October 26, 2024

শ্রীমতী নদীর জলা ভূমি বুজিয়ে অবৈধ নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামলো নদী ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটি

1 min read

শ্রীমতী নদীর জলা ভূমি বুজিয়ে অবৈধ নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামলো নদী ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটি

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ২৫এপ্রিল:আমরা জানি পুকুর চুরির কথা এখন দেখছি প্রশাসনের সামনেই গোটা শ্রীমতী নদীকেই একশ্রেণীর মানুষ পুরো নদী চুরি করে কেও অবৈধ উপায়ে গৃহনির্মাণ আবার কেউবা নদীর ভিতর বোরো চাষ করছে। এই জিনিস কোন ভাবেই মানবে না কালিয়াগঞ্জ নদী ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটি।সোমবার সকালে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সেরগ্রমের পীরবন্ধু এলাকায় কালিয়াগঞ্জ নদী ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রসূন দাস এবং দেবাশীষ ব্রহ্ম একথা বলেন।নদী বাঁচাও কমিটির অন্যতম কর্ণধার ভানু প্রকাশ শর্মা বলেন একটি চলমান নদীকে কিভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ নদীকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করল তার কারন জেলা প্রশাসনকেই খুঁজে বের করতে হবে বলে দাবি করেন।তিনি বলেন সরকারের উপর তলার আধিকারিকদের প্রচ্ছন্ন মদত না থাকলে এভাবে একটি আস্ত নদী চুরি কখনোই হতে পারেনা।জানা যায় সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সের গ্রামের পীরবন্ধু এলাকায় বিজয় বর্মন শ্রীমতী নদীর ধারে নদীর জলা ভূমি বুজিয়ে অবৈধ উপায়ে গৃহ নির্মাণ শুরু করে বেশ কিছুদিন থেকেই।এই খবর শোনা মাত্র ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণ বর্মন কোন ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

তিনি সরেজমিনে দেখার পর হতবাক হয়ে যান।কৃষ্ণ বাবু সাংবাদিকদের বলেন শ্রীমতী নদীর জলা ভূমি বুজিয়ে এই অবৈধ নির্মাণ কোনভাবেই কেউ করতে পারে না। সে যেই হোক। গ্রাম পঞ্চায়েত কোন ভাবেই এই অবৈধভাবে নির্মাণের কোন অনুমতি দেযনি এবং দিতেও পারেনা।এদিকে পীরবন্ধু এলাকায় শ্রীমতী নদীতে এই অবৈধ নির্মাণের মালিক বিজয় বর্মনকে সোমবার এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে বিজয় বর্মন বলেন তিনি কোন অন্যায় কাজ করেন নি।তিনি নদীর যে জলাভূমিতে নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন সেই জমি র কাগজ পত্র তার আছে।বিজয় বর্মন বলেন আপনারা যে শ্রীমতী নদীর কথা বলছেন সেই শ্রীমতী নদী গোটাটাই রায়তি সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে।

কিভাবে একটি নদী রায়তি সম্পত্তিতে পরিণত হল তা জানতে চাইলে বিজয় বাবু বলেন তার বাপ ঠাকুরদার আমলেই এটা হয়ছে।আমি কিছু বলতে পারবো না।তবে আমার কাগজ পত্র সবই আছে। সের গ্রামের পীরবন্ধু এলাকার কিছু মানুষের ফোন পেয়ে কালিয়াগঞ্জের ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক সুমন তামাং ঘটনা স্থলে সরেজমিনে গিয়ে তিনি অবাক হয় যান।তিনি সেই অবৈধ নির্মাণকারীকে বলেন অবিলম্বে এই কাজ বন্ধ রাখতে হবে।

 

সেই নির্দেশ অনুসারে আপাতত নির্মাণের কাজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক সুমন তামাং বিজয় বর্মন এবং শেফালী রায়কে একটি নোlটিশ পাঠিয়েছেন।তাতে বলা হয়েছে আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি তার নোটিশের সন্তোষজনক কোন জবাব না পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথভাবে সরকারি নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে একই ভাবে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের সীতা মোড়ে শ্রীমতী নদীর জলা ভূমিতেও অবৈধ উপায়ে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।সেখানে গিয়েও কালিয়াগঞ্জ নদী ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটির সদস্যরা নদীর মধ্যে অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান।যদিও সীতা মোড়ের অবৈধ নির্মাণ কারীর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক বলেন আগামী কাল মঙ্গলবার তিনি সীতা মোড়ে সরেজমিনে দেখতে যাবেন।তার পর যা ব্যবস্থা নেবার তা নেওয়া হবে বলে জানান সুমন তামাং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *