উন্নয়ন কিভাবে করতে হয় তা দেখিয়ে দিচ্ছেন প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল নিজে দাঁড়িয়ে থেকে।
1 min readউন্নয়ন কিভাবে করতে হয় তা দেখিয়ে দিচ্ছেন প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল নিজে দাঁড়িয়ে থেকে।
তন্ময় চক্রবর্তী কালিয়াগঞ্জ আমার জন্মভূমি, এখান থেকে আমি বড় হয়েছি। এখানকার মানুষের হাসি ,কান্না সব সময় আমি দেখছি । শুধু তাই নয় এখানকার মানুষের সমস্যা যেটা সেটা আমারও সমস্যা। তাই সুযোগ পেয়েছি সমাধানের, চেষ্টা করছি রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে। কথা হচ্ছিল কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়িপুকুর শ্মশান ও সমাধিস্থলের পাশে উন্নয়নের কাজ কেমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে যখন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল গিয়েছিলেন সম্প্রতি তখনই তিনি এই প্রতিবেদককে এই কথাগুলো বললেন। কার্তিক বাবু বলেন এই জন্মভূমিতেই আমার বড় হয়ে ওঠা ।
তাই এই জন্মভূমির প্রতি আমার বিশেষ টান রয়েছে। ভালবাসি আমি আমার মাতৃভূমিকে। তাই ভালোবাসার টানে আমি উন্নয়ন করার সুযোগের ১০০ শতাংশ সদ ব্যাবহার করছি। এতে হয়তো অনেকে সমালোচনা করবেন কিন্তু ভালো কাজ করতে গেলে কিছু নিন্দুক মানুষরা যে সমালোচনা করবেন তা তিনি ভালো করেই জানেন। তবুও কথা নয় তাদের সমালোচনার জবাব ও তিনি দিতে চান মাতৃভূমির উন্নয়নের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন অনেকের ইচ্ছা থাকলেও করে উঠতে পারে না কারণ অনেকে সেই সুযোগটুকু ও পায়না ।
কিন্তু আমি যখন সুযোগ পেয়েছি তখন কেন কালিয়াগঞ্জ পিছিয়ে থাকবে আর পাঁচটা শহরের থেকে। তাই যখন থেকে দায়িত্ব নিয়েছি পৌরপতি হিসেবে তখন থেকেই আমি কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের সব সময় চিন্তা করেছি এবং আমার সাধ্যমত চেষ্টাতেইএখন কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়ন হচ্ছে সর্বত্র। তবে উন্নয়ন এর কাজ শেষ হতে খানিকটা সময় লাগবে ঠিকই কিন্তু একদিন সাধারণ মানুষই বলবে প্রকৃত উন্নয়ন কে করেছিল কালিয়াগঞ্জ বাসীর জন্য তা তারা স্বীকার করতে বাধ্য হবে নি। তাই আর পাঁচটা যে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে কালিয়াগঞ্জ শহরে তার সঙ্গে তাল রেখে কালিয়াগঞ্জ এর বুড়িপুকুর শ্মশান ও সমাধিস্থলের আমূল সংস্কারের তিনি হাত দিয়েছিলেন কিছুদিন আগে।
সেই কাজ কেমন চলছে তা দেখতেই তার এখানে আসা। প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন রাজ্যের নগর উন্নয়ন দপ্তরের বৈতরণী প্রকল্পের অর্থে এবং পৌরসভার মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স দফতরের সহযোগিতায় ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয় এ বুড়িপুকুর শ্মশানঘাটের এবং সমাধিস্থল টির সংস্কার শুরু হয়েছে। যার কাজ চলছে এখন জোর কদমে। এতদিন বহু মানুষ সমস্যায় পড়তেন তাদের প্রিয়জনকে সৎ কার্য করতে এসে এখানে। কারণ পর্যাপ্ত সেখানে আলোর ব্যবস্থা ছিলনা । ছিলনা সমাধিস্থল এর পাশে প্রাচীর দিয়ে ঘেরার ব্যবস্থা।
শুধু তাই নয় সেখানে রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে তিনি আর থেমে থাকতে চান নি এখানকার উন্নয়ন এর ব্যাপারে। চারিদিকে যখন উন্নয়নের জোয়ার চলছে পিছিয়ে থাকবে কেন শান্তির জায়গা বুড়ি পুকুর শ্মশান ঘাট ও সমাধিস্থল ? সেই তাগিদেই এখানে এখন জোরকদমে শুরু হয়েছে শ্মশান ঘাটের ও সমাধিস্থলের নতুন করে সংস্কার। প্রশাসক জানান ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ইতিমধ্যে এখানে শুরু হয়ে গিয়েছে শ্মশান ও সমাধিস্থল বরাবর প্রাচীর দিয়ে ঘেরা র ব্যবস্থা যেমন, তেমনি রাস্তার কাজ চলছে জোড় কদমে। পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ শহর আলোকিত যেমনভাবে হয়েছে ঠিক তেমনভাবেই এই শান্তির জায়গায় ও উচ্চ বাতিস্তম্ভ লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি জানান নতুন করে একটি চুল্লীর ব্যবস্থা এখানে করা হচ্ছে।
এই সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বদলে যাবে বুড়ির পুকুর শ্মশান ও সমাধিস্থলের চেহারা। আর তখন প্রিয়জনকে নিয়ে এসে এখানে আর কোন মানুষকেই সমস্যায় পড়তে হবে না। তিনি বলেন এই সমস্ত কাজই আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এদিকে এই বুড়ি পুকুর শ্মশান ঘাট এলাকার এক বাসিন্দা রমেন সাহা জানান, এর আগে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই শ্মশানঘাটের সংস্কার এর ব্যাপারে উদ্যোগী নেওয়ার। কিন্তু গত ৩৫ বছরে না সিপিএম করতে পেরেছে না কংগ্রেস করতে পেরেছে এই কাজ। কিন্তু তারা সুযোগ পেয়েছিল অনেক। কথায় বলে কাজ করার মানসিকতা যদি কারো না থাকে তাহলে সে কাজ সে করতে পারবে না।
আগের কংগ্রেস ও সিপিএম এর বোর্ডের সদস্যরা শুধুমাত্র ক্ষমতায় ছিল উন্নয়নের কোন কাজই করেনি । আজ সত্যিই ভালো লাগছে যে প্রিয় মানুষকে নিয়ে এসে যারা শেষবারের মতো বিদায় জানাবে সেই জায়গা আজ সংস্কার হচ্ছে নতুন করে নতুন উদ্যম নিয়ে। যার রূপকার কার্তিক চন্দ্র পাল কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি তথা বর্তমানের প্রশাসক। তিনি যেভাবে উদ্যমী মানসিকতা নিয়ে কাজে নেমেছেন তাকে সাধুবাদ জানাতেই হবে। কারণ কার্তিক বাবু কথা কম বলেন কিন্তু কাজের দিক থেকে ১০০ শতাংশ এগিয়ে গিয়েছেন ইতিমধ্যে তা শুধু আমি বলছিনা সমগ্র কালিয়াগঞ্জ বাসীরা ইতিমধ্যে হারে হারে টের পেয়ে গেছেন।