ছয়মাস ট্রেন চলাচল বন্ধে কালিয়াগঞ্জের প্রবীণ নাগরিকরা কলকাতায় যেতে না পারায় চিকিৎসাসঙ্কটে
1 min readছয়মাস ট্রেন চলাচল বন্ধে কালিয়াগঞ্জের প্রবীণ নাগরিকরা কলকাতায় যেতে না পারায় চিকিৎসাসঙ্কটে
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৭,সেপ্টেম্বর:করোনা আবহে ও লকডাউনের জেরে দীর্ঘ ছয়মাস রাধিকাপুর-কলকাতা চিৎপুর এক্সপ্রেস বন্ধ থাকায় কালিয়াগঞ্জ সহ উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রবীণ নাগরিক সহ কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীরা প্রচন্ড চিকিৎসা সঙ্কটে ভুগছেন বলে প্রবীণ নাগরিকরা অভিযোগ করেন।প্রবীণ নাগরিকদের বক্তব্য অনেক স্থানেই ট্রেন যোগাযোগ শুরু হয়েছে।তাহলে কেন উত্তর দিনাজপুর জেলার মানুষ অসুস্থ্য রোগীদের নিয়ে তাদের প্রিয়জনদের চিকিৎসা করতে কলকাতায় যাবার সুযোগ পাবেনা।
এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জের প্রবীণ অসুস্থ নাগরিক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার অবসর প্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা শাসক জয়দেব সাহা সি প্রতিবেদককে বলেন তিনি নিজে অসুস্থ্য হয়ে বিছানায়।দুমাস পর পর তাকে কলকাতায় যেতে হয়।কিন্তু করোনা আবহে লকডাউনের জেরে তার চিকিৎসা বন্ধ।অবিলম্বে কলকাতায় যাবার প্রয়োজন চিকিৎসার কারনে।জয়দেব বাবু বলেন রাধিকাপুর থেকে বেশ কিছু ট্রেন চলাচল করে।আমরা তার মধ্যে শুধু মাত্র কলকাতার ট্রেনটি চালু করবার জন্য সবার কাছেই অনুরোধ করছি।অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা শাসক জয়দেব সাহা বলেন রাধিকাপুর-কলকাতা চিৎপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি যদি সাতদিন নাও চালানো যায় তাহলে অনন্তপক্ষে সপ্তাহে তিন দিন চালানো হলেও অসুস্থ প্রবীণ ও নবীন নাগরিকরা কলকাতায় গিয়ে ভালো চিকিৎসা করবার সুযোগটা পাবে বলে তিনি মনে করেন।কালিয়াগঞ্জের ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রসূন দাস বলেন সরকারের বিধি নিষেধ মেনে করোনার কারনে আমরা সবাই স্বার্থ ত্যাগ করেছি।সরকার যখন যেমন বিধি নিষেধ আরোপ করেছে আমরা তা মেনে নিচ্ছি।কিন্তূ সরকারকেও রাজ্যের নাগরিকদের সুবিধা অসুবিধার কথা ভাবতে হবে।আমার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত অসুস্থ শিক্ষক।বিগত ছয়মাস ধরে কোন চিকিৎসা করতে বাবাকে নিয়ে কলকাতায় যেতে পারছিনা।তাহলে আমাদের প্রিয়জনের চিকিৎসার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হবে?কলকাতার নাগরিকদের জন্য যদি মেট্রো রেল চলাচলের ব্যবস্থা করা যেতে পারে তাহলে মফস্বল শহরের নাগরিকরা চিকিৎসার কারনে কলকাতায় যেতে পারবেনা কেন বলে প্রশ্ন তোলেন প্রসূন বাবু।অবসরপ্রাপ্ত জেলা শাসক জয়দেব সাহা,প্রধান শিখশিক্ষক ডঃ কাঞ্চন দে বলেন চিকিৎসার শ্বার্থে প্রবীণ নাগরিকদের কথা বিবেচনা করে অন্তত সাতদিনের জায়গায় তিনদিন রাধিকাপুর-কলকাতা চিৎপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করবার ব্যবস্থা করে তাদের অনন্ত চিকিৎসা করা থেকে বঞ্চিত না করা হয় বলে তিনি জানান।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক কার্তিক পালকে প্রশ্ন করা হয় কালিয়াগঞ্জের প্রবীণ ও অসুস্থ্য নাগরিকদের শ্বার্থে ছয় মাস পরেও কেন রাধিকাপুর-কলকাতা চিৎপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করা হচ্ছেনা?প্রবীণ নাগরিকরা চিকিৎসা করবার সুযোগ থেকে আর কতদিন বঞ্চিত হবে?এই প্রশ্নের উত্তরে পৌর প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন আমার কাছেও বেশ কয়েকজন প্রবীণ নাগরিক এসেছিলেন।তাদের চিকিৎসার স্বার্থে এখন একমাত্র কলকাতা যাবার ট্রেনটি চালু করবার দাবি জানিয়েছেন।পৌর প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন ট্রেন চলাচলের ব্যাপারটি সম্পুর্ন রেল দপ্তরের বিষয়।তবে আমরা আমাদের অসুবিধার কথা রেল দপ্তরকে জানাতেই পারি।তিনি খুব শীঘ্রই রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডি আর এম সাহেবের সাথে দেখা করে পৌর সভার পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদন জানাবেন বলে তিনি বলেন।কার্তিকবাবু স্বীকার করেন খুব শীঘ্রই রাধিকাপুর-কলকাতা ট্রেনটি যাতে কমকরেও সপ্তাহে তিন দিন চলতে পারে তার জন্য তিনি গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপারটি দেখবেন বলে জানান।