লক্ষ্মীপুজোর আগে কুমোরটুলিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে
1 min readলক্ষ্মীপুজোর আগে কুমোরটুলিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও উত্সবমুখর বাঙালি। দুর্গা পুজোর পর পরই এবার ধনদেবীর আরাধনা। তাই জোর ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছে কালিয়াগঞ্জ এর কুমারটুলি বলে খ্যাত পাল পাড়ায় । আর একদিন পরেই লক্ষ্মীপুজো। তাই কুমোরটুলিতে গিয়ে দেখা গেল শিল্পীদের ধনের দেবীকে সাজিয়ে তোলার চরম ব্যস্ততা।করোনা আবহে একটানা কয়েক মাস কোনওরকম পুজো না হওয়ায় বসে কাটাতে হয়েছে মৃত্শিল্পীদের।
দুর্গাপুজোর জন্য অনেক পরে বরাত মেলায় মূর্তি তৈরি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। তাই দুর্গা মূর্তি মণ্ডপে যাওয়ার পর থেকেই তারা লক্ষ্মী মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।মৃত্শিল্পীরা জানান, সারা বছর ধরে তারা প্রতিমা তৈরি করেই সংসার চলে মৃত্শিল্পীদের। এবছর করোনা আবহে আগের মতো বায়না না মেলায় তাদেরকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। যদিওবা কিছু বায়না এসেছে, তা অনেক পরে। যা তড়িঘড়ি করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদেরকে। তাই দুর্গা প্রতিমা ছাড়তে না ছাড়তেই লক্ষ্মী প্রতিমা গড়াই হিড়িক কালিয়াগঞ্জ এর কুমারটুলি বলে খ্যাত পাল পাড়ায় জুড়ে। এত অল্প সময়ের এই ব্যস্ততার মধ্যে লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি করা সম্ভব নয় বলেই তারা আগে থেকেই তাদের প্রতিমা তৈরি করতে হয়।শিল্পীদের কথায় বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজা হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চিত তারা তাই আগে থেকে কিছু সংখ্যক প্রতিমা রং, তুলির টানে সাজিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও আরও একটি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন মৃত্শিল্পী বঙ্কিম পাল, ধীরেন পাল, বাবু পালেরা। তারা জানান, এ বছর দুর্গাপূজায় তেমন বরাত মেলেনি। এই সংসার চালিয়ে হাত প্রায় ফাঁকাই। লক্ষ্মী প্রতিমা করতে যে পরিমাণ খরচ, সেই খরচ যোগাতে পারেননি অনেক শিল্পীই। জমানো কিছু অর্থে তৈরি হয়েছে কিছু মূর্তি জানি এই আশায় বুক বেঁধেছে কালিয়াগঞ্জ এর কুমারটুলি বলে খ্যাত পাল পাড়ায়।