বর্তমানের কথার জেরে অবশেষে ধ্বনি পুকুর এ কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ, সংবাদমাধ্যমকে দেখে যে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন আপনাদের এখানে কোন স্বার্থ নেই
1 min readবর্তমানের কথার জেরে অবশেষে ধ্বনি পুকুর এ কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ, সংবাদমাধ্যমকে দেখে ক্ষুব্ধ হলেন বিধায়ক
তনময় চক্রবর্তী বর্তমানের কথার সংবাদ এর জেরে অবশেষে কালিয়াগঞ্জ এর ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের হেম বাজার থেকে ধ্বনি পুকুর পর্যন্ত বেহাল রাস্তা আজ পরিদর্শন করলেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ।তবে এদিন বিধায়ক গ্রামবাসীদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিলেন তাতে মোটেও খুশি নন এখানকার গ্রামবাসীরা।
তারা বলেন ভোটের আগে যদি বিধায়ক তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার হাল ফেরাতে না পারেন তাহলে তারা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তারা ভোট বয়কট এর পথে যেতে বাধ্য হবেন। এদিন বিধায়ক গ্রামে পৌঁছানো মাত্রই গ্রামবাসীরা তাদের অভাব-অভিযোগের কথা বিধায়ক কে ঘিরে রেখে বলতে থাকেন।
দীর্ঘক্ষন গ্রামবাসীরা তাদের কথা বলেন বিধায়ককে । এদিন গ্রামে যখন বিধায়ক পৌঁছালেন তখন সংবাদমাধ্যমও সেখানে পৌঁছায় আর সংবাদমাধ্যম বিধায়ককে প্রশ্ন করা মাত্রই বিধায়ক বলেন এই রাস্তার হাল খুবই খারাপ। এটা হওয়া জরুরী।
তিনি গ্রামবাসীদের মাস পিটিশন নিয়েছেন। আগামীতে যাতে এই রাস্তা হয় তার জন্য তিনি জেলাশাসক এর সাথে কথা বলবেন। তিনি বলেন এই রাস্তা সীমান্ত উন্নয়ন তহবিল থেকে একমাত্র করা সম্ভব। তাই তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।
সংবাদমাধ্যমকে দেখে এদিন বিধায়কে একটু রাগী রাগী লাগছিল। এবং তার রাগের বহিঃপ্রকাশ করে তিনি বললেই ফেললেন এখানে গ্রামবাসী এবং তার স্বার্থ জড়িত এখানে সাংবাদিকদের কোন স্বার্থ নেই। এখানকার এক মহিলা গ্রামবাসী ঈতিরানি নন্দী বলেন, প্রতিবার দেখা যায় ভোটের সময় শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান নেতারা এখানে রাস্তা করে দিবে বলে। কিন্তু ভোট চলে গেলে আর তাদের দেখা পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন আজ বিধায়ক গ্রামে এসেছেন এবং তিনি যেভাবে কথা বললেন তাতে তারা মোটেই সন্তুষ্ট নয়। যখন রাস্তা তৈরি হবে তখনই তারা সন্তুষ্ট হবেন। অপর এক গ্রামবাসী মিঠুন চৌধুরী বলেন, আজকে তারা অনেক আশা নিয়ে ছিলেন যে গ্রামে বিধায়ক এসে হয়তোবা বলবেন তাদের রাস্তা ভোটের আগেই শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু তেমন কোনো প্রতিশ্রুতি বিধায়কের কাছ থেকে এদিন পাওয়া যায়নি ফলে তারা বিধায়কের কোথায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তিনি বলেন ভোটের আগে যদি কোনো কাজ শুরু না হয় তাহলে তারা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্যই ভোট বয়কট এর পথে পা বাড়াবেন। শুধু তাই নয় কোন সরকারি প্রতিনিধি কে গ্রামে তারা ঢুকতে দেবেন না। কার্যত আজ গ্রামে যখন বিধায়ক গেলেন তখন অনেকটা সময় গ্রামবাসীরা সেই গ্রামে বিধায়ক কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।উল্লেখ্য সম্প্রতি বর্তমানের কথায় এই রাস্তার সম্বন্ধে সংবাদ প্রকাশের পর বিধায়ক বিভিন্ন জায়গায় মন্তব্য করেছিলেন যে এই সংবাদমাধ্যম তার পিছনে লেগেছে এবং খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খবর করছে । কিন্তু আজ বিধায়ক গ্রামে পৌঁছে যখন গ্রামের রাস্তাঘাট গুলোর অবস্থা দেখলেন তখন তিনি ঘুরিয়ে বর্তমানের কথার সেই খবর কে মান্যতা দিলেন এবং বললেন সত্যিই গ্রামে রাস্তার সমস্যা রয়েছে। খুবই ভয়ঙ্কর অবস্থা এখানকার রাস্তার। তাই আগামী দিনে যাতে রাস্তাটি হয় তার জন্য তিনি চেষ্টা করবেন।