October 27, 2024

সন্ত্রাস করে রায়গঞ্জ পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেস দখল করেছে কর্মীসভায় মন্তব্য করে বিপাকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল।

1 min read

সন্ত্রাস করে রায়গঞ্জ পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেস দখল করেছে কর্মীসভায় মন্তব্য করে বিপাকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল।

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২২,অক্টোবর:এ যে দেখি ভুতের মুখে রাম নাম?রায়গঞ্জ পৌর সভা নির্বাচনের পরে পৌরসভা দখলের চার বছর পেরিয়ে যাবার পর আগামী বিধান সভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল দলকে মজবুত করতে গিয়ে তৃণমূলের এক কর্মী সভায় উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিস্ফোরক মন্তব্য ছুড়ে দিয়ে দলকে অক্সিজেন দেবার পরিবর্তে দলের মধ্যে জোর কোন্দল শুরু করে দিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির হাতে নির্বাচনী বড় হাতিয়ার তুলে দিলেন বলে তৃণমূলের অধিকাংশ সমর্থকরা মনে করছেন।সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী বিদ্যালয়ে বুথ ভিত্তিক ভিড়ে ঠাসা এক তৃণমূলের কর্মী সভায় সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল প্রসঙ্গ পাল্টে বিস্ফোরক মন্তব্য ছুড়ে দিযে প্রকাশ্য সভায় বললেন রায়গঞ্জ পৌরবসভা নির্বাচনে তৃণমূল দল ভোটারদের ভোট না দিতে দিয়ে ভোট লুট করে বুথ দখল করে রায়গঞ্জ পৌর সভা দখল করে মানুষের কাছে তৃণমূল সম্পর্কে ভুল বার্তা দিয়েছে।দলের চরম ক্ষতি করা হয়েছে।

গাঁয়ে মানেনা যাদের তারা এই ভাবেই জোর করে মোড়ল সাজে।জেলা সভাপতি কাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন এটা কারো অজানা নয়।কানাইয়ালাল আরো সুর চড়িয়ে বলেন সেই কারণেই রায়গঞ্জ পৌর সভায় মানুষ যায়না।বর্তমানে রায়গঞ্জ পৌর সভার অবস্থা খুবই খারাপ বলে তিনি এই ধরনের মন্তব্য করেন।জেলা সভাপতির এই ধরনের আচমকা বিস্ফোরক মন্তব্যে কর্মিসভার খেই হারিয়ে যায়।পাশে বসে থাকা রাজ্যের শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রাব্বানী, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেবসিংহ,কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল,জেলা পরিষদের কো- মেন্টর অসীম ঘোষ, কালিয়াগঞ্জ শহর ও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কমল ঘোষ,নিতাই বৈশ্য,বসন্ত রায় এ ওর দিকে তাকায় ও ওর দিকে তাকাতে থাকে। তৃণমূলের কর্মী সভার সুর,তাল ও ছন্দ নিমেষের মধ্যে যেন উধাও হয়ে যায়। জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওযালের বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়েই চলে সভার মধ্যে ই ফিসফাস কথাবার্তা।কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য হটাৎ করে জেলা সভাপতির এতদিন পরে এই ধরনের মন্তব্যে মনে হচ্ছে তিনি তার পদে আর বেশি দিন নেই বুঝতে পেরেই যাবার আগে কংগ্রেস বিধায়ক থাকার সময়কার ঝাল মিটিয়ে দিয়ে রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেন গুপ্তের হাত শক্ত পোক্ত করলেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।জেলায় শাসক দলের সর্বোচ্চ পদে থেকে তার মুখে এসব কথা শোভা পায়না যেমন তেমনি অসাংবিধানিক।কি করে তিনি এতবড় কথা বলতে পারলেন?বিজেপির হাতে তিনি বিধান সভা নির্বাচনের মুখে বড় অস্ত্র তুলে দিয়ে শাসক দলকে চরম অসুবিধার মধ্যে ফেললেন না কি?তবে রায়গঞ্জ পৌর সভা নিয়ে যে মন্তব্য জেলা সভাপতির পদে থেকে করেছেন তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাগঞ্জের সর্বত্র কানাইয়ালাল বিরোধী বিভিন্ন ধরনের আলোচনা।যাদের সম্পর্কে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করা হয়েছে তাদের কানেও চলে গেছে সভাপতির বিস্ফোরক মন্তব্যের বিষাক্ত আওয়াজ।তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতির বিস্ফোরক মন্তব্য সম্পর্কে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল দেরিতে হলেও সঠিক কথা বলে সত্য ঘটনা মানুষকে জানানোর জন্য তাকে অভিনন্দন জানাই।তাছাড়া উনি বুঝতে পেরে গেছেন তার বিদায় নেবার সময় হয়ে গেছে।কারন তার আমও গেছে ছালাও গেছে।যেটুকু আছে তাও বিস্ফোরক মন্তব্য করার জন্য পূজার পরেই কেড়ে নেওয়া হবে সেই ক্ষমতা। কানাইয়ালাল আগরওয়াল খুব ভালো করেই জানেন।তাছাড়া বিভিন্ন দলকে আগাম বার্তা দিয়ে জানিয়েও দিলেন তিনি তার পক্ষে শাসক দলে থাকা আর সম্ভব নয়।পরবর্তীতে অন্য দলে যাবার একটা রাস্তা খুলেও রাখলেন বলে বিশ্বজিৎ লাহিড়ী জানান।সব মিলে রায়গঞ্জ কালিয়াগঞ্জের গোষ্ঠী কোন্দল থামানোর পরিবর্তে আরো ঘোড়ালো জায়গায় নিয়ে গেলেন তৃণমূলে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *