October 27, 2024

পশ্চিমবঙ্গে ৬৬টি ট্রেন আগামী ২০ অক্টোবর থেকে চালু হতে যাচ্ছে অথচ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভাগ্যে জুটলনা কোন ট্রেন?ক্ষুব্ধ জেলার প্রবীণ নাগরিকগণ

1 min read

পশ্চিমবঙ্গে ৬৬টি ট্রেন আগামী ২০ অক্টোবর থেকে চালু হতে যাচ্ছে অথচ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভাগ্যে জুটলনা কোন ট্রেন?ক্ষুব্ধ জেলার প্রবীণ নাগরিকগণ

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৬,অক্টোবর:উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রবীণ নাগরিকেরা বেশ কিছুদিন থেকে রাধিকাপুর-কলকাতা ট্রেনটি চালু করবার জন্য বার বার দাবি জানিয়ে এলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগামী ২০অক্টোবর থেকে ৩০শে অক্টোবরের মধ্যে ৩২ জোড়া অর্থাৎ ৬৬ টি ট্রেন চালু হতে চললেও উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কোন ট্রেন চালু হচ্ছেনা বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর।

জানা যায় রেল মন্ত্রক আগামী ২০ অক্টোবর থেকে ৩০ শে অক্টোবরের মধ্যে ভারতবর্ষে ৩৯২ জোড়া ট্রেন চালু করবার সবুজ সংকেত দিয়েছে।যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে র কোটায় ৩২ জোড়া অর্থাৎ ৬৪টি ট্রেন রেল মন্ত্রক চালু করবার জন্য রাজ্য সরকারকে দিয়েছে।

এই ৬৪ টি ট্রেন রাজ্য সরকার এবং কলকাতার রেল দপ্তর ঠিক করছেন কোন কোন রুটে এই দূরপাল্লার ট্রেন গুলি চলবে।কলকাতা থেকে বিভিন্ন রুটে সাপ্তাহিক,দ্বি-সাপ্তাহিক এই ৬৪টি ট্রেনের লিস্ট প্রকাশ হলেও উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রেল যাত্রীদের ভাগ্যে একটি ট্রেনও দেবার প্রয়োজন মনে করেনি রাজ্য সরকার।

অথচ এই দুই জেলার প্রচুর প্রবীণ নাগরিকরা এবং ব্যবসায়ীরা তারা চিকিৎসা ও ব্যবসার প্রয়োজনে দীর্ঘ দিন

থেকে কলকাতায় যেতে পারছেনা অসুস্থতার কারণে আবার কেও ব্যবসায়িক কারনে।কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা শাসক জয়দেব সাহা বলেন খুব আশা করেছিলাম এ যাত্রায় বুঝি রাধিকাপুর-কলকাতা ট্রেনটি চালু হয়ে যাবে।তিনি বলেন কলকাতায় চিকিৎসার কারনে মাঝে মধ্যেই যেতে হয়।কিন্তু সেই লকডাউনের।পর থেকে আট মাস হয়ে গেল চিকিৎসককে দেখাতে যেতে পারছিনা।

প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে পড়লেও আমাদের জন্য কারো কোন চিন্তা নেই।সবই যেন কলকাতা কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।এসব জেলায় মনে হয় কোন মানুষজন থাকেনা।তাই এতগুলো ট্রেন দেবার পরেও উত্তর দিনাজপুর জেলার জন্য রাধিকাপুর-কলকাতা ট্রেনটি কি দেওয়া যেতে পারতো না?অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক করুণাময় চক্রবর্তী বলেন যত করোনার নিয়ম আমাদের জেলায়।কলকাতা এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪পরগনার ঘরে ঘরে করোনা হলেও সেখান ঘেকে সব ট্রেন দেওয়া যেতে পারলেও এই জেলার গুরুত্বপূর্ন ট্রেনটি রাধিকাপুর-কলকাতা দেওয়া যেতে পারলোনা এই এলাকার মানুষদের অসুবিধার কথা ভেবে? এসব কি হচ্ছে?আসলে আমাদের সমস্যা তুলে ধরবার মত জননেতা না

থাকার কারণেই কলকাতা যা করবে আমাদের চোখ বুজে মেনে নিতেই হবে।শিক্ষক ডঃ কাঞ্চন দে বলেন যারা এসব ঠিক করেন তাদের কি সত্যি সত্যিই কোন বোধশক্তি আছে?যদি থাকতো তাহলে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা একটি করে ট্রেন অবশ্যই পেতে পারতো।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রেল উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক পীযুষ কান্তি দেব ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন আসলে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সব সময়য় মানুষ থাকেনা।শুধু ভোটের সময় মানুষ থাকে তাই এখানে আবার ট্রেনের কিসের প্রয়োজন আছে?তাই সরকারের আমলারা এসব জেলাকে কোন গুরুত্ব দেয়না।কালিয়াগঞ্জের বাম নেতা ভারতেন্দ্র চৌধরী বলেন এই ঘটনা অবাক করবার মতই।যেখানে রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে করোনার থাবা বেশি বসিয়েছে সেখানেই থেকেই সব ট্রেন চলাচল করবে।যেমন সরকার তার তেমনই সিধান্ত।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন রাধিকাপুর-কলকাতা ট্রেনটি দেওয়া খুব প্রয়োজন ছিল।আমার কাছে অনেকেই দাবি জানিয়েছিল।পৌর সভার পক্ষ থেকে ডি আর এম কেও চিঠি দিয়েছি কয়েক দিন আগেই।কিন্তু এমন কেন হল বুঝলাম না।কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুনীল সাহা বলেন আমরা পিছিয়ে পরার দলে সবসময়।আমাদের ট্রেনের প্রয়োজন নেই তাই দেয়নি।আসলে জেলার ব্যবসায়ীদের ব্যবসা একেবারে শেষ করে দিয়েছে।দুর্গাপূজায় ব্যবসায়ীরা কলকাতায় যেতে পারেনি,ট্রেনটা চালু হলে কালীপূজার মধ্যে কিছু ব্যবসা করলেও করতে পারতো।কিন্তূ সেখানেও সরকারের সিধান্তের কারনে ব্যবসায়ী ও প্রবীণ নাগরিকদের মাথায় হাত পড়লো।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *