October 24, 2024

ইলেকট্রিক যন্ত্রের সাহায্যে মাটি দিয়ে পিঠে পুলির পাত্র তৈরি করে নয়া নজীর গড়ল কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফা নগরের মৃৎ শিল্পীরা

1 min read

পিয়া
গুপ্তা ঃ-
 পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে আয় রে ছুটে আয়আয়আয়“.পৌষালি বা পৌষপার্বণের আগমনী ঘোষণা হয় নবান্ন উত্সবে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ অন্যতম পৌষ পার্বণ পৌষ সংক্রান্তির শীতে পায়েস পিঠে পুলি সাধ না পেলে বাঙালির বছর শুরু হয় না কিন্তু ব্যস্তজীবনে ফাকে পিঠে  পুলি করার মত সময় কোথায় ?  তাই মুশকিল আসান উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফা নগরের মৃৎশিল্পীরা


 বর্তমানে সেখানে গেলে হাতে মিলবে ইলেকট্রিক যন্ত্রের সাহায্যে মাটি দিয়ে পিঠে পুলির পাত্র তৈরির  বিভিন্ন ধরনের পিঠে পুলি বানানোর হরেক রকমের সাচ। প্রতিযোগিতার দৌড়ে দম ফেলার সময় নেই এই সমস্ত মৃৎ শিল্পীদেরএখানে আসলেই মিলবে সিদ্ধ পিঠে,
গোকুল পিঠ,
ভাকা  পিঠে , পাটিসাপটা সহ নানান সুস্বাদু পিঠা বানানোর হরেক রকম মাটির সাজ। 

 কোনরকম সরকারি সাহায্য ছাড়াই এই মৃৎশিল্পীরা তারা নিজেরাই কিছু টাকা জোগাড় করে ইলেকট্রিক যন্ত্রের সাহায্যে  এই কাজ করে চলছে বছরের পর বছর ধরে তাদের একটাই বক্তব্য আগের তুলনায় এখন বাড়ি বাড়ি সেই পিঠে পুলি বানানোর রেওয়াজ কমে গেলেও  তবুও এখনও অনেক বাড়িতেই পিঠে পুলি নিজে হাতে না বানালে তাদের বছরই শুরু হয় না

তাই রীতিরেওয়াজ মিলে বাড়ির সবাই মিলে পিঠে বানানোর মাটির বিভিন্ন ধরনের সাজ তৈরি করে চলছেন তারা  মৃৎ শিল্পীরা বলেন তাদের  এই মাটির বিভিন্ন ধরনের পিঠে পুলি বানানোর সাজ যেমন তাদের বাড়ি থেকে বহু পাইকাররা এসে যেমন নিয়ে যান যেমন তারাও বিভিন্ন হাটে হাটে গিয়ে বিক্রি করেন হয়তো তেমন কিছু লাভ হয় না তবুও তাদের জাত ব্যবসা কে টিকিয়ে রাখতে এই পৌষ সংক্রান্তিতে পিঠেপুলির সা তাদের করতেই হয়

 তাই  এখন ভীষণ ব্যস্ত এইসব কাজ নিয়ে মুস্তাফা নগরের
 মৃৎশিল্পীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তারা সকাল থেকে কাজ নেই ব্যস্ত  কেউ মাটি তৈরি করছে কেউবা ইলেকট্রিক যন্ত্রের সাহায্যে মাটি দিয়ে পিঠে পুলির সেই সাজ তৈরি করছে কেউ বা রোদ্দুরে শুকাচ্ছে । 

 ঋতুর পালাবদলে
কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে আবারও চলে এলো শীতকাল। যদিও নগর জীবনে তখন পর্যন্ত শীত খুব
একটা অনুভূত না হলেও মৃদু শীতল হাওয়া এরই মধ্যে শীতের আমেজ সৃষ্টি করেছে। সাধারণত
শীতের এই আমেজকে ভিন্ন মাত্রা দান করে শীতের পিঠা।
শীতের পিঠার সাথে বাঙালির
সম্পর্ক চিরন্তন। এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তা ছাড়া শীতের পিঠা
ছাড়া শীত পূর্ণতা পায় না।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 নগর জীবনের কর্মব্যস্থতায় ঘরে পিঠা বানানোর সময় সুযোগ
হয়ে ওঠে না, এ কারণে পিঠার দোকানকে বেছে নেন অনেকে। এর ভেতর ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা,
রস পিঠা, নকশী পিঠা, পাঠিসাপটা পিঠা, দোল পিঠা, পান পিঠা, চাপড়ি পিঠা, ডিম চিতই
পিঠা, চন্দ্রপুলি, ক্ষীরপুলি, ছানাবড়া, নারকেল মুড়িসহ ৩০ রকমের পিঠাই বেশি বানানো
হয়। এগুলোর মধ্যে ভাপা এবং চিতই পিঠা বেশি জনপ্রিয়। 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *