October 26, 2024

প্রতিতীর অনুষ্ঠানে শরদিন্দু দাশগুপ্তের(বাসুদার) স্মরণ সভা

1 min read


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ–মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জের হনুমান ভবনে সদ্যপ্রয়াত কালিয়াগঞ্জের সাহিত্য জগতের উজ্বল নক্ষত্র তথা কালিয়াগঞ্জের ভ্রাম্যমান সাহিত্যে ও সংস্কৃতি সংস্থা প্রতীতির প্রতিষ্ঠাতা কর্নধার শরদিন্দু দাশগুপ্তের(বাসুদা)র স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক রাজকুমার জাজদিয়া।স্মৃতিচারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতীতির সম্পাদক করুণাময় চক্রবর্তী বলেন বাসুদা ছিলেন আমাদের সবার অভিভাবক।প্রচার বিহীন এই মানুষটি একজন প্রকৃত শিক্ষক ছিলেন,তেমনি সাহিত্যে তার ছিল অসাধারন পান্ডিত্য।সাংষ্কৃতিক জগতে ছিল তার অবাধ বিচরণ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

আমরা আমাদের প্রতীতির পরিবারের   একজন পরম আত্মীয়কে হারিয়ে শোকাহত।অমিতা সরকার(দাশগুপ্ত)বাসুদার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাকে কাছে থেকে দেখে মূল্যায়ন করেছেন তিনি ছিলেন এক উদারচেতা অসাধারন মানুষ।তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন তারা দুজনে দুই মেরুর মানুষ হলেও তিনি রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে সাহিত্য ও সংস্কৃতিই ছিল তার প্রাণ।সাংবাদিক তপন চক্রবর্তী বলেন বাসুদা তার শিক্ষক হলেও তিনি ছিলেন শিক্ষকবন্ধু।তিনি চলে গেলেও প্রতিটি দিনের শেষে একবার করে বাসুদাকে মনে করতেই হয়,তা চলতেই থাকবে আমৃত্যু।মেয়ে গার্গী সেনগুপ্ত বাবার মৃত্যুর একমাস আগের একটি রেকর্ড করা  কবিতা শুনিয়ে সবার মনকে ভারাক্রান্ত করে দেয়।

স্মৃতিচারন করেন শিবানী দাশগুপ্ত,ডা অনাথ বন্ধু মহাতা।প্রদীপ রায় বলেন সে তার ছাত্র না হলেও তার সাথে প্রতীতির আসরে এসে মিশে বুঝতে পেরেছিলেন তিনি কত উদার মানসিকতার মানুষ।প্রতীতির অন্যতম সদস্য ডঃ কাঞ্চন কুমার দে বলেন কালিয়াগঞ্জ তথা প্রতীতি একজন অসাধারন ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে প্রতি মহুর্তে তার অভাব বোধ আমাদের করতে হবে।অরুন কুমার দাস বলেন তার সাথে প্রথম দেখায়  বুঝেছিলেন বাসুবাবু কোন স্তরের মানুষ।অরুন দাস প্রতীতির পক্ষ থেকে একটি শোকপত্র পাঠ করে কন্যা গার্গীর হাতে তুলে দেন।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

স্মৃতিচারণ সভায় অমলেন্দু দাশগুপ্ত প্রানের ভাই বাসু সম্পর্কে একটি শোকবার্তা পাঠালে তা পাঠ করে শোনানো হয়।সভায় উপস্থিত ছিলেন বঙ্কিম বর্মন,সত্যেন্দ্র নাথ বর্মন ও কান্তি প্রামানিক।স্মৃতিচারণ শেষে সভার সভাপতি রাজকুমার জাজো দিয়া বলেন আমরা একজন সত্যিকারের প্রাণবন্ত মানুষ তথা আমাদের অভিভাবকে হারিয়ে অভিভাবক হীন হয়ে পড়লাম।শেষে উপস্থিত সবাই একসাথে বাসুদার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগুনের পরশমণি গানটি গেয়ে স্মৃতিচারন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *