্ডলের হাতেই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাবিকাঠি। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একবার যদি বলতে শুরু করেন তাহলে প্রথমেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপোর নাম দিয়েই শুরু করবেন। তাই গদি বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে বীরের সম্মান দিবে অনুব্রতকে এই ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন এই জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রায়গঞ্জের সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, এই রাজ্যে এখন চোরের সরকার চলছে। এই সরকারের আর এক মুহূর্ত গদিতে থাকা উচিত নয়। এরা চুরি করে রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়েছে। কয়লা চুরি থেকে গরু চুরি এবং শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি, এই ক্ষেত্রে এগিয়ে বাংলা। এখন অনেকেরই সময় এসেছে জেলে যাওয়ার। তাই এখন তৃণমূল নেতাদের মুখে একটু নরম সুর পাওয়া যাচ্ছে।