October 28, 2024

এক কাপ চায়ে তৃণমূলী কড়চা।

1 min read

এক কাপ চায়ে তৃণমূলী কড়চা।

জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ।আজকের এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন টি পাঠকদের কাছে কেমন ভাবে সমাদৃত হবে সেই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে পাঠকদের উপর। তবে এইটুকুই বলা যেতে পারে করোনা আবহে এই শারদ উৎসবের নবমীর তিথিতে মন্দিরে মন্দিরে ভিড়ের মধ্যে মায়ের জন্যে পুষ্পাঞ্জলি দিতে সকলেই যাবেন উপোষ করে তবে শুনা যায় চা খেলে কোনো দোষ নেই।

বিশেষ করে এই পরিস্থিতিতে আদা, গোলমরিচ, ছোটো এলাচ, তেজপাতা ও লবঙ্গ মিশ্রনে এক কাপ চা যেমন শরীর কে সুস্থ রাখবে ঠিক তেমনি অঞ্জলি দেওয়ার আগে এক কাপ চা-এ চুমুক দিতে দিতেই এই প্রতিবেদন টি পড়া হয়ে যাবে। বিভিন্ন আয়ুস মশলায় এই গরম চা আপনাদের ফুসফুসের আপার ট্রাক কে খুব সুন্দর সংক্রমনের হাত থেকে রেহাই দিতে সক্ষম হবে কিন্তু চায়ের চুমুকে এই প্রতিবেদনে প্রস্ফুটিত উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের হালহকিকত এতটাই সংক্রমিত হচ্ছে সেই সংক্রমনের কড়চা চা চুমুক দিতে দিতেই পড়ার আগ্রহ বাড়বে আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতার মতো মনে হবে শেষ হয়েও শেষ হইলো না।

বিশ্ব বাংলার রাজনৈতিক আঙ্গিনায় এই মুহূর্তে উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের বহুল চর্চিত যে নামটি তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সংগঠনের প্রধান শিক্ষক কানাইলাল আগরওয়াল যিনি নিজে সকল স্তরের কর্মীদের বিধানসভা নির্বাচন প্রাক্কালে এক নতুন সাংগঠনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে তৎপর হয়েছেন। আর এই শিক্ষাদানে পারদর্শিতার জন্য ইতিমধ্যে তিনি রাজনৈতিক জ্ঞানহীন প্রসিদ্ধ কালিদাস নামে আখ্যায়িত হয়েছেন। কানাই বাবুর রাজনৈতিক ঘরানা জাতীয় কংগ্রেসের আতুড় ঘড়ে। তিনি নিজে নাকি বুথ লেভেল থেকে রাজনৈতিক হাতে খড়ি শিক্ষায় দলীয় শৃঙ্খলার পরিমন্ডলে উত্তরণের ধাপে ধাপে পদের উন্নতি ঘটিয়ে নিজেকে প্রশাসনের চেয়ারে বসিয়েছেন এবং বর্তমানে রাজনৈতিক সংগঠনে জেলার প্রধান শিক্ষক হয়েছেন , বিদ্যালয়ের নাম তৃণমূল কংগ্রেস। যে সকল সহশিক্ষক এবং ছাত্রদের নিয়ে পাঠ শিক্ষা চালাচ্ছেন তাতো সম্পূর্ণ ভাবে পর্ষদ বিরোধী।

তার পাঠ শিক্ষায় সহশিক্ষক গন একে অপরের মুখ চেয়ে থাকছেন, কেউ উপায় না পেয়ে জোড় করে হাততালি দিচ্ছেন, কেউ বা তাকে বিভিন্ন অলংকারে ভূষিত করছেন। কানাই বাবু গোষ্ঠী কোন্দল কাকে বলে এই সঙ্গা টি কি আপনি রুট লেভেল থেকে পি,এইচ,ডি করে এসেছেন মনে হয়। জেলায় দলের প্রধান হয়ে যেভাবে গোষ্ঠী কোন্দল কে পূজা করতে শুরু করেছেন তা দেখে মনে পরে যাচ্ছে পৌরাণিক কাহিনীর শিব পূজায় ব্রতী হয়েছেন রাবন। আপনি দায়িত্ব নিয়েই আপনার দলের সুপ্রিমো কে কথা দিয়েছেন উঃ দিনাজপুর জেলার ৯ টি বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৯ এ ৯ পাবে। আপনার মতো অলরাউন্ডার ক্যাপ্টেন ১০০ শতাংশ সেল্ফ কনফিডেন্স নিয়ে যখন ক্রিজে ব্যাটিং করছেন তখন মনে রাখতে হবে গোটা টীম কিন্তু আপনার উপর নির্ভর করে আছেন।

কিন্তু সেই কনফিডেন্সের বলে স্টেপ আউট করে ছক্কা মারতে গিয়ে কি করে বসলেন ভেবেছেন? আপনার পিছনে বিপক্ষের উইকেট কিপার স্ট্যাম্প আউট করে দিয়েছে আপনাকে। আর এই আউটের ফলে আপনার গোটা টীমের ছন্দ পতন ঘটিয়ে দিয়েছেন কানাই বাবু। প্রসিদ্ধ কালিদাস মানে যে ডালে আপনি বসে আছেন সেই ডালটি কেটে ফেলেছেন এই তো। কিন্তু প্রসিদ্ধ কালিদাস কিন্তু পরবর্তীতে অভিজ্ঞানশকুন্তলম্‌, মেঘদূত নামক রচনাবলী রচনা করেছিলেন। প্রসিদ্ধ কালিদাস আখ্যায়িত কানাই বাবু আপনার কাছে আপনার দল কিন্তু অভিজ্ঞানশকুন্তলম্‌, মেঘদূত রচনাবলী দেখতে চাইছে , পারবেন তো? এক কাপ চা- এ তৃণমূলী কড়চা। আরো একটু বাকি। ধৈর্য্য ধরে পরবেন কারণ এখনও অঞ্জলীর সময় হয় নি। কি সুন্দর ব্যাখ্যা টাই না দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জ শহরে স্কুলের মাঠে কর্মী সভায়। বিষয় রায়গঞ্জ পৌরসভা। আপনার মতো ঐ রাজনৈতিক আঁতুরঘড় ছেড়েই কিন্তু তৃণমূলে নামটি লিখিয়েছিলেন রায়গঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলরের অধিকাংশ। একটা টীমের স্ট্রাটেজি তৈরী করে টীম ম্যানেজমেন্ট।

টীম ম্যানেজমেন্টের সর্বময় কর্তা কে আপনার তো জানা তাই না? তাহলে নিজের ভাবমূর্তি কর্মীদের কাছে ফলাও করে তুলে ধরতে গিয়ে আপনি যে টীম ম্যানেজমেন্ট কে পিষে ফেলে টীমের বারোটা বাজিয়ে বিপক্ষ দলকে গোটা মাঠ খেলার জায়গা করে দিলেন। গায়ে মানে না আপনি মোড়ল কথাটির তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা তাহলে আপনি প্রধান শিক্ষক হয়ে যখন কালিয়াগঞ্জ শহরে গত পঞ্চায়েত ভোটের স্ট্রাটেজি তৈরী আপনার গোচরে ছিল নাকি? আর যদি নাই থাকে তাহলে আপনার টীমের দায়িত্বে থেকে ঐ সভায় সেটাও যদি একটু বলতেন তাহলে সভামঞ্চে কেউ এ ওর মুখের পানে চেয়ে থাকতো না। আপনি জেলার রাজনৈতিক দলের এমনি প্রধান যেখানে আপনি বলছেন বিভিন্ন ব্লকের শাখা সংগঠনের কে কোন পদে আছেন সেটা নাকি আপনার জানা নেই।

গাছের প্রতিটি শাখা প্রশাখায় পাতার মধ্যে খাবার তৈরী হয় আর খাবার তৈরীর আসল রসদ জল মূল থেকে কান্ডের মধ্যে দিয়ে পাতায় পৌঁছায়। ইংরাজী মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলেই হয় না , তার জন্য গ্রামার অর্থাৎ ব্যাকরণ জানতে হয়। ঠিক তেমনি রাজনৈতিক ব্যাকরণ জানা উচিত। আপনার বক্তব্যের জেরে রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের দফারফা করে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করিয়ে দিলেন আপনার গুরু ভাই মোহিত বাবুর টীম কে।

আপনি তো জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আর সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় মুখপাত্র কি আপনিই? দলীয় নেত্রী তথা দলীয় রাজ্য নেতৃত্বের মনোনীত জেলার মুখপাত্র থাকা সত্ত্বেও আপনার কার্যকলাপে মুখ আছে অথচ পাত্র নেই। এমনি সাংগঠনিক ব্যাকরণ আপনার জানা যেখানে সাংবাদিক বৈঠকে বিভিন্ন মাদার শহর ও ব্লক কমিটি ঘোষনা করতে দেখা যায় মুখপাত্র বিহীন শাখা সংগঠনের নেতাকে পাশে বসিয়ে।

ইতি মধ্যেই আপনার প্রধান শিক্ষক হিসেবে সাংগঠনিক শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে এমনকি গোষ্ঠী কোন্দল নামক এমনি একটি ভাইরাস কে গোটা জেলা জুড়ে সংক্রমিত করে ফেলেছেন যেখানে করোনা ভাইরাস কিছুই না।

এক কাপ চা এ তৃণমূলী কড়চা এই প্রতিবেদন টির সকল বিষয় কাহিনীর ভাষা কিন্তু প্রতিবেদকের নয়, সম্পূর্ণ টাই সংগৃহীত দলের অভ্যন্তরের নেতা কর্মীদের বক্তব্যের সারাংশ।

জেলা জুড়ে নেতা কর্মীদের বৃহদাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন গায়ে মানে না আপনি মোড়ল কে বা কারা? তবে আপনার বক্তব্যের নির্যাস কিন্তু ইংগিত করছে দলনেত্রী কে।

কেন সেই উত্তর তো আপনার কাছেই। একটু গ্রামার ঘাটলেই ভবিষ্যৎ কালে কোথায় shall বসাবেন, কোথায় will বসাবেন একমাত্র আপনি বলতে পারবেন। চায়ের কাপে চা শেষ, এবার চলুন মায়ের পুষ্পাঞ্জলি নিবেদনে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *