October 25, 2024

উত্তর দিনাজপুর জেলায় কালো ধানের চাষে উদ্যোগ নি ল অধ্যাপক ডঃ সুভাষ রায়

1 min read
তপন চক্রবর্তী–উত্তর দিনাজপুর–সবার স্বাস্থ্য ভালাে রাখার ক্ষেত্রে কালাে নুনিয়া ধানের তুলনা নেই।তাই কালো  ধানের উৎপাদনে উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষকদের উৎসাহিত করার প্রয়োজন জরুরী। এমনই আহব্বান জানালেন বুধবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সুভাষ চন্দ্র রায় তার নিজের গ্রামে এসে।
ড সুভাষ চন্দ্র রায় ।তিনি বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলায় কালো  ধান চাষের জন্য তিনি কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কাঁচনা গ্রামের তার নিজের জমিতে কালো  ধানের চাষ পরীক্ষামূলক ভাবে করছেন।উত্তর দিনাজপুর জেলার জমিতে কালো  ধানের চাষ   জড়তে নেমে তার অভিজ্ঞতা হয়েছে এই মাটিতেও কালো  ধানের উৎপাদন সম্ভব।বুধবার ডঃ সুভাষ রায় তার কাঁচনা গ্রামের জমিতে নিয়ে গিয়ে দেখালেন কালো  ধানের গাছ কত সুন্দর হয়েছে এবং ধানের গাছে  চেহারা এবং আজ একটি ধান গাছে কি পরিমান ধান হয়েছে তাও তিনি সংবাদিকদের  দেখালে।ডঃ সুভাষ রায় বলেন আগামী বছর যাতে উত্তর দিনাজপুর জেলায় কৃষি ভাইয়েরা কালো  ধান লাগাতে পারে  তার জন্য তিনি কৃষকদের বীজ দিয়ে  সাহায্য করবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন তিনি তার জমিতে এবার যে কালো ধান লাগিয়েছেন তা শুধু মাত্র উন্নত মানের বীজের ব্যবহারের কারণেই রাখা হবে। অধ্যাপক সুভাষ রায় বলেন শুধু মাত্র কালো  ধান নয় ৫০রকম দেশি বিদেশী  বিভিন্ন ধরনের ধানের গাছ লাগিয়ে দেখালেন কোন রকম রাসায়নিক সারের ব্যবহার ছাড়াই জৈব  সার দিয়ে ৫০ধরনের ধানের গাছে ব্যাপক ফলন হয়েছে।অধ্যাপক ডঃ সুভাষ রায় বলেন রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরের  প্রয়োজন হলে তার কাছে কালো  ধানের উন্নত বীজ পেতেই পারে।
কালো ধানের চালের ভাত খেলে ডায়া বেটিস রোগীর ডায়া বেটিস থাকবেনা।এই ধানে আছে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান যা ক্যানসার  প্রতিষেধকও বটে ।উত্তর পশ্চিম কাচনা গ্রামে নিজের বাড়ির সামনে ২ বিঘা জমিতে পঞ্চাশ রকমের ধান উৎপাদন করে সুভাসবাবু হাতে নাতে দেখিয়ে দিলেন কোন ধানের চালে কি কি গুন  আছে তার ব্যাখ্যা করেন।সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক রাইস কংগ্রেসের আমন্ত্রণে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধানের উৎপাদন বেশি ও ধানের গাছকে পুষ্টি কর খাদ্য কিভাবে দিয়ে  উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সেই নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহন করতে।জানা যায় ডাঃ সুভাষ বাবু মাত্র এই  অসম্ভব কে সম্ভব করে তুলছেন মাত্র দুই বিঘা জমিতে ।  । তার বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার  যখন দেশের সাধারন মানুষদের স্বাস্থ্য ভালাে রাখতে ও ভালাে পুষ্টিকর খাদ্য খেতে। ঠিক তখন তার উৎপাদিত কালাে ধানের চালের ভাত অনেকটাই সুসম খাদ্যে সাহায্য করবে । তিনি বলেন উত্তরবঙ্গে প্রথম তিনি এই কালাে ধানের চাষ করছেন পরীক্ষা মুলক ভাবে যা প্রথমেই সফল হয়েছেন তিনি । তার বক্তব্য রাজ্যসরকারের কৃষি দপ্তরের এখন কৃষকদের মধ্যে কালো  ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির কর্মসূচি নেবার প্রয়োজন।তিনি বলেন প্রয়োজনে তিনিও তাদের সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন পেশায় তিনি একজন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিঙ্গানী হওয়ার সুবাদে এই ধান চাষ করতে বা গবেষনা করতে বারতি সুবিধা পান। এদিকে ডঃ সুভাষ রায়ের এই ধরনের উদ্যোগে উৎসাহিত হয়ে তারই তত্বাধানে অনেক ছাত্ররা এগিয়ে আসছেন  ধানের উপর গবেষনা করতে । এমনই  একজনের দেখা মিলল তার ধানি জমিতে গবেষনা করতে ।নাম পঙ্কজ শীল । পঙ্কজ বাবু  বলেন এতদ অঞ্চলে এই ধরনের কালাে ধানের চাষ একটা বিরল ঘটনা।তাই এই ধানের উপর তিনি ও গবেষণা করছেন।পঙ্কজ শীল বলেন তার স্যার সুভাষ বাবুর তত্বাবধানে তিনি পি এইচ ডি করছেন।কালো  ধানের উপর গবেষণা করতে যতদিন যাচ্ছে ততই তার উৎসাহ বেড়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *