মুকুল-দিলীপদের নিশানা অভিষেকের
1 min readমুকুল-দিলীপদের নিশানা অভিষেকের
সময় এলে তা আমরা লড়ে নেব। নির্বাচন লড়তে জানে তৃণমূল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়ার জনসভা থেকেই এভাবেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আবহে প্রচারে নেমেই তিনি বলেন, এই ডায়মন্ড হারবারের মানুষ আমাকে ২০১৯-এ জয়ী করেছিলেন। আপনাদের আশীর্বাদ নিয়েই ২০২১-এর আগে প্রচার শুরু করলেন অভিষেক।অভিষেক বলেন, মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই আমাকে নিশানা করেছিলেন। বলেছিলেন, বিশ্ব বাংলা কোম্পানির মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মুকুল রায়কে হাইকোর্টে টেনে এনে গোহারা হারিয়েছি। আমাকে দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা থেকে শুরু করে মোদী-শাহরাও নিশানা করেছিল।
আমি তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছি।অভিষেক বলেন, ভয় পেয়ে এখন আর আমার নাম নিচ্ছে না বিজেপি। বিজেপি-সহ সব দলের নেতারা এখন ভাইপো বলে নিশানা করছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, বুকের পাটা থাকলে আমার নাম নিয়ে দেখান। টানতে চানতে হাইকোর্টে এনে এর জবাব দেব। আমি নাম করেই বলছি দিলীপ ঘোষ গুণ্ডা, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। আকাশ বিজয়বর্গীয় গুন্ডা। আপনাদের সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন।অভিষেক বলেন, আমি তৃণমূল, আমি যা বলি তাই করি। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি ডায়মন্ড হারবারের সমস্ত মানুষ যাতে পানীয় জল পায়, তার ব্যবস্থা করব। কথা যখন দিচ্ছি, প্রতিশ্রুতি পূরণ আমরা করবই। মোদী-শাহরা কথা দিয়ে কথা রাখে না। প্রত্যেকের অ্যাকউন্টে আজও ১৫ লক্ষ টাকা করে আসেনি। নকল রাজনীতি চলবে না।অভিষেক বলেন, লড়াই হোক উন্নয়ন নিয়ে। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার কী উন্নয়ন করেছেন, আর দিল্লিতে মোদী সরকার দেশের বুকে কী উন্নয়নের বীজ পুতেছেন, তার লড়াই হোক। তাহলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, কারা উন্নয়নের পূজারি। উন্নয়ন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজও বলছি, মানুষের উন্নয়নের সঙ্গে কোনও আপোশ হবে না। মমতা নামক সূর্যের সঙ্গে লড়লে ঝলসে যাবেন।তৃণমূলে কেউ প্যারাসুটে নামে না, লিফটেও উঠিনি। শুভেন্দু অধিকারীও ওঠেননি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওঠেনি। কেউ কেউ অনেক কথা বলছে। আমি প্যারাসুটে নামিনি, লিফটেও উঠিনি। প্যারাস্যুটে উঠলে আমি দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী হতাম। কিংবা ৩৫টি পদে থাকতাম। এই তৃণমূলে কেউ যদি কেউ ওঠে তাহলে তাঁর পতন অবশ্যম্ভাবী।তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের কাছে মা। সেই মায়ের সঙ্গে কেউ যদি বিশ্বাসঘাতকতা করেন, আপনারা কেউ ছেড়ে কথা বলবেন না। যে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, আগামী দিনে কড়ায় গণ্ডায় তার জবাব দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক তাঁর এই কথায় ঘুরিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকেই নিশানা করলেন। এবং জবাব দিলেন প্যারাসুটে নামা এবং লিফটে ওঠা প্রসঙ্গেও