October 24, 2024

বালি সংকটে চলতি শুখা মরশুমে থমকে গিয়েছে সরকারি -বেসরকারি প্রচুর নির্মাণ কাজ

1 min read
সুচন্দন কর্মকার :-  সাধের বাড়ি হোক অথবা সরকারি নির্মাণ প্রকল্প, সবেতেই চাই ভালো মানের বালি। এই বালি সংকটে চলতি শুখা মরশুমে থমকে গিয়েছে সরকারি -বেসরকারি প্রচুর নির্মাণ কাজ এই উত্তর দিনাজপুরে। বিশেষ করে রায়গঞ্জ মহকুমায় বালির সংকট সব চাইতে বেশি। বালির সংকটে বিপদে  পড়েছে কালিয়াগঞ্জ পুরসভা। নিকাশি নালা ও পৌর মার্কেট কমপ্লেক্সের মতো দুটি মেগা প্রকল্পের কাজ প্রায় থমকে গেছে মাঝপথে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 পুরসভার মতো পঞ্চায়েত স্তরে বেশ কিছু নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে আছে এই বালি সংকটে। বাজারে বালি মিলছে না এমন নয়। দার্জিলিং থেকে বৈধভাবে আসছে সামান্য পরিমাণ বালি। যার দাম দ্বিগুণ। এতদিন দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকা থেকে আসা পাহাড়ি নদীর সাদা বালি প্রতি ১০০ সিএফটি ২৩০০- ২৫০০ টাকায় মিলত। সেই বালি এখন মিলছে দিগুন দামে। ভালো মানের শিলিগুড়ির বালির দাম এখন সাড়ে চার হাজার টাকা প্রতি ১০০ সিএফটি। এই চড়া দামে বালি কিনে সরকারি নির্মাণ কাজ করতে রাজি নয় ঠিকাদার সংস্থাগুলি।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 এতেই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা সহ জেলার রায়গঞ্জ মহকুমার  বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প গতি হারিয়েছে। শুখা মরসুমে  সরকারি প্রকল্প গতি  হারানোর যেরে অনান্যদের  মতো বিপদে পড়েছে কালিয়াগঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষ। সে কথা মেনে নিয়ে কালিয়াগঞ্জের পুরপ্রধান কার্তিক পাল বলেন, বালি সংকটের কথা দুমাস আগেই জানানো হয়েছিল জেলা শাসক দপ্তরে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে জেলাশাসক দপ্তর উদ্যোগী হয়ে পুরসভায় চালু প্রকল্পের জন্য কত বালি প্রয়োজনে তা জানতে চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠির জনাবে একলক্ষ এমকিউব বালির প্রয়োজন বলে পুরসভার তরফে জেলা শাসক দপ্তরে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এরপর বালি নিয়ে সংকট এখনো কাটেনি।২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের মাত্র ৫ মাস বাকি। এর মধ্যে যদি বিভিন্ন প্রকল্পের  কাজের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হয়। তাহলে পরের অর্থবর্ষে বরাদ্দ মিলতে সমস্যা হতে পারে বলেছেন কালিয়াগঞ্জের পুরপ্রধান।শুধু কালিয়াগঞ্জ পুরসভা ও সরকারি অন্যান্য দপ্তর নয়, বালি সংকট ভুগছে সাধারণ মানুষ। প্রশাসন সূত্রে খবর পরিবেশ সংক্রান্ত নিয়মের জেরে চলতি বর্ষার মরসুমে ৩ আগস্ট নদী থেকে বালি ও পাথর তোলার উপর  নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য সরকার। এই বিধি-নিষেধে বালি সংকট চরমে উঠেছে। এমন অবস্থায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প আটকে যায়। সে কথা জানিয়ে পূর্ত সহ অন্যান্য দপ্তর রাজ্যের কাছে আবেদন জানায়। সমস্যার  কথা জেনে ফেড় ২৭শে আগস্ট নবান্ন নির্দেশ জারি করে জেলা শাসকের হাতে ক্ষমতা দেয় সরকারি কাজের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন অনুসারে বালি উত্তোলনের। সেই নির্দেশ মেনে অন্যান্য জেলার বালি উত্তোলন কিছুটা শুরু হলেও উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন এখনো বালি তোলার অনুমতি দেয়নি। ফলে তীব্র বালি সংকটে ভুগছে জেলার মানুষ। চাহিদা ও যোগানের ফারাকে এখন  মহার্ঘ হয়েছে দার্জিলিং থেকে বালি।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *