October 27, 2024

মালদার সমাজসেবী তথা কমরেড গোপা চক্রবর্তী গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির এক উজ্জ্বল মুখ।

1 min read

মালদার সমাজসেবী তথা কমরেড গোপা চক্রবর্তী গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির এক উজ্জ্বল মুখ।

জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ।নারী সুরক্ষা, নারীর অধিকার রক্ষার্থে এবং সমাজে নারীদের নিজস্ব সম্মান জাগিয়ে তুলতে সিপিআইএমের মহিলা শাখা সংগঠন ভারতের গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতি কে একটা সময় এই বাংলার মাটিতে লালে লাল লাল পতাকার নীচে শোভিত হতে দেখা যেত। বর্তমানে সেই দৃশ্য অনেকাংশে ফিকে হয়ে গেলেও তার রেশ অনেকটাই বাংলার মাটিতে স্লথ গতিতে বহমান। বর্তমানের রাজনৈতিক দোলাচলে ৩৪ বছরের সেই দৃশ্য রাস্তায় আর দেখা যায় না। লালে লাল পতাকার আন্দোলনের ঢেউ আর আছড়ে পরছে না।

তবুও সিপিআইএমের গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির অনেক নেতৃত্বরা শিরদাঁড়া উঁচু করে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেদের মগ্ন রেখে সকল স্তরের মানুষের সাথে মিশে ও তাদের পাশে থেকে নীরবে কাজ করে চলেছেন। এমনি এক গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী তথা সমাজসেবী মালদার ইংলিশ বাজার থানার অন্তর্গত ২ নং গভর্মেন্ট কলোনীর বাসিন্দা তথা গৃহবধূ গোপা চক্রবর্তী। পরিশ্রমী, মিশুকে, সদা হাস্যোজ্জ্বল এবং পরোপকারী গোপা চক্রবর্তী কে নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।

১৯৭২ সালে জন্ম গোপার, বর্তমানে ৪৮ বছরে পদার্পণ করা গোপা নিজেকে সংসারের সমস্ত কাজের মধ্যে নিযুক্ত রেখেও সমাজসেবার সাথে নিজেকে মেলে ধরেছে। সেই সাথে মালদায় গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। গোপার বাবা প্রয়াত অসিত কুমার সিংহ কোনো রাজনৈতিক ব্যাক্তি ছিলেন না কিন্তু গোপার দাদা প্রয়াত অসীম সিংহ মার্কসবাদী তে সক্রিয় রাজনীতি করতেন এবং মালদার লোকাল কমিটির সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

দাদার কাছেই গোপার রাজনীতির হাতেখড়ি এবং কলেজ জীবনে সক্রিয় ভাবে ছাত্র রাজনীতি করতেন। গোপা চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ডি,ওয়াই,এফ,আই এর সক্রিয় সদস্য হয়ে রাজনীতির আঙিনায় কাজ করেছেন কিন্তু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বামীর সাথে স্বামীর চাকুরি স্থানে তাকে থাকতে হয়েছে। পরবর্তীতে পুনরায় মালদায় ফিরে এসে আবার গোপা তার পুরনো জায়গায় ফিরে আসে অর্থাৎ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কর্মযজ্ঞে। একাধারে চলতে থাকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখে গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সাংগঠনিক কর্মকান্ডের মধ্যে।

২০১৩ সাল থেকে মালদার গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম যেমন হয়েছে তেমনি বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। সদা হাস্যোজ্জ্বল, মিশুকে নম্র স্বভাবের পরোপকারী গোপা মালদার রাজনৈতিক ময়দানের শুধু নয়, সামাজিক জীবনে সমাজের বিস্তৃত এলাকার মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলে বিরাজ করছে গোপা চক্রবর্তী। স্বামী, একমাত্র পুত্র ও পুত্রবধূ কে নিয়ে হাসি মুখে যেমন দৈনন্দিন সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তেমনি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে থেকে একাধারে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েও বিভিন্ন সামাজিক কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। আজ গোপা চক্রবর্তী মহিলা সমাজের আইকন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *