করোনা আক্রান্ত রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান
1 min readকরোনা আক্রান্ত রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান
এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি অরিন্দম সরকার। গত ৩ সেপ্টেম্বর সোয়াব পরীক্ষা করিয়েছিলেন অরিন্দমবাবু। গত ৪ সেপ্টেম্বর তাঁর রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরকম কোনও শারীরিক সমস্যা নেই বলেই জানা গিয়েছে। তবে পরিবারের বাকি সদস্য ও অন্যান্য সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সরকারি নিয়ম মেনে তিনি আইসোলেশনেই থাকছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও উত্তর দিনাজপুরের প্রশাসন ও পুরসভার কর্তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সুমিত কুমার নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। রায়গঞ্জ পুরসভার এক কাউন্সিলারও এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২১৬৫ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তবে এরই মাঝে করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলার বাসিন্দাদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলায় মৃতের সংখ্যা মোট ২২ জন। যদিও তাঁদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেরই অন্য কোনও রোগের ইতিহাসও ছিল বলেই দাবি করেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। বর্তমানে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, সেসব রোগীরাও ভালো সাড়া দিচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন জেলায় অ্যাকটিভ কেস রয়েছে প্রায় ৩০০টি। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। অধিকাংশই বাড়িতে রয়েছেন। কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালে। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা দাবি করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে সরকারি নির্দেশিকা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং বাইরে বের হলেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাঝে মাঝেই হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত থাকতে হবে।উল্লেখ্য, লকডাউন চলাকালীন রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় প্রতিটি বুথেই দুর্গত মানুষদের জন্য ত্রাণ বিলির কাজ করেছিলেন অরিন্দমবাবু।অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুর জেলায় হু হু করে বাড়ছে করণা আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা। গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৫৮ জন। যদিও তার পাশাপাশি অনেকেই অবশ্য দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।