মহিলাদের সুরক্ষার উদ্দেশ্যে মালদায় চাঁচল এ ধর্ণা মঞ্চ করা হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা।
1 min readমহিলাদের সুরক্ষার উদ্দেশ্যে মালদায় চাঁচল এ ধর্ণা মঞ্চ করা হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা।
মালদা: মহিলাদের সুরক্ষার উদ্দেশ্যে মালদায় চাঁচল এ ধর্ণা মঞ্চ করা হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। রাজ্য জুড়ে মহিলা সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছিল। সেই কর্মসূচির একটা অংশ হলো ধর্ণা মঞ্চ। ২৪ ডিসেম্বর মালাদার চাঁচল এসডিও মাঠে এই ধর্ণার আয়োজন করা হয়েছিল।
সেই ধর্ণা মঞ্চে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে এল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সূত্র মারফত খবর, আগে থেকে প্রসাশনকে এই ধর্ণা মঞ্চের বিষয়ে অবগত করেছিলেন মালদা জেলা সম্পাদিকা অনিন্দিতা প্রামানিক। সেই মতো ২৪ তারিখ সকালে অনুষ্ঠান কর্মসূচি শুরু হয়। সভা,মিছিল এবং তাদের যাবতীয় কর্মসূচির মাঝে একদল দুষ্কৃতী এসে ভাঙাচুর শুরু করে বলে অভিযোগ।
তারা স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের মারধোরও করে এবং একজন কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।অনিন্দিতা প্রামানিকের বক্তব্য, তাদের আয়োজিত ধর্ণা মঞ্চে এসে হামলা চালায় স্থানীয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। তিনি বলেছেন, “২৪ তারিখ এসডিও মাঠে আমাদের ধর্ণা মঞ্চের আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে অরাজনৈতিকভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা আমাদের মঞ্চ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এর বিরোধিতা আমরা করছি এবং করবো।” তিনি এর সাথে সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধিক্কার জানিয়েছেন। তার অভিযোগ এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং তাকে রিতিমত মারধরের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।ঐদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর রামও। ওনার বক্তব্য থেকে জানা যায় যে,’প্রতিটি জেলাতেই মহিলা সুরক্ষার উদ্দেশ্যে ধর্ণা মঞ্চের আয়োজন করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই মঞ্চে মহিলাদের যাবতীয় সুবিধা অসুবিধার কথা উপস্থাপন করা হচ্ছে। শনিবার সেই উদ্দেশ্য নিয়েই চাঁচলের এসডিও মাঠে তারা তাদের কর্মসূচির আয়োজন করেন। সেখানে আচমকাই স্থানীয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা এসে হামলা চালায় এবং সেখানকার বিজেপি কর্মীদের মারধোর করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। ধর্ণা এসব দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার এবং এতে কেউ বলপূর্বক বাধা দিতে পারেনা। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই জানাচ্ছেন তিনি।’যদিও তৃণমূল এই ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলেছে।মালদা তৃণমূল জেলা পরিষদের সদস্য সামিউল ইসলাম। তিনি এই ঘটনার দায় অস্বীকার করে বলেছেন ,”তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা এই ঘটনার সাথে যুক্ত নয়। মালদার চাঁচলে বিজেপির কোনো অস্তিত্ব নেই। বিজেপি নিজেই এধরনের হামলা ঘটিয়ে মিথ্যে হামলার অভিযোগ করছে।”