করোনা আবহে ভাড়াটিয়াকে জোর করে উচ্ছেদ,প্রতিবাদে ভাড়াটিয়া দ্বারস্থ কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসকের কাছে
1 min readকরোনা আবহে ভাড়াটিয়াকে জোর করে উচ্ছেদ,প্রতিবাদে ভাড়াটিয়া দ্বারস্থ কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসকের কাছে
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২২,আগস্ট:করোনা অবহের এই সংকট কালে মানুষ যখন এমনিতেই দিশেহারা তখন মরার উপর খাঁড়ার ঘা অর্থাৎ জোর করে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করতে চলেছে একজন ঘরের মালিক।যা শুধু অন্যায় বললে ভুল হবে মানবিকতার ও পরিপন্থী।ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াগঞ্জ শহরের এন এস রোডের শিব মন্দিরের সামনে।উচ্ছেদ করা দোকানের মালিকের নাম দুলাল দেশমুখ।দুলাল বাবু বলেন ১৯৭৭সাল থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে কোন রকমে সংসার করে পরিবারদের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিই।তাছাড়া আজ পর্যন্ত আমার কোন ভাড়া বকেয়া রাখিনি।দুলাল বাবু বলেন সেই ১৯৭৭সাল সাল থেকে মাসিক ২৯ টাকা ভাড়া থেকে বর্তমানে ৪৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে থাকি।অথচ মালিকের মেয়ে তার সাথে প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করে থাকে।
একসময় তাকে দোকান থেকে বের করে দেওয়া হয়।দুলাল বাবু বাধ্য হয়ে সুবিচারের আশায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রশাসকের কাছে মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বিচার চেয়েছেন বলে জানান।তিনি বলেন তাকে উচ্ছেদ করার পেছনে তিনি একটি চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন বলে জানান।দুলাল বাবু জনৈক ওই মহিলার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ করে বলেন আজ থেকে ২ বছর আগে যখন পৌরসভার উদ্যোগে ড্রেন নির্মাণ হয় তখন তিনি স্বেচ্ছায় তার কিছু জায়গা ছেড়ে দিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ড্রেন নির্মাণের সহযোগিতা করেছিলেন। আর বলেছিলেন ড্রেন নির্মাণ হয়ে গেলে তিনি আবারো দোকান ঘর পেয়ে যাবেন এবং ব্যবসা করতে পারবেন। কিন্তু আজ দুই বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর ওই মহিলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নকে বাধা দেওয়ার জন্য তিনি এখন নানান জায়গায় নানান ধরনের অভিযোগ করছে। এটা তিনি দ্বিচারিতা করছেন। এর পিছনে কোন চক্র কাজ করছে বলে তিনি মনে করেন। দুলাল বলেন এই দুই বছরে যার খেয়াল হলো না তার জায়গা চলে গেছে আজ আবার খেয়াল হল যে তার জায়গা নেই ? এতদিন তিনি প্রতিবাদ করেননি কেন? কোথায় ছিলেন তিনি ? তিনি একদিকে যেমন তাকে উচ্ছেদ করে আইন ভঙ্গ করেছেন তেমনি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছেন এটা সত্যি দুঃখজনক এর তীব্র প্রতিবাদ আমি করছি।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পালকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ভাড়াটিয়া দোকানদারের কোন রকম দোষ না থাকলে কোন ভাবেই গায়ের জোরে উচ্ছেদ করা কোন ভাবেই যায়না।তা ছাড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তার বার্তায় বলেই দিয়েছেন এই করোনা আবহে রাজ্যের কোন ভাড়াটিয়াকে কোন ভাবেই উচ্ছেদ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধের সামিল বলেই গন্য হবে।
তাই এর পরে আর উচ্ছেদের কোন কথায় খাটেনা।ক্ষুদ্র দোকান ব্যবসায়ী দুলাল দেশমুখ আমার কাছে যে অভিযোগ জানিয়েছেন তা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তিনি দেখবেন বলে জানান।কালিয়াগঞ্জের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুনীল সাহা সক প্রশ্নের উত্তরে বলেন কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতি ব্যবসায়ী উচ্ছেদের ঘটনাকে কোনভাবেই সমর্থন করেনা শুধু নয় উচ্ছেদের কোন প্রশ্নই নেই বলে জানান সুনীল সাহা। কোনভাবেই তা করতে দেওয়া হবেনা।
কালিয়াগঞ্জের জনৈক নিবেদিতা দে নামে মহিলা তার দোকান সম্পর্কে পৌর সভার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলে শুনেছি।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা যখন কালিয়াগঞ্জের মানুষের শ্বার্থে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ করে চলেছে তখন কালিয়াগঞ্জের জনৈক মহিলা বিভিন্ন ভাবে অবাস্তব কথাবার্তা যেখানে সেখানে কারো প্ররোচনায় পা দিয়ে বলে বেড়াচ্ছেন তার জায়গা নাকি পৌরসভা দখল করেছে যা শুধু অবস্তবই নয় কল্পনাপ্রসূত।
কারন ড্রেনের কাজে কালিয়াগঞ্জের সমস্ত ব্যবসায়ী মহল যেভাবে পৌর সভাকে সহযোগিতা করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।তাদের সহযোগিতার ফলেই কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের কর্মকান্ড সম্ভব হচ্ছে।
এটা কার্তিক পালের কোন একার কৃতিত্ব নয়।আর এন এস রোডের সম্পুর্ন কাজ পূর্ত দপ্তর করছে।সুতরাং তিনি যা বলে বেড়াচ্ছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।কেও তাকে প্ররোচনা দিয়ে এসব কথা বলতে সাহায্য করছে।তবে তাতে কিছু কাজ হবেনা বলে পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল বলেন।