October 26, 2024

ফিরে দেখা ১৫ আগষ্ট ১৯৪৭ সালে কেন ভারত স্বাধীন হয়েছিল

1 min read

তন্ময় দাস, উত্তর দিনাজপুরঃ   প্রশ্নটি হঠাৎই বুকে ধাক্কা দিল- তাই না?? ঠিক তো এরকম টা আগে কখনো ভাবা হয় নি.আমরা কি জানি কেন আমাদের দেশে স্বাধীনতা অর্জন   করেছিল,তবে আমরা জানি আমাদের দেশের নাম ভারতবর্ষ নামকরন হয়েছিলো কেন তা আমরা সকলেই জানি হয়তো,  য়াই হোক এই বার আসা য়াক প্রসঙ্গ।  বৃটিশের ১৯৩৫ সালে য়ে ভারত শসন আইন তৈরি হয়েছিল তার মধ্যেই দেশভাগের বীজ টি পোঁতা হয়েছিল য়া ক্রমে শাসক গোষ্ঠীর পরিচর্যা   ‘সাম্রদায়িক’ ভায়াল বৃক্ষে পরিণত হয়েছিলো। আর তার করাল গ্রাসে ভারতবর্ষ খণ্ড বিখন্ড হয়ে গেল ১৫   আগষ্ট ১৯৪৭    এর মধ্যরাত। দ্বিতীয় বিশ্বয়ুদ্ধ পরবর্তী বৃটেনের অর্থনৈতিক মন্দায় শত শত য়োজনা দূরে ভারতবর্ষে বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসন বজায় রাখা সম্ভবপর ছিল না। তাছাড়া, ভারতের  অভ্যন্তরীণ বৃটিশ শাসন বিরোধী বিক্ষোভ  আন্দোলন তার কাছে অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়িয়েছি।
 এদিকে বৃটেনের নয়া শ্রমিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট অ্যাটলি ভারতকে স্বাধীনতা অর্থাৎ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেও দিয়েছিলে।  সে সময় ভারতে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ সসর্বক্ষেত্রেই পরস্পরবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় অর্থাৎ কোনও বষয়ে    ঐক্যমতে পৌঁছাতে না  পারার জন্য অ্যাটলি এক প্রকার রাগ করেই ক্ষমতা  হস্তন্তরের সময় জুন ১৯৪৮ ঘোষণা করেনতখন ভারতের বড়লাট লর্ড মাউন্টব্যাটেন। তিনি মার্চ মাসের ১৯৪৭ সালে ভারতে আসেন ক্ষমতা হস্তন্তরের জন্য  মাত্র ১৫ মাস সময় নিজ হাতে  নিয়ে।   

    বড়লাট লর্ড মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতায় এসেই  শাসন ব্যবস্থা টি ভেঙে পড়ার অজুহাতে ১০ মাস সময় এনে মাত্র ৫ মাসে  অর্থাৎ ১৫     আগষ্ট১৯৪৭ এ তার সব ক্ষমতা হস্তন্তরের পর্ব মিটিয়ে ফেলতে চাইলেন,  য়াতে তিনি তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে অভীষ্ট বৃটিশ নেভির সর্বোচ্চ পদে য়োগ দিতে পারেন  তাছাড়া          বড়লাট লর্ড মাউন্টব্যাটেনর কাছে  Unpredictable গান্ধী ও Organised নেতাজী ভয়ের য়েমন কারন  ছিল এদিকে তেমনি কংগ্রে,  মুসলিম লীগ ও   শিখ নেতৃত্বএর  দেশভাগের ব্যাপারে সহাবস্থান য়দি হঠাৎ ভেঙে য়ায় সেই ভয়েও ছিল অন্যদিক। আবার ১৯৪২ এ স্যার স্টফোর্ড ক্রিপসের অভিঙ্গতাও তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। এক্ষেত্রে গান্ধী ও নেতাজীকে নিয়ে তার ভয় ছিল       তাদের আন্দোলন সংগঠিত করার দক্ষতার জন্য; আর ভারতীয় নেতাদের তাদের খামখেয়ালিপনার জন্য।
 সেইজন্য সম্ভবত  র্যাডক্লিফকে       দিয়ে তিনি একদিকে যেমন দেশভাগ নির্মম ছুরিটি চালিয়েছিল মাত্র কয়েক সপ্তাহ শুনানি ও তদন্তের মাধ্যমে; তেমনি অপরদিকে স্ত্রী- লেডিকে নেহেরুর দিকে মোল হিসাবে এগিয়ে দিয়ে ক্ষমতা হস্তন্তরের মতো পর্বটি মিটিয়ে ছিলেন। কিন্তু ১৫ আগষ্ট ১৯৪৭?  তার এত ত্বরা  ছিল?  ১৫   তারিখে ও          আগষ্ট মাসে পৃথক      পৃথকভাবে গুরুত্বপর্ণ হয়ে স্বাধীনতার দিন ঠিক হয়েছিল।মাউন্টব্যাটেনের ১৫ আগষ্টের কথা মনে পড়ছিল কেননা এই দিনই  জাপান আ আত্মসমর্পণ করেছিল অর্থাৎ জাপানার পতনের দ্বিতীয় বার্ষিকী ছিল তাছড়া এশিয়ার এই দুটি দেশে ভবিষ্যৎ মনোমালিন্য বজায় রাখাও তার কূটনীতিক চাল ছিল এছাড়া   আগষ্ট মাসের   গুরুত্ব বৃটিশ- ভার সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ন ছিল   য়েমন ১৭৬৭     সালের    আগষ্ট মাসেই দ্বিতীয় শাহআলম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাংলা – বিহার –  ওড়িশা দেওয়ানি অর্পন করেছিল।কোম্পানির শাসনের অবসানে অর্থাৎ সিপাহী বিদ্রোহের অব্যবহিত পরে ভারতের শাস্নভার বৃটিশ সরকার অধিগ্রহণ করে ভারত শাসনের জন্য  Act for better Govt.of India আইনটি পাশ করে ১৮৫৮ সালে এই     আগষ্ট মাসেইআবার ১৯১৭ সালের      আগষ্ট বৃটিশ সরকার ঘোষণা করে যে তার ভারত নীতির লক্ষয একটি দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করাজ্যোতিষের ভুমিকাতে ১৫   আগষ্ট ছিল এ কথ  সত্যি য়েএ নেহেরু বা মাউণ্টব্যাটেন কেউ জ্যোতিষে বিশ্বাস ছিলেন বা   পাঁজির বিচারে ১৫     আগষ্ট দুনটি অত্যন্ত অশুভ, এমকি ১৩ ও শুভ কেবল ১৪   আগষ্ট   এবার স্বয়ং নেহেরু পরিত্রাতার ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়ে বড়লাট চিন্তা মুক্ত করেনতিনি ঠিক করে দেন ১৪     আগষ্ট শুভ সময় শেষ হবার আগেই গণ পরিষদ অধিবেশন বসবেই এবং মধ্য রাতের ১২ টায় ঘন্টার ধ্বনির মাঝেই ক্ষমতা হস্তারিত হবে  ১৪    আগষ্ট   নেহেরু শুরু করেন তার ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম বক্তব্য” মাঝতারের ঘন্টা যখন বাজবে সারা পৃথিবী যখন ঘুমাবে ভারত তখন নবজীবন ও স্বাধীনতার মধ্যে জেগে উঠবে”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *