কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল রোডের দুপাশ দিয়ে ৪২টি ডিজিটাল এল ই ডি পথ বাতি জ্বালিয়ে প্রতিশ্রুতি পালন করে রাস্তার চেহারা পাল্টিয়ে দেওয়া যায় তা পৌর প্রশাসক কার্তিক পাল দেখিয়ে দিল
1 min readকালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল রোডের দুপাশ দিয়ে ৪২টি ডিজিটাল এল ই ডি পথ বাতি জ্বালিয়ে প্রতিশ্রুতি পালন করে রাস্তার চেহারা পাল্টিয়ে দেওয়া যায় তা পৌর প্রশাসক কার্তিক পাল দেখিয়ে দিল
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৯অক্টোবর:না রাস্তার সংস্কারের জন্য অথবা উন্নতমানের পথ বাতির জন্য কালিয়াগঞ্জের হাসপাতাল রোডের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষদের কোন দিন রাস্তা অবরোধ বা আন্দোলন করতে হয়েছে।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর পিতার দায়িত্ব পাবার পর তিনি যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল হাসপাতাল রোডের খানাখন্দ ভরা রাস্তাকে উন্নতমানের করার সাথে সাথে রাস্তার সৌন্দর্যয়নের জন্য উন্নতমানের আলোর ব্যবস্থা তিনি করবেন।কথা যেমন কাজও তেমন।
সোমবার প্রতিশ্রুতি মত হাসপাতাল রোডের উন্নতমানের রাস্তার সাথে সাথে রাস্তার দুইদিকে ৪২টি আলোকস্তম্ভ লাগিয়ে আলোয় আলকিত করে পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল দেখিয়ে দিল শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া নয় তা কাজে বাস্তবায়ন করে মা মাটি মানুষের সরকারের অর্থে উন্নয়ন কাকে বলে তা একশো শতাংশ পালন করে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা কালিয়াগঞ্জ বাসীকে দেখিয়ে দিল।
এলাকার মানুষকে বলতে শোনা যায় এই হ্যায়তো কার্তিক পাল।সোমবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল বলেন তিনি পৌর পিতার দায়িত্ব নিয়েছিলেন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার জন্মলগ্ন থেকে যে সমস্ত কাজ হয়নি
তা মা মাটি মানুষের তৃণমূলের একজন কাজের কর্মী হিসেবে দেখিয়ে দেবেন এবং কালিয়াগঞ্জের নাগরিকদের শহরের উন্নয়নমূলক কাজ করে দেঝিয়েই দেবেন।সেইমত রাজ্য সরকার কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের উন্নয়নে যে পরিমান অর্থ দিচ্ছে তা দিয়ে কালিয়াগঞ্জ শহরের ব্যাপক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ্ শুরু করা হয়েছে।কালিয়াগঞ্জের মানুষ শহরের উন্নয়নে যে ভাবে দুহাত বাড়িয়ে সাহায্য করে যাচ্ছে তার জন্য কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষদের সাথে শহরের সমস্ত ব্যবসায়ীদের তিনি অভিনন্দন জানান।
অভিনন্দন জানান কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদককেও।পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল বলেন ইতিমধ্যে ই পূজার আগে দুইটি রাস্তার উন্নতমানের সংস্কার ও উন্নতমানে আলোর ব্যবস্থা করাহল।কালি পূজার আগেই হয়তো কালিয়াগঞ্জ শহরের মূল রাস্তা এন এস রোডের ডিভাইডার সহ উন্নতমানের আলোর ব্যবস্থা সম্ভবত হয়ে যাবার কথা।তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষদের দাবি ছিল বিবেকানন্দ মোড়ের পুরানো জীর্ণ পৌর বাস স্ট্যান্ডটির আধুনিক মানের করার জন্য।সেই কাজটি তৈরি হয়েছে।
শুধু তা বর্তমানে উদ্বোধনের অপেক্ষায়।হয়তোবা লক্ষীপুজার আগেই কালিয়াগঞ্জ বাসীকে উপহার দেওয়া হবে বলে জানান।এখানেই শেষ হয়নি।তিনি বলেন মা মাটি মানুষের সরকারের কাছ থেকে অর্থ এনে কালিয়াগঞ্জ শহরের বি ডি ও অফিসের সামনে পরে থাকা তিস্তা কলোনীর জমিতে যে উন্নত মানের একটি পার্ক তৈরী করা হচ্ছে যার কাজ প্রায় শেষের দিকে।যা শিশুদেরতো বটেই সব বয়সের মানুষের কাছে অবশ্যই দৃষ্টি নন্দন হবে বলেই তার বিশ্বাস।তিনি বলেন শহরের বৃন্দাবন ধাম বলে পরিচিত মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির চত্বরের সৌন্দর্যনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে ।ইতিমধ্যেই দুটি গেট প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে যা সবার কাছেই প্রশংসা কুড়িয়েছে।মাঠের চার ধারে যখন দর্শনীয় বৈদ্যুতিন আলো গুলি জ্বলে উঠবে এবং মাঠটিকে সাজানো হবে নানানভাবে তখনতো আমার সামনে প্রশংসা না করলেও মনে মনে অবশ্যই অনেকেই বৃন্দাবন ধাম না হোক এতদ অঞ্চলের মিনি বৃন্দাবন ধামতো বলতেই হবে।আর এই সমস্ত কাজ কখনই কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পক্ষে সম্ভব হতে পারত না যদি না তাকে মা মাটি মানুষের সরকার আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য না করতো।আজকের অনাড়ম্বর রাস্তার আলোক সজ্জার অনুষ্ঠানে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌরপ্রসাশকের অন্যতম সদস্য বসন্ত রায় প্রথমে নারকেল ফাটিয়ে এবং পরবর্তীতে পৌর প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল বোতাম টিপে হাসপাতাল রোডের ডিজিটাল এল ই ডি আলোর উদ্বোধন করেন।যার আনুমানিক ব্যায় হয়েছে ২৬লক্ষ টাকা।অনুষ্ঠানে পৌর সভার বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক খোকন কুন্ডু, পৌর সভার কর্মী চন্দন ঘোষ,সুজিৎ সরকার সহ অনেকেই ছিলেন।ছিলেন না সেই সন্ধিক্ষণে শুধু কালিয়াগঞ্জের আমার আপনার সবার প্রিয় বেশ কয়েকজন প্রথম সারির শাসক দলের নেতৃত্ব।তাই আনন্দের মধ্যেও যেন উকি মারছিল নিরানন্দের একটা আলতো নির্যাস।
যদিও হটাৎ করেই সেই সময় একটা কথা ভেসে আসলো কালিয়াগঞ্জ শহরের তৃণমূলের বাঁধন খুব শক্তপোক্ত। না না কে বলে, কই আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেইতো।