মাটির তল থেকে আবির্ভাব হওয়া কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি কে কেন্দ্র করে বিষ্ণু মন্দির তৈরি হচ্ছে কালিয়াগঞ্জ এর দিলাল পুর গ্রামে।
1 min readমাটির তল থেকে আবির্ভাব হওয়া কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি কে কেন্দ্র করে বিষ্ণু মন্দির তৈরি হচ্ছে কালিয়াগঞ্জ এর দিলাল পুর গ্রামে।
তন্ময় চক্রবর্তী, শংকর গুপ্তা উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম দিলালপুর। যে গ্রামটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। বিঘার পর বিঘা জমিতে এখানে কৃষি কাজ হয়। এখানকার কৃষকদের তাই রুটিরুজির প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে কৃষিকাজ। গ্রামটি কালিয়াগঞ্জ শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বরুনা গ্রাম পঞ্চায়েত এর মধ্যেই অবস্থিত। তবে আজ এই গ্রামের পরিচয় একটু অন্যরকম হতে চলছে বিষ্ণু দেবতার আগমনে। শুনলে সবাই অবাক হবেন এ আবার কি। কীভাবেই বা আবির্ভাব হলো এই গ্রামে বিষ্ণু দেবতার।
গ্রামবাসীদের থেকে জানা যায় গ্রামেরই এক কৃষক তার একটি পুকুর খনন করার সময় মাটির নিচ থেকে হঠাৎ উঠে আসে কষ্টি পাথরের বিষ্ণু দেবতার মূর্তি। এরপর গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়। সেই বিষ্ণুমূর্তি দেখতে প্রচুর মানুষ সেখানে সেই সময় ভীর করে। খবর যায় পুলিশ প্রশাসনের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ও সেই গ্রামে পৌঁছে সেই বিষ্ণুমূর্তি টি সরকারি সম্পত্তি বলে সেখান থেকে নিয়ে আসার চেষ্টা করে।
কিন্তু গ্রামবাসীরা নাছোড়বান্দা কোনভাবেই বিষ্ণু দেবতাকে তাদের গ্রামছাড়া করবেন না। গ্রামের মানুষরা তাদের গ্রামেই মন্দির বানিয়ে নিষ্ঠা সহকারে বিষ্ণু দেবতার পূজা অর্চনা করবেন প্রতিনিয়ত ।
তাই পুলিশ এই বিষ্ণুমূর্তি টি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষমেষ গ্রামবাসীদের কাছে হার মেনে পিছু হাটতে বাধ্য হয়। এরপর গ্রামবাসীরা একত্রে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় তাদের এই দিলালপুরের শিব মন্দিরের পাশেই বিষ্ণু মন্দির তারা গড়ে তুলবেন। গ্রামবাসীদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের আর্থিক সাহায্যে সেই বিষ্ণুমন্দির তিল তিল করে গড়ে উঠতে থাকে সেই দিলালপুর গ্রামে।
ইতিমধ্যে সেই খবর চাউর হওয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষ সেখানে আসতে শুরু করেন বিষ্ণু দেবতার দর্শন করতে। এমনভাবেই সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ এর পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল তিনিও খবর পেয়ে সেখানে গেলেন সেই বিষ্ণু দেবতার দর্শন করতে।
সেখানে পৌঁছে গিয়েই ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে শিব মন্দিরের রাখা বিষ্ণু মূর্তি কে দর্শন করে প্রণাম করলেন। এরপর সেই নির্মীয়মান বিষ্ণু মন্দির দর্শন করলেন।
এবং গ্রামবাসীদের সাথে কথা বললেন যাতে এই বিষ্ণুমন্দির খুব সুন্দর ভাবে গড়া যায় সেখানে। গ্রামবাসীরা প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পালের আগমনে খুবই খুশি। কিছুক্ষণ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কার্তিক বাবু শলাপরামর্শ করলেন কিভাবে এই মন্দির সুন্দর ভাবে করা যায়।
এরপর তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই মন্দির কর্তৃপক্ষ কে কিছু আর্থিক সাহায্য করলেন এবং বললেন তিনি তাদের পাশে রয়েছেন প্রয়োজনে আগামী দিনে আরো সাহায্য করবেন। কালিয়াগঞ্জ ব্লক এর দিলালপুরের বিষ্ণুমন্দির তৈরি হলে এই গ্রাম যে একটি দর্শনীয় জায়গা হয়ে উঠবে তা বলা যেতেই পারে। গ্রামবাসীরা জানান তারা সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে খুব তাড়াতাড়ি এখানে বিষ্ণু মন্দির গড়ে ওঠে এবং বহু মানুষের পদার্পণ ঘটে দিলালপুর এর নাম যাতে সর্বত্র ছড়িয়ে পরে।