প্রশাসক বিহীন পৌরসভায় ফুল পরিবর্তন কার্তিকের নামের প্লেট জ্বলজ্বল করছে।
1 min readপ্রশাসক বিহীন পৌরসভায় ফুল পরিবর্তন কার্তিকের নামের প্লেট জ্বলজ্বল করছে।
জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ, উঃ দিনাজপুর।দাদার অনুগামী, দাদার পথে দাদার সাথে ইতিমধ্যেই কার্তিকের ফুল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। হ্যাঁ, ঘাসফুল থেকে এখন পদ্মফুলে অর্থাৎ বাগান থেকে জলাশয়ে পা বাড়িয়ে পদ্ম শোভায় শোভায়িত কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি তথা কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল। প্রাক্তন নামক শব্দটি তার নামের আগে বসলেও কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার অন্দরে পৌরপতি তথা পৌর প্রশাসকের ঘড়ের বাহিরের ওয়ালে এখনও অবধি কালিয়াগঞ্জ পৌর প্রশাসক হিসেবে বর্তমান হয়ে রয়েছেন।
কার্তিক চন্দ্র পালের এই নামাঙ্কিত প্লেকার্ড দেখে এখনও বিভিন্ন কাজে পৌরসভায় আসা পৌর নাগরিকরা ধন্দে পরছেন কার্তিক চন্দ্র পাল কি আদৌ ফুল পরিবর্তন করেছেন? দাদা বলে আখ্যায়িত শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার সাথে সাথেই মন্ত্রিত্বের চেয়ারে বসা শুভেন্দু অধিকারীর নামের প্লেকার্ড নবান্ন থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে কিন্তু দাদার অনুগামী, দাদার পথসাথী কার্তিক চন্দ্র পাল ঐ একই দিনে দাদার হাত ধরে বাগানের ফুল ফেলে জলাশয়ের ফুল হাতে উঠিয়ে নিয়েছেন। আর নেওয়া মাত্রই তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃবৃন্দ কার্তিক চন্দ্র পাল কে দল থেকে বহিস্কার করেছেন রাহু, মিরজাফর, বেইমান আখ্যা দিয়ে। বাতিল করা হয়েছে কার্তিক চন্দ্র পালের পৌর প্রশাসকের তকমা।
১২০ ঘন্টা অর্থাৎ ৫ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত যেমন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নগর উন্নয়ন দপ্তর কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় নতুন পৌর প্রশাসক নিয়োগ করতে ব্যার্থ তেমনি ব্যার্থ কার্তিক চন্দ্র পালের নামে পৌর প্রশাসক হিসেবে নেম প্লেট সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে। আর এই নিয়েই কানাঘুষা চলছে পৌরসভার অন্দরে ও বাহিরেও।
কয়েকজন পৌর কর্মীদের মধ্যে বলাবলি করছিলেন ৫ দিন ধরে কারো নাকি সাহস হচ্ছে না ঐ নেম প্লেট ছুঁয়ে ধরার , সরানোর তো দূরের থাক। এর অর্থ কিভাবে যে জাঁকিয়ে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের অন্দরে এই নিয়েই কাউকে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে না।
রাজ্য রাজনৈতিক আঙ্গিনায় কার্তিক চন্দ্র পাল ইতিমধ্যেই দাদার অনুগামী বলে প্রকাশ্যে তার পরিচয় দিয়েছেন কিন্তু কালিয়াগঞ্জের দাদার অনুগামীরা কিন্তু ছদ্মবেশে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের মধ্যে এবং পৌরসভার অন্দরে গিরগিটির আকার নিয়েছেন। আর সবসময় সবকিছু ফলো করে, কালেকশন করে দাদার কানে পৌঁছে দিচ্ছেন। কয়েকজন কে বলতেই শোনা গেল রাহুর নামাঙ্কিত নেম প্লেট বলে ভয়ঙ্কর গ্রহ রাহুর ছোবলের ভয়েই নাকি কেউ ঐ নেম প্লেট টি হাত দিয়ে ধরছেন না। তবে বাগানের ফুল থেকে জলাশয়ের ফুলে অবস্থান কারী কার্তিক চন্দ্র পাল প্রাক্তন হয়ে গেলেও তার নামে নেম প্লেট টি এখনো আজো কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ঘড়ের বাহিরের ওয়ালে বর্তমান।